Sunday, July 30, 2017

আশা  জেগে থাকে
   নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

 যখন পশ্চিমআকাশে
সুর্য্য লুকায় মেঘের মাঝে ,
একটু একটু করে সবে -
সন্ধ্যা নেমে আসে ;
ঠিক তখনই সন্ধ্যাপ্রদীপ হাতে ,
আমি দাঁড়াই তুলসীমঞ্চের কাছে ,
সদর দরজা থাকে খোলা ,
চোখ বুজে তোমার মঙ্গলকামী ,
বুকের ভিতর জাগে শিহরণ !
চোখ খুলে যদি তোমায় দেখতে পারি !

আমার ভাবনা ভাবনায় থেকে যায় ,
আসবেনা কখনও তাও জানি ,
চোখের কোল ভেজা সব সময় ,
শিহরণ ও তখন যায় মিলিয়ে ,
বাসা বাঁধে সেথায় বিরহ যন্ত্রণা !
বুকের ভিতর দাবানল জ্বলে ,
একা একাই পুড়ি আমি ,
তবুও আশা থাকে এককোণে ,
আগুন ছুঁতে পারেনা তারে ,
মনকে বোঝাই  ,শান্তনা পাই ,
একদিন নিশ্চয় ফিরবে তুমি !

@নন্দা 28-7-17  11-50

Friday, July 28, 2017

স্নেহ,শ্রদ্ধা,ভালবাসা -
সবকিছু আজ দুরাশা -
ভেসে গেছে সুখ ,
মনের সব আশা ।

@নন্দা
সহজ নয়
    নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

ইঁটের উপর ইঁট সাজিয়ে ,
বাড়ি তৈরী হয় ,
ফুল দিয়ে গাঁথলে মালা ,
ফুলমালা হয় ,
শব্দের পর শব্দ বসিয়ে ,
কবিতা লেখা হয় ?

শব্দগুলো যদি হয় এলোমেলো ,
বাক্যগুলি বেমানান ,
মনের ভাষা স্পষ্ট নয় ,
যদি হয় ভুল বানান ,
এসব জানার  পরেই তবে
কবিতা লেখা হয় ।

প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য -এর কোনটার জ্ঞানই  আমার নেই !! তাই আমার লেখাগুলি আজও কবিতা হয়ে উঠলোনা ,,😭😭কবি বললে লজ্জা পাই

@ নন্দা


Thursday, July 27, 2017

চেনোনি আমায়
   নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

কি জানি কি দেখেছিলাম ,
তোমার মধ্যে !
নিবিড় করে ভালবেসেছিলাম ,
নিজেরই অজান্তে ।

সাদামাটা জীবনে আমার ,
দিয়েছিলে দোলা ,
স্মৃতিগুলো এতো মধুর ,
যায়কি ভুলা ?

তুমি ছিলে মন্দ মানুষ ,
চিনতে পারিনি ,
দুঃখ শুধু একটাই আমার ,
আমায় বুঝতে পারোনি ।

@নন্দা   26-7-17

রূপসী কলকাতা
  নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

শ্রাবণধারা সারাদিন ঝরছে ,
পথঘাট সব নদীনালা ভরছে ,
পথের জল উঠছে ঘরে ,
রূপসী কলকাতা লাজে মরে !

বর্ষা এলেই রাস্তা খোড়া ,
পথচারী সব নাজেহাল ,
রিক্সা ,অটো সব হয় বন্ধ ,
নিত্যযাত্রী হয় বেসামাল !

গরমের সময় চলে হাপিত্যেশ ,
আসবে কখন বরষা ,
ফুটপথবাসীর হয় যে দুর্ভোগ ,
ট্রিপল বা প্লাস্টিকই ভরসা ।

@নন্দা  26-7-17  2AM ,

অব্যক্ত যন্ত্রণা
      নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

     অফিস থেকে বেরিয়ে বাস থেকে নেমেই বৃষ্টির সম্মুখীন ! ছাতাটা আজ আনতে ভুলে গেছে রেখা ।গতকাল বৃষ্টিতে ভেজা ছাতাটা ব্যালকনিতে শুকাতে দিয়েছিলো আজ আর আসবার সময় ব্যাগে পুড়তে মনে নেই । এতো তাড়া থাকে অফিসে বেরোনোর সময় ! ছেলে স্কুলে বেরোবে তার খাবার ,টিফিন ,নীলয়ের টিফিন ,দুপুরের খাবার ,ওষুধ সব গুছিয়ে অচলাকে বুঝিয়ে দেওয়া । তারপর নাকে মুখে দু'টি গুঁজেই অফিস ছোটা ।

     আজ প্রায় একবছর হোল নিলয়ের বাম অঙ্গটা পুরো অসার ।প্রথমে সামান্য জ্বর ,গায়ে ব্যথা । কিছুতেই জ্বর কমেনা ;আস্তে আস্তে শরীরের বাম অঙ্গে অসারতা ।আর কিছুই করার নেই ।ফিজিওথেরাপিষ্ট নিয়মিত এসে এক্সারসাইজ করিয়ে যাচেছন । কিনতু উন্নতির কিছুই দেখা যাচেছনা ।শ্বাশুড়ী মাস ছ'য়েক আগে মারা গেছেন । আর শ্বশুরমশাই তো বিয়ের আগেই চলে গেছেন । এখন বাড়িতে মানুষ বলতে সে নিজে ,পঙ্গু স্বামী ,দশ বছরের ছেলে নীলাদ্রী আর সর্বক্ষনের কাজের মেয়ে অচলা । অচলা ভীষণ ভালো মেয়ে ।রেখা যখন বাড়িতে থাকেনা তখন ছেলে স্কুল থেকে ফিরলে বড় রাস্তার মোড় থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে এসে যত্ন সহকারে খাওয়ানো ,তাকে দেখে রাখা ,বড়বাবুর সমস্ত দায়িত্ব পালন করা ,ঘড়ি ধরে তাকে সময়মত ওষুধ খাওয়ানো -সব সবকিছুই  সে করে । রেখা বাড়িতে ফেরার সাথে সাথে তার চা ,জল খাবার এমনকি রাতের রান্না পর্যন্ত সব রেডি থাকে । শুধু সকালের দিকটাই রেখার একটু তাড়া থাকে । দুপুরের রান্নাটা সে নিজের হাতেই করে বাটিতে বাটিতে ঢেলে রেখে যায় ।

            বাসটা এসে এমন জায়গায় দাঁড়ালো সামনে জল আর কাদায় পরিপূর্ণ । পড়ে যাচ্ছিলো । হঠাৎ এক ভদ্রলোক ধরে ফেলেন । মুখের দিকে না তাকিয়েই রেখা তাকে "থ্যাংক্স" বলে । বৃষ্টিটা বেশ জোরেই পড়ছে ।শেডের নীচে ছাতাবিহীন অবস্থায় যারা দাঁড়ানো তারা প্রত্যেকেই ভিজে যাচ্ছেন । আর যাদের কাছে ছাতা আছে তারা সকলেই ছাতা খুলে বৃষ্টির হাত থেকে নিজেদের পোশাক বাঁচাতে সামনের দিকে ছাতা খুলে ধরে আছেন ।রেখা আস্তে আস্তে পিছনদিকটাতে চলে যায় । অন্যমনস্ক ভাবেই চোখ পরে যে ভদ্রলোক তাকে পড়ে যাওয়ার থেকে বাঁচিয়েছিলেন তার দিকে ।
---সৌগত তুমি ?
সৌগতও এতোক্ষন পরে রেখাকে খেয়াল করে ।
----অনেকদিন পর তোমার সাথে দেখা হোল !
----বার বছর , একযুগ পর ।
----কেমন আছ ? সেই আগের মতই দেখতে আছ , কোন পরিবর্তন হয়নি । বয়স একটুও বাড়েনি ,,,,
----ওসব কথা ছাড়ো । আছি ,ভালোই আছি । তুমি কেমন আছ ? মাসিমা ,মেশোমশাই ,তোমার বৌ ,বাচ্চা আর দেবী ? দেবী কেমন আছে ? নিশ্চয় ওর বিয়ে হয়ে গেছে ? কেমন আছে ও এখন ? ওর শ্বশুরবাড়ি কোথায় ?
----আরে দাঁড়াও ,দাঁড়াও ;এতো প্রশ্নের একবারে উত্তর দেবো কি করে ? এক একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে পরের প্রশ্নটাতো ভুলে যাবো । মা ভালো আছেন ,বাবা আজ দু'বছর হোল আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন ।" তারপর হাসতে হাসতে বললো ,"বিয়ে করলে তো বৌ,বাচ্চা ? বিয়ের ফুলই তো ফুটলো না । আর দেবী ?"
            কথা বলতে বলতে বৃষ্টিটা কমে আসলো । এক এক করে সকলে শেডের নীচ থেকে বাস ধরার জন্য বাইরে এসে দাঁড়ালো । সৌগত রেখাকে বলে , "চল ,সামনেই একটা কফিবার আছে ,ওখানে কফি খেতে খেতে কথা হবে ।"

         বিস্ময়ভরা দৃষ্টিতে রেখা সৌগতর মুখের দিকে তাকালো !
----সে সময় আজ আর আমার হাতে নেই ।বাড়িতে দু'টি প্রাণী হা করে ঘড়ির কাটার দিকে তাকিয়ে বসে আছে কখন আমি বাড়ি ফিরবো ।একদিন তোমাকে দেওয়ার জন্য আমার হাতে প্রচুর সময় ছিলো ।সেদিন তোমাকে কফিহাউসে আসতে বলে সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও তিনঘন্টা অপেক্ষা করেছিলাম তোমার জন্য ।আমার সাথে দেখা করবার তোমার সময় সেদিন হয়নি । ভীষণ ভেঙ্গে পড়েছিলাম । সেই সময় জীবনটাকে মূল্যহীন মনে হত ! ভেসেই যাচ্ছিলাম । বাবা ,মা জোর করে বিয়ে দিয়ে দিলেন । নিলয় জীবনে না আসলে বুঝতেই পারতামনা ভালবাসার প্রকৃত মর্ম ।কেনো ,কিসের জন্য তুমি আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেছিলে জানিনা, আজ আর জানারও কোন ইচ্ছা নেই ।শুধু এটুকুই জানি নিলয় ছাড়া আর কাউকে একান্তে সময় দেওয়ার মত সময় আমার হাতে নেই । আমি আজ সুখী ,খুব সুখী । ওই যে আমার বাস এসে গেছে ।আমি আসি । ভালো থেকো তুমি ।"
         রেখা দৌড়ে যেয়ে বাসে উঠলো ।সৌগত সেদিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে নিজের মনেই বললো ,"সেদিন কেনো আসতে পারিনি তা যদি জানতে নিজেই কেঁদে আকুল হতে । তারথেকে এই ভালো হোল -আমার নামটা চিরদিনের মত তোমার মন থেকে মুছে ফেলতে পেরেছো ।আমায় ঠক ,জোচ্চর ,প্রতারক ভাবতে পেরেছো । তুমিও খুব খুব ভালো থেকো ।"

         সৌগত একাই যেয়ে কফিবারে বসে কফি খেতে খেতে ফিরে যায় বার বছর আগের দিনগুলিতে  --
       সেদিন সৌগত কফিহাউজে যাবে বলে তৈরী হচ্ছে ;হঠাৎ লান্ডলাইনে একটা ফোনে জীবনের সব স্বপ্ন হঠাৎ আসা কালবৈশাখীর মত সবকিছু ভেঙ্গে চুরে তচনচ করে দিলো ।একমাত্র আদরের ছোট বোন দেবীকা কলেজ থেকে ফেরার পথে কিছু সমাজ বিরোধী তাকে তুলে নিয়ে যায় ।সমবয়সী অনেক বন্ধুদের সাথে সেও ফিরছিলো ।বন্ধুরা বাঁধা দিতে গেলে সমাজ বিরোধীরা ভোজালী বের করে তাদের দিকে তেড়ে আসে ।সকলেই ভয়ে জড়সড় হয়ে যায় । সমাজ বিরোধীরা দেবীকে নিয়ে চলে যাওয়ার পর ফোন করে তারা দেবীর বাড়িতে খবর দেয় ।সঙ্গে সঙ্গেই সৌগত দৌড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ।থানা ,পুলিশ সারারাত ছুটাছুটি দেবীর সন্ধান সেদিন আর পাওয়া যায়না ।রেখার কথা ভাববার সময় তখন সৌগতর নেই । কাক ডাকা ভোরে যখন সৌগত বাড়ির অভিমুখে রওনা দিয়েছে ঠিক তখনই পুলিশের একটা ভ্যান ঘ্যাচ করে সৌগতর সামনে এসে দাঁড়ায় ।পুলিশ অফিসার গাড়ি থেকে নেমে সৌগতকে বলেন ,"এখান থেকে কিছুটা দূরে রেললাইনের উপরে আঠার ,উনিশ বছরের একটি মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে ।মর্গে যেয়ে আপনাকে বডি শনাক্ত করতে হবে ।" সৌগত নিজের মাথাটা ধরে রাস্তাতেই বসে পড়ে হাউ ,হাউ করে কাঁদতে লাগে ।বয়স্ক এক পুলিশ অফিসার তার হাত ধরে উঠিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দেন ।

               লাশ শনাক্তকরণ ,দাহ ,শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান সব মিটে যাওয়ার পর চিরশান্ত সৌগত অন্য মূর্তি ধারণ করে ।যে ভাবেই হোক বোনের প্রতি এই নারকীয় হত্যাকান্ডের প্রতিশোধ নিতেই হবে ।থানা ,পুলিশের দরজায় ,দরজায় ঘুরে এক বছরের মধ্যেও কোন সুরাহা সে করতে পারেনা ।সব অপরাধী অধরাই থেকে যায় ।কিনতু এই একবছরে সে এটুকু বুঝতে পারে ধর্ষণকারী বা খুনীরা রাজনৈতিক নেতাদের আত্মীয় আবার কেউ তাদের ছত্রছায়ায় পালিত গুন্ডা । সোজা আঙ্গুলে ঘি কিছুতেই উঠবেনা । কিনতু আইনের ছাত্র সৌগত আইনের বিরুদ্ধচারণও করতে চায়না ।

            সৌগতর সাথে রেখার যখন প্রেম চলছে সৌগতর তখন উকালতির ফাইনাল ইয়ার ।এই এক বছরে তার পড়াশুনার খুব ক্ষতি হয় । শুরু করে সে দিনরাত এককরে পড়াশুনা করতে । উকালতি পাশ করে সে নামজাদা উকিল অমরেশ রায় চৌধুরীর জুনিয়র হিসাবে কাজ শুরু করে । কথায় কথায় সে অমরেশবাবুকে তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য তার বোনের ধর্ষণকারী ও খুনিদের শাস্তি দেওয়ার কথা জানায় । অমরেশবাবু সৌগতকে খুব স্নেহ করতেন । তিনি তাকে কথা দেন এরজন্য  সর্বরকম সাহায্য করতে তিনি প্রস্তুত ।

             নূতন করে আবার কেস ফাইল করা হয় । ফোনে হুমকি দেওয়া ,ভয় দেখানো -অমরেশবাবু ও সৌগতর উপর চলতে থাকে ।কিনতু জাদরেল উকিল অমরেশবাবু কিছুতেই দমে যাওয়ার পাত্র নন ।তার সাথও প্রশাসনিক উপর মহলের উঠাবসা ।স্বাক্ষ্য,সাবুদ প্রমাণসহ তিনজন ধরা পরে । বাকী একজন ওই ঘটনার দু'বছরের  মাথায় মদ্যপ অবস্থায় বাইক এ্যাকসিডেন্টে মারা যায় । এই তিনজনের যাব্বজীবন কারাদণ্ড হয় ।

           সৌগত তার বোনের মৃত্যুর দশ বছরের মাথায় যেয়ে সুবিচার পায় ।এরমধ্যে তার যে রেখার কথা মনে পড়েনি তা  নয় ।  কিনতু ইচ্ছা করেই কোন যোগাযোগ রাখেনি । প্রাণপ্রিয় ছোট্ট বোনটির মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়াটাই তার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায় ।তাই নিজের হাতেই সে তার ভালবাসাকে গলাটিপে হত্যা করে ।কারণ ভালবাসায় আবদ্ধ হতে গেলে পিছুটান থাকবে আর এই পিছুটানই তাকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করবে ।

 এতগুলো            বারবছর ধরে সে রেখার কোন খোঁজ করেনি । কারণ সে বুঝতে পেরেছিল বছর একটি মেয়ের পক্ষে কারও অপেক্ষায় বসে থাকা কিছুতেই সম্ভব নয় ।রেখা যে তাকে ভুল বুঝেছে এবং তাকে যে কোনদিন ক্ষমা করতে পারবেনা এই ব্যপারেও সে নিশ্চিত ছিলো ।

          আজ যখন তার রেখার সাথে দেখা হোল ,সৌগত ভেবেছিলো সব শোনার পর রেখা তার অসহায়তা বুঝতে পারবে -পারবে তাকে ক্ষমা করে দিতে । কিনতু রেখা তো তাকে কোন সুযোগই দিলোনা !

@নন্দা    22-7-17

Wednesday, July 26, 2017

ইতিহাস হোক
  নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

সব জায়গায় হেরে গিয়ে ,
নিজের কাছেই এসেছি ফিরে ,
পুরোনোকে আবার আঁকড়ে ধরেছি ,
সঙ্গী সেই কলম আর ডাইরী ।
এতদিনের সব হিসাব নিকাশ ,
না পাওয়ার তীব্র যন্ত্রণা -
একএক করে লিখে চলেছি ,
মৃত্যুর পর হোক রচনা !
আমার জীবনের এক ইতিহাস ।
যুগযুগান্তর ধরে থাকতে চাই ,
লেখনীর দ্বারা সকলের অন্তরে ।

@নন্দা







Tuesday, July 25, 2017

বিপন্ন মান
    নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

স্বাধীন দেশের মানুষ তুমি ,
হতে পেরেছো কি স্বাধীন ?
সন্ধ্যায় পথে বেরোলে তুমি ,
হতে হবে নরপশুর অধীন !

অশান্ত ,উত্তাল আমার দেশ ,
পথেঘাটে পায়না নারী সম্মান ,
এক সমুদ্র রক্তের বিনিময়ে ,
এলোনা আজও নারীর মান ।
নিশ্চিত যা
  নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

মৃত্যু মানুষের অনিবার্য !
এটা নিশ্চিত জানা স্বর্তেও ,
এতো হিংসা ,মারামারি কেন ?
মৃতব্যক্তির গায়ের উপর -
একটি মশা পড়লেও
প্রিয়জন মশাটি উড়িয়ে দেয় ,
মারেনা-যদি লাগে ব্যথা !
তবে তার বুকের উপর -
এতো ফুল ,এতো মালা কেনো ?
বুকের উপর এতো চাপ ,
কি করে সে সইবে ?
সংসার জীবনে সে অনেক ভার সয়েছে,
আর তার উপর বোঝা চাপানো কেনো ?
সে ঘুমাক চির শান্তিতে ,নিরিবিলিতে ।

@নন্দা   24-7-17

Saturday, July 22, 2017

মানুষ নয় এরা
        নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

শোন রমলা বলছি তোকে ,
একটু দাঁড়িয়ে যা -
মেয়েটাকে যেখানে সেখানে রেখে ,
কাজে বেরোস না ।

দিনকাল আজ ভালো নয় ,
একরত্তি মেয়ে তোর ,
এখনও যে দুধের দাঁতই ,
সব ওঠেনি ওর ।

রমলা বলে শোনো দিদি ,
"ওপাড়ার ওই ঘোষকাকুর  ,
সকাল ,সন্ধ্যায় মেয়েকে নিয়েই   ,
সময় কাটে তার ।"

ওরে মূর্খ বলি শোন ,
পেপার টেপার পড়িস নাতো ,
পুরুষের বয়স যতই বাড়ুক ,
কিছু জানোয়ারের মত !

এইতো সেদিন ফুলের মত ,
ছোট্ট মেয়ে গুড়িয়াটাকে ,
সূঁচ ফুঁটিয়ে ,ধর্ষণ (?)করে ,
মেরে ফেললো অকালে !

মানুষ আর মানুষ নেইরে ,
হয়েছে যেন জানোয়ার ,
শিশু থেকে বৃদ্ধা অবধি ,
ছাড়েনা কাউকে আর !

@ নন্দা  22-7-17

কত নিষ্ঠুর এ মানব সমাজ !
প্রমানিত হোল আবার আজ !
ছোট্ট শিশুর প্রতি এ অত্যাচার !
নেই কি কোনই প্রতিকার ?
কুড়িতেই ঝরে গেলো পৃথিবীতে সে !
চাই  অপরাধীর বিচার যে !!

Friday, July 21, 2017

এখনও খুঁজি
   নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী


রাত্রি গভীর, নিস্তব্ধ চারিদিক ,
বিরহযন্ত্রনা বুকে আছে চাপা ,
শ্রাবণের এই বরষার রাতে ,
একা একা রাত জাগা ।

হৃদয়মাঝে উত্তাল সমুদ্র ,
বারেবারে মুছি আঁখি ,
অপেক্ষায় কাটে রাত ,
আজও তোমায় খুঁজি ।

আসবেনা তুমি আর কখনো ,
মানেনা  যে এ মন ,
অপেক্ষার দ্বার হবেনা বন্ধ ,
কেমনে কাটাবো এ জীবন ?

@নন্দা   21-7-17  12-30AM 

Wednesday, July 19, 2017

 সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে
   নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

     শিক্ষিত ,সুন্দরী মোটামুটি স্বচ্ছল পরিবারের মেয়ে হওয়া সত্বেও এইরূপ একটা পরিবারে বৌ হয়ে আসবে ছন্দা কোনোদিনও ভাবেনি । তবু ভাগ্যকে সে মেনে নিয়ে মানিয়ে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছে । সম্ভব করতে পেরেছে বেশ কয়েকটা বছর পরে । বাড়িতে ঢুকেই প্রথম যেটা সে টের পেয়েছিলো তা হোল উপার্জন একমাত্র তার স্বামী করে বাকী তিন ভাই কিছুই করেনা । ছোটটি তখনও পড়াশুনা করছে । মেঝটি গ্রাজুয়েশান কমপ্লিট করে আড্ডাবাজ । সেঝটি
উচ্চমাধ্যমিক দিয়ে পড়ার পাট চুকিয়েছে । স্বামী তার নিরীহ গোবেচারা ! সংসার চালাতে যেয়ে নাজেহাল ! সামান্য রাজ্য সরকারী কর্মচারী বীরেশ এই সংসারের জন্য ধার দেনায় তলানো । অবশ্য এক দিনেই ছন্দা এটা বুঝতে পারেনি । এর জন্য তাকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে ।

      বছর খানেকের মধ্যেই  বীরেশের বন্ধুদের অনেকেরই সাথে ছন্দারও বন্ধুত্ব হয়ে যায় । তাদের কাছ থেকেই ছন্দা এসব জানতে পারে । শুরু হয় ছন্দার লড়াই ।

        প্রথম প্রথম স্বামী ,শ্বাশুড়ীর আপত্তি থাকলেও পরে তারা মত দেন ছন্দাকে বাড়িতেই টিউশনি করার । সকাল ,সন্ধ্যায় ছাত্র পড়িয়ে মাসের শেষে বেশ কয়েক হাজার টাকা সে তার শ্বাশুড়ী মায়ের হাতে তুলে দিতে লাগলো । বীরেশকে জানালো কিছু কিছু করে তার ধারের টাকা যাতে সে শোধ করতে লাগে । বেশ কয়েক মাস এভাবে চলার পর শ্বাশুড়ী নিজেই তার সংসারের চাবীকাঠি তার বৌয়ের হাতে দিয়ে দিলেন । এতে সুবিধা হোল ছন্দার বীরেশের মাইনের টাকাটা হাতে পাওয়ার পর সে তার থেকে একটু মোটা অংকের টাকা ধার শোধ করার জন্য বীরেশের হাতে তুলে দিতে পারতো । দু'বছরের মধ্যে সব ধার এভাবেই ছন্দার সহযোগিতায় বীরেশ শোধ করতে সক্ষম হয় ।

     অন্যদিকে সে মেঝদেওর টিকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে একটা কমপিউটার সেন্টারে ছোট একটা কোর্স করায় ,ঈশ্বরের অপার কৃপায় সে সামান্য মাইনের এক চাকরীও জুটিয়ে ফেলে । সেঝটিকে অনেক বুঝিয়েও কোন ফল পায়না । অবশেষে নিজের পরিচিত একটা বড় কাপড়ের দোকানে অনেক কষ্টে সেলস ম্যানের কাজ জুঠিয়ে দেয় । সংসারের অবস্থার আমূল পরিবর্তন হয় । পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় -সংসারের সব  ব্যাপারেই বৃদ্ধা শোভাদেবী ছন্দার উপরেই  নির্ভরশীল হয়ে পড়েন । কোন ব্যপারে মতামতের দরকার পড়লে তা ছন্দার উপরেই ন্যস্ত হয় ।

        ছোট দেওরটির পড়ার ব্যপারটা ছন্দা দেখতো , মাথাটাও তার খুব ভালো ,সঠিক গাইড পাওয়াতে সে স্টার মার্কস নিয়ে মাধ্যমিক আর প্রথম বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পরই ছন্দা তাকে পলিটেকনিকে বসায় । এখন সে ইঞ্জিনিয়ার , মোটা মাইনের চাকুরে ।

   অভাব আর সংসারের ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারেনা । বৌদি সকলের প্রাণ ! বৌদির কথা সকলের কাছে যেন বেদবাক্য ! শোভাদেবীও সব কিছু ছন্দার উপর ছেড়ে দিয়ে ঠাকুর সেবায় ব্যস্ত ।
 
       সময় এগিয়ে চলে ঝড়ের গতিতে । মেঝদেওরের আয় বাড়ার সাথে সাথেই ছন্দা বাড়ির সকলের মত নিয়ে নিজে পছন্দ করে তার বিয়ে দেয় । হাঁড়িও তাদের আলাদা করে দেয় নিজে থেকে মায়ের মত নিয়েই । তার বক্তব্য ,এক হাঁড়িতে থাকতে গেলে ঝামেলা হবেই ,তার থেকে এক বাড়িতে থাকি সবাই একসাথে হাঁড়ি আলাদা থাক । শোভাদেবী কথাটাই সম্মতি জানিয়েছেন ছন্দা নিজেই সব কেনাকাটা করে এনেছে । ছোট বোনকে হাতে ধরে রান্না শিখিয়েছে । ভালো ,মন্দ যাই রান্না করুকনা কেন ছন্দা তার জা আর দেওরকে না দিয়ে খায়না । নামেই হাঁড়ি আলাদা ।

     শোভাদেবীর শেষ সময়ে ছন্দাকে ডেকে তিনি বলেন , "বড় বৌমা , আগের জনমে অনেক পুর্ণির ফলে তোমাকে আমি ছেলের বৌ হিসাবে পেয়েছি । পরের জন্মেও আমি তোমাকেই ছেলের বৌ হিসাবে চাই । মেয়ে হিসাবে নয় , তাহলে তো আমার লক্ষ্মী আমায় ছেড়ে চলে যাবে । তুমি প্রমাণ করে দিয়েছো ঘরের বৌয়ের গুণেই সংসারে সুখ , সমৃদ্ধি বিরাজ করে । জম্ম জম্মান্তরে আমি তোমাকেই আমার ঘরের লক্ষ্মী হিসাবে  চাই ।

@ নন্দা   18-7-17  1 AM

Tuesday, July 18, 2017

ভালো আছি
  নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

অন্ধকার চারিদিকে ,
সম্পর্কগুলি বালির বাঁধ ,
টাকাপয়সা সম্পত্তি ,
মন কষাকষি সর্বদা ,
সম্পত্তি ভাগাভাগি ,
মা ,বাবা বোঝাস্বরূপ !
পরিণাম বৃদ্ধাশ্রম !
ভালোথাকা ,ভালোখাওয়া ,
নিরিবিলি পাড়ি ফ্লাটে ,
প্রতিবেশীর সাথে সম্পর্কহীন ,
ভালবাসা দরজার মধ্যেই ,
কেউ কারও নয় !
ভালো আছি সবাই !

@নন্দা    18-7-17

Monday, July 17, 2017

ভুলিনি তোকে
  নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

আজও আছিস অন্তর জুড়ে ,
ভুলিনি তোকে এখনও !
আস্তে আস্তে স্মৃতি হবে ধূসর ,
পড়বেনা মনে আর কখনও ।

আমার চাওয়া সকলই হোল বিফল ,
চলে গেলি কোন সুদূরে ?
দিনান্তের শেষে একবারও কি তোর ,
মনে পড়েনা আমারে ?

ভুলিনি আজও সেই সব দিন ,
যা কাটিয়েছি দু'জনে -
সময় আমায় ভুলিয়ে দেবে সব ,
পড়বেনা মনে আর কোনক্ষনে ।

@নন্দা   17-7-17

কে আপনজন
  নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

চেনা মানুষ হঠাৎ করেই ,
হয় কেন গো অচেনা ?
একই সাথে উঠাবসা ,
মনে হয় অজানা !

কোন বারতা ছাড়াই যেন -
হঠাৎ পাল্টে যায় ,
একই ছাদের তলায় থেকেও -
হারিয়ে কেন যায় ?

স্মৃতিভ্রংশ মানুষ যেমন ,
পুরোনোকে ভুলে যায় ,
কাছের মানুষ ইচ্ছা করেই ,
ভুলে থাকতে চায় !

হারিয়ে যায় স্বপ্নগুলি ,
ভেঙ্গে যায় মন ,
বুঝা তখন কঠিন হয় ,
কে আসল আপনজন !

 @ নন্দা  17-717 

Sunday, July 16, 2017

আবার এসো কাছে
   নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

নয়ন তোমার ছলছল কেন ?
এসেছি আমি ফিরে ,
দূরে কেন আছ ওগো ?
কাছে এসো ধীরে ।

সয়েছো তুমি বিরহ-বেদন ,
কত  আমি জানি ,
আজও শুকায়নি তেমনই আছে -
গাঁথা বকুলের মালাখানি ।

হয়ত ক'দিন দূরেই ছিলাম ,
এতো অভিমান কেন ?
একটু হেসে কাছে এসো ,
হাতদু'টি ধরো ।

যেমন আমি ছিলাম আগে ,
এখনও আছি তেমন ,
সব কাজ আমি এসেছি সেরে ,
ভালবাসা দেবো উজাড় করে ।

@নন্দা     11-7-17  10PM ,, 

Friday, July 14, 2017

মা তোকেই চাই
   নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

এক এক করে আমায় ছেড়ে ,
গেলো সবাই চলে ,
আমি একাই সাঁঝবেলাতে -
আছি শুধু পরে ।

সময় হলেই যায় যে সবাই ,
আসে কেন তবে ?
একা থাকার বড়ই জ্বালা -
মাগো এই ভবে ।

এক জনমে সব সাধ যে ,
পূরন হয়না মা ,
তোর কোলেতেই আবার চাই ঠাঁই ,
তুই আমায় ভুলিসনা ।

বাংলার এই সবুজদেশে ,
আবার আসতে চাই ,
এ জনমে যারা ছিলো -
 সবাইকে যেন পাই ।

মনে করিয়ে দিস মাগো তুই ,
সবুজ মাঠ ,প্রান্তর ,আর ধানক্ষেত ,
বাউল বেশে ঘুরবো আমি ,
থাকবেনা মনে  আর কোন খেদ !

@নন্দা
দিন চলে যায় ,
তার নিজের মত ,
কত স্মৃতি পরে মনে ,
রেখে যায় ক্ষত !
কথা সব নীরব হয় ,
মন গাঁথে মালা ,
হৃদয়ে মালার বাহার ,
বাড়ে শুধু  জ্বালা !

@নন্দা  

Wednesday, July 12, 2017

অনুগল্প
রক্তের কোন জাত নেই
   নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী
           "আব্বাস চাচা,অনেকদিন পর তোমার সাথে দেখা । সেই যে তুমি রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলে ,তারপর আর দেখা হয়নি । কেমন আছ ?কোথায় থাকো এখন ?" একনাগাড়ে কথাগুলি বলে গেলো সুজন ।

   আব্বাস আলীর বয়স চল্লিশের কোঠায় এখন । ভাই ,ভাইবৌয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি যখন ঘর ছাড়েন তখন তার বয়স বছর আঠাস । বিয়ে থা করেননি । ড্রাইভিংটা ভালোই জানতেন । একটা কাজও পেয়ে যান সোমেন মুখার্জীর বাড়িতে । আব্বাস আলীর ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে , থাকার কোন জায়গা নেই জানতে পেরে সোমেনবাবু তারই বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দেন । সোমেনবাবুর ছেলে ,মেয়ে দুটিকে আব্বাস আলী নিজের প্রাণের থেকে বেশী ভালবাসেন । মেয়ে বড় ,ছেলে ছোট । আজ স্কুলে  মেয়েটি সিঁড়ি দিয়ে নামতে-  পরে গিয়ে  মাথায় মারত্মক ভাবে আঘাত পায় ,প্রচুর রক্ত ক্ষরনও হয় । বেশ কয়েকটি সেলাইও পরে । রক্তও দিতে হয় । রক্তের গ্রুপ এ  নেগেটিভ । বাড়ির কারও সাথেই তার রক্ত মেলেনা । ব্লাড ব্যাংকে তখন এ নেগেটিভ গ্রুপের কোন রক্ত ছিলোনা । তখন আব্বাস আলী এসে সোমেনবাবুকে বলেন ," ভাইজান ,সব জাতীর রক্তই তো লাল । দেখেন না মামনির রক্তের সাথে আমার রক্ত মেলে কিনা ।" সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পরীক্ষা হয় -দেখা যায় আব্বাস আলীর রক্তের গ্রুপ আর সোমেনবাবুর মেয়ের রক্তের গ্রুপ এক ।

   ফিরে পায় সোমেনবাবুর মেয়ে জীবন । আর আব্বাস আলী টানা দু'দিন নারর্সিং হোমে  বসে । সে তার মামনিকে না নিয়ে বাড়ি ফিরবে না । সোমেনবাবুর শত অনুরোধও তাকে টলাতে পারেনি ।

     সুজনকে কথাগুলি বলতে বলতে আব্বাস আলী হাউ হাউ করে কাঁদতে থাকেন ।  সুমন তাকে বলে,"সব জাতীর  মানুষের রক্তই তো লাল । মানুষের বিচার হয় তার মনুষ্যত্ব আর মানবিকতা দিয়ে । চাচা, জাত দেখে তো মানুষের বিচার হয়না । তোমার  রক্ত নিয়ে  তোমার মামনি দেখো ঠিক সুস্থ্য হয়ে যাবে ।তুমি চিন্তা করনা । আব্বাস আলী দু'হাত উপরে তুলে তার খোদাতালার কাছে তার মামনির জন্য মোনাজাত করতে লাগে ।

@নন্দা  12-7-17  1-20AM

Tuesday, July 11, 2017

ভাবনা
       নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

আমার মনের গহীন বনে ,
মনের খাতায় শূন্য পাতায় ,
লিখে রাখি শুধু ভাবনা ;
তাল,লয়হীন ছন্দ তার ,
পাইনা খুঁজে তার কিনারা ।
ব্যস্ত আমি সদাই  কাজে,
ভাবনাগুলি মনের মাঝেই -
নিত্য নতুন দুঃখ,সুখে ,
ভাবনা থাকে আমার সাথে ,
কল্পনাতেই দেয় সে ধরা ,
নতুন করে নুতন সাজে ।

বিশ্বঘরের খেলায় যখন -
থাকি শুধু মগ্ন ,
ভাঙ্গা স্বপন, মনের বেদন ,
সাথ ছাড়েনা যারা !
ভাবনাগুলোও পাল্টে পট ,
দেয় যে আমায় ধরা ।

সূর্য ওঠে অস্ত যায় ,
আসে নুতন ভোর ,
নূতন দিনে নতুন ভাবে -
জাগায় মনে আশা ,
শুধু ভাবনাগুলোই আমার সাথে ,
একই ভাবে থাকবে জীবনভোর ।

@নন্দা    11-7-17    8-30PM ,,

Monday, July 10, 2017

ডেকোনা আমায়
  নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

কেন ডাক বারেবার ?
সময় নেই যে আর আমার ,
ভেঙ্গেছে খেলা,যাবো যে ওপার-
বিদায়বেলা এসেছে  দ্বারেতে আমার !

বারবার নাম ধরে সবাই ,
ডেকোনা কাতর স্বরে -
বুকে বাজে আমারও যে ব্যথা !
মনেপড়ে ফেলেআসা দিনের কথা !

ঘুম এসেছে দু'চোখ ভরে ,
আসেনি যে ঘোর কোনকালে !
শান্ত হয়ে থাক সবাই -
আমি এবার ঘুমাই ।

@নন্দা    10-7-17  12-30AM.
মানুষের মনে বিদ্বেষ থাকে ,
সেখানেই থাকে অহংকার !
হৃদয় ভরা ভালবাসা থাকে ,
হিংসা সেখানেই বারংবার !

@ নন্দা
বন্ধন
  নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

যতই তুমি কর মানা ,
যেতে তোমার কাছে -
আজও যে হৃদয় তোমার কাছেই ,
বাঁধা পরে আছে !

এমনি করেই বইবে দিন ,
কাটবে কত কাল ,
এ বাঁধন যে কঠিন প্রিয় ,
ছিঁড়বেনা কোন কাল !

চোখের দেখা নাইবা হোল ,
হচ্ছে মনের দেখা ,
যতই দূরে থাকি সখা ,
নইকো মোটেই একা !

সাঙ্গ হবে পুতুল খেলা ,
যাবো যখন চলে ,
এপারে না হয়-ওপারেতেই ,
থাকবো দু'জন মিলে !

@নন্দা   9-7-17   10PM ,,,

Sunday, July 9, 2017

একটাই জাতী
নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

কেন এ বিবাদ ?কেন মারামারি ?
সবাই তো মানুষ আমরা ,
কাটলে শরীর রক্তই বেড়োয় ,
তবুও কেন এ ঝগড়া ?

ধর্ম যার যার মনেই থাক ,
চলো চলি হাতে হাত দিয়ে ,
বিপদে আপদে পাশে থাকি সবাই ,
এগিয়ে চলি মানব জীবনের জয়গান গেয়ে ।

মন্দির,মসজিদ,গির্জা ,প্যাগোডা -
সবই পবিত্র স্থান ,
সকল জাতীর কাছে মূল্য হোক সমান ,
একসাথে গাই মনুষ্যত্বের গান ।

হিন্দু,মুসলিম,বৌদ্ধ,খৃষ্টান -
কেন এ জাতীর প্রভেদ ?
একটাই হোক জাতী-মানবজাতী -
থাকুক যতই মতভেদ ।

@নন্দা   9-7-17

Saturday, July 8, 2017

প্রার্থনা
  নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

আঘাত আমায় যতই কর ,
  আমি কাতর হবোনা ;
দুখের দহনে পোড়াও আমায় ,
  ছাই তবু হবোনা ।

আমায় যদি ছাড় তুমি ,
রাখবো তোমায় ঠাকুরঘরে ;
তোমার জপেই কাটাবো দিন ,
ছবিটাকেই পুঁজিবরে ।

আকুল হয়ে ডাকবো তোমায় ,
থাকো যতই মুখ ফিরিয়ে ;
দেখা তোমায় দিতেই হবে ,
ঠাঁই দেবে তোমার পায়েই ।

@নন্দা   18-7-17 

Friday, July 7, 2017

মন
    নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

আমি যখন উদাস হয়ে ,
একা পথে চলি ,
তুমি তখন আপনমনে -
থাকো আমায় ভুলি ।

আমি মগ্ন তোমার স্মৃতিতে ,
তুমি ভুলাও অপরকে গীতিতে ;
আমি পূর্ণিমাতে চাঁদের পানে চেয়ে ,
তুমি আত্মহারা সাথী কাছে পেয়ে !

@ নন্দা   7-7-17 

Wednesday, July 5, 2017

মনের কষ্ট জমাট বাঁধতে বাঁধতে
একসময় অশ্রু হয়ে চোখের কোল
বেয়ে ঝরে পরে ;পুঞ্জিভূত মেঘও
বুঝি তার ভার লাঘব করতে বৃষ্টি
হয়ে ধরণীতে আসে ! @ নন্দা 

Tuesday, July 4, 2017

বর্ষা
  নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী
              ( 1)

অস্তাচলের সুর্য এখন ,
যায়না কেন দেখা ?
সন্ধ্যাবেলায় আকাশ কেন -
কালো মেঘে ঢাকা ?
                (2)

পাখির কুজন যায়না শোনা ,
কোথায় গেলো তারা ?
চাঁদ,তারাদের নেই কো দেখা ,
আকাশ কেন ঢাকা ?
                 (3)

শন্ শন্ বেগে বইছে বাতাস ,
গাছপালা সব উথাল পাতাল ,
ঝমঝমিয়ে এলে  বাদল  ,
পথচারী  সব  বেসামাল !

@নন্দা  4-7-17  9PM 

Monday, July 3, 2017

এলোমেলো সব
   নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

দু'চোখের পাতা শুধুই ভেজা ,
বাইরে পাল্লা দিয়ে বাদলের ধারা ,
ভিজে যাচেছ সমস্ত বাতাস !
কালবৈশাখী ছোট বড় গাছ উপড়ে  ফেলছে ,
ক্ষতবিক্ষত মন শূন্যতায় হাহাকার ,
যে বাতাসে তোমার গায়ের গন্ধ পেতাম -
সেই বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে আজ কষ্ট হয়,
কেউ যেন গলা টিপে ধরে -
আমার শ্বাস-প্রশ্বাসে বাঁধা সৃষ্টি করছে !

@নন্দা    30-6-17  12AM

কেউ বোঝেনা
         নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

বিরহের রাতগুলি বড্ড বড় !
কিছুতেই ঊষা যেন আসেনা ,
ঘড়ির কাঁটাও চলার ছন্দ হারিয়ে ফেলে ,
আশেপাশের নিস্তব্দতা গ্রাস করতে আসে
সবকিছু দেখার দৃষ্টিও বুঝি হারিয়ে যায়  !

একাকীত্ব,নিঃসঙ্গতা বুঝানো যায়না -
একই ছাদের তলায় থেকেও -
কেউই তা বুঝতে পারেনা !
বিরহ ব্যথিতের অন্তর পুড়ে খাক হয় ,
বনের দাবানল দেখা গেলেও ,
মনের দাবানল কেউই দেখতে পায়না ।

@ নন্দা   2-6-17  12-45AM ,

পৃথিবীতে কেউ আপন হয়না,
সকলেই খোঁজে শুধু স্বার্থ,পাইনি খুঁজে আজও একটি মানুষ,
যে থাকবে কাছে হয়ে নিঃস্বার্থ!
@নন্দা