2য় অংশ ......,, সাগর মিত্রাকে বিয়ে করতে বাধ্য হোলো ;বাবার আবেগকে মেনে নিয়ে ,নিজের স্বপ্নকে বিসর্জন দিয়ে ,জীবনের প্রথম ভালোবাসাকে নিজহাতে গলা টিপে মেরে সে মিত্রাকে জীবনসঙ্গী করে নিলো । অনাড়ম্বর পরিবেশে মুষ্টিমেয় কিছু আত্মীয়স্বজন ,আশেপাশের কিছু পাড়াপ্রতিবেশীর সামনে সে মিত্রাকে রেজিস্ট্রি করে সিঁদুর পরিয়ে দিলো । বৌভাতও হলো জ্ঞাতিবন্ধুদের উপস্থিতিতে ।
ফুলশয্যার রাতে সাগর মিত্রাকে জানালো যতদিন না সে নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে ততদিন পর্যন্ত স্বামীস্ত্রীর সম্পর্ক বলতে যা বোঝায় তা তাদের মধ্যে গড়ে উঠবেনা । মাঝে মাঝে সে যেমন গ্রামে আসে ঠিক সেইরূপই আসবে । তবে মিত্রার যদি ইচ্ছা করে সে চাকরীর চেষ্টা করতে পারে । গ্রামের দিকে না হোক ,কলকাতার দিকে হলেও কোনো অসুবিধা নেই । লেখাপড়া শিখে শুধু হাতাখুন্তি নাড়ানোর মানষিকতা নিয়ে বসে থাকলে জীবনে অনেককিছু থেকেই বঞ্চিত হতে হবে । ভালো ছাত্রী ছিলে ; তোমার প্রতিটা পরীক্ষার নম্বরও উচ্চমানের । আমার মনেহয় একটু চেষ্টা করলেই তুমি কিছু একটা চাকরী পেয়ে যাবে । মিত্ৰা হা করে সাগরের কথাগুলি শোনে । ঠিকই তো বলছে সে । তবে মনেমনে এটাও ঠিক করে নেয় তার শ্বশুর যতদিন জীবিত আছেন ,ততদিন সে তার কাছেই থাকবে । তবে কলকাতা নয় ,গ্রামের কোনো স্কুলে চাকরীর চেষ্টা সে করে যাবে । পরদিন সাগর কলকাতায় ফিরে যায় । মিত্ৰা আর সাগরের আলাদা করে কোনো কথা আর হয়না । যাবার সময় অনাদিবাবু ছেলেকে একা পেয়ে বলেন ," আমি জানি বাবা ,আমার কথা রাখতে তুমি এই বিয়ে করতে রাজী হয়েছো । তুমি ভেবোনা ,ও এখন থেকে আমার কাছেই থাকবে । আগে তোমার পড়াশুনা শেষ হোক ,নিজে প্রতিষ্ঠা লাভ করো ; তখন না হয় তুমি মিত্রাকে তোমার কাছে নিয়ে যাবে । ও খুব ভালো মেয়ে বাবা । আমি ওকে ওর ছোটবেলা থেকেই চিনি । তুমি দেখো বাবা তোমরা খুব সুখী হবে ।" সাগর কোনো কথার উত্তর দেয়না । নীচু হয়ে ভক্তিভরে বাবাকে প্রণাম করে 'আসি' বলে বেরিয়ে যায় । মিত্রা ছাদের উপর থেকে দাঁড়িয়ে দেখে যতক্ষণ তাকে দেখা যায় । মনেমনে একটা কষ্ট সে অনুভব করে বাবার কথা রাখতে বাধ্য হয়ে সে তাকে মেনে নিয়েছে । কিন্তু মন থেকে কোনোদিনও হয়তো সাগর তাকে মানতে পারবেনা । কিন্তু ঈশ্বর যদি কোনোদিনও আমায় যদি একটুও সুযোগ করে দেন - তাহলে ভালোবাসা দিয়ে ,যত্ন দিয়ে আমি সাগরের জীবনের সব কষ্ট ভুলিয়ে দেবো । তবে এখন থেকে চাকরীর একটা চেষ্টা চালিয়ে যেতেই হবে । ভাগ্যে কি লেখা আছে তা একমাত্র উপরআলায় জানেন ! এদিকে সাগর কলকাতায় ফিরে আসার পর সম্পূর্ণ যেন অন্য মানুষ । সেই উচ্ছলতা ,হাসি ,গান কোনোটাই যেন তার সহপাঠীরা খুঁজে পায়না । সকলে জানতে চায় - " শরীর খারাপ নাকি ? বাড়ির সকলে ভালো তো ? হ্যাঁরে ,তুই কি প্রেমে পড়েছিস ?" কুশল জানতে চাইলে একমাত্র মাথা নাড়ে । বাকি কথা সে এড়িয়ে যায় । স্বরূপার সাথেও দেখা হচ্ছে ,পড়াশুনার ব্যাপারেও কথা হচ্ছে । কিন্তু আলাদাভাবে কোনো কথা বলার সুযোগ স্বরূপা পাচ্ছেনা । কয়েকদিন এভাবে চলার পর সুযোগ বুঝে স্বরূপা সাগরের কাছে জানতে চায় তার কি হয়েছে ? সাগর তাকে বলে ," আমার অনেককিছু বলার আছে তোমাকে । আজ ছুটির পর চলে যেওনা । কথাগুলি তোমাকে বলা একান্ত দরকার ।" স্বরূপা শুধু ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানায় । . কলেজ ছুটির পর দুজনে যেয়ে একটা ফাঁকা জায়গা দেখে বসে । সাগরকে চুপ করে থাকতে দেখে স্বরূপা তাকে বলে ,"তুমি কি বলবে বলছিলে ?" সাগর স্বরূপার মুখের দিকে না থাকিয়েই সমস্ত ঘটনা তাকে জানায় । একবারও সে মুখ তুলে স্বরূপার দিকে তাঁকিয়ে দেখেনা । যদি সে তার দিকে একবারের জন্যও তাকাতো তাহলে সে দেখতে পেতো স্বরূপার চোখের জলে তার পরিহিত পোশাক ভিজে গেছে ! সাগর মুখ নীচু করে সেই একইভাবে বলতেই থাকে । তার সমস্ত কষ্ট, দুঃখ আজ যেন সে উজাড় করে দেয় স্বরূপার কাছে । কোনো রকমে স্বরূপা নিজেকে একটু সামলে নিয়ে সাগরের কথার মাঝখানেই হেসে পড়ে বলে ওঠে ," বিয়ে করেছো - তা এত অপরাধবোধে ভুগছো কেনো ?"
সাগর অবাক হয়ে এবার স্বরূপার মুখের দিকে তাকায় । স্বরূপার মুখে হাসি । কিন্তু সাগর তো আর তার অন্তর দহনটা দেখতে পাচ্ছে ! হঠাৎ করেই স্বরূপা বলে ওঠে ," মেশোমশায়ের কথা রেখে তুমি ঠিকই করেছো । তানাহলে তিনি খুব কষ্ট পেতেন । ভেবে দেখতো - তার অবর্তমানে তুমি যখন তার কথা ভাবতে তখন মেশোমশায়ের কথা রাখতে পারোনি বলে তুমি কতটা কষ্ট পেতে ? যে বয়সেই তিনি যাননা কেন ,তোমার মনে হত তোমার জন্যই এত তাড়াতাড়ি চলে গেছেন । পারতে কোনোদিন নিজেকে ক্ষমা করতে ? পারতেনা ,কিছুতেই পারতেনা । সুতরাং তুমি যেটা করেছো ,তোমার জায়গায় আমি যদি থাকতাম সেটাই করতাম । আমরা যেমন বন্ধু ছিলাম ঠিক তেমনই থাকবো । একটা বছর পর কে কোথায় চলে যাবো আর হয়তো জীবনে দেখাও হবেনা । তুমি সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছো । কিন্তু তোমার কাছে আমার একটা অনুরোধ তুমি আর মুখ গোমড়া করে থেকোনা । তোমার বৌ কলকাতা আসলে আমায় জানিও ,আমি নিজে গিয়ে তার সাথে দেখা করে আসবো । বৌকে কিন্তু কখনোই ভালোবাসায় ফাঁকি দিওনা । তার কিন্তু কোনো অপরাধ নেই । তুমি আমায় ভালোবেসেছিলে ; আমিও তাই । হয়তো আমাদের ভালোবাসাটা চরম পূর্ণতা পায়নি , তাইবলে ভালোবাসাটা কিন্তু মরে যাবেনা । তোমার বা আমার জীবনে যেই আসুকনা কেনো - আমরা কেউই কিন্তু তাকে ঠকাতে পারিনা । তুমি কখনোই মিত্রাকে অবহেলা কোরোনা ।" সাগর মিত্রার মুখে কথাগুলি শুনে ফ্যালফ্যাল করে তারদিকে কিছুক্ষন তাঁকিয়ে থেকে বলে ," তুমি আমায় ক্ষমা করে দিও । " " কি অন্যায় তুমি করেছো যে তোমায় ক্ষমা করতে হবে ? আচ্ছা সাগর ,কি ভাবো বলোতো তোমরা মেয়েদের ?আমরা মেয়েরা সবসময় পরিস্থিতির সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে জানি । ভগবান আমাদের এই ভাবেই তৈরী করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন ।? এক নিঃশ্বাসে কথাগুলি বলে স্বরূপা চুপ করে যায় ।সাগরও চুপ করেই কথাগুলি শোনে । একসময় স্বরুপায় বলে ," চলো এবার , প্রায় সন্ধ্যা হতে আসলো ।" সাগর কোনো কথা না বলেই যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালো ।
ফুলশয্যার রাতে সাগর মিত্রাকে জানালো যতদিন না সে নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে ততদিন পর্যন্ত স্বামীস্ত্রীর সম্পর্ক বলতে যা বোঝায় তা তাদের মধ্যে গড়ে উঠবেনা । মাঝে মাঝে সে যেমন গ্রামে আসে ঠিক সেইরূপই আসবে । তবে মিত্রার যদি ইচ্ছা করে সে চাকরীর চেষ্টা করতে পারে । গ্রামের দিকে না হোক ,কলকাতার দিকে হলেও কোনো অসুবিধা নেই । লেখাপড়া শিখে শুধু হাতাখুন্তি নাড়ানোর মানষিকতা নিয়ে বসে থাকলে জীবনে অনেককিছু থেকেই বঞ্চিত হতে হবে । ভালো ছাত্রী ছিলে ; তোমার প্রতিটা পরীক্ষার নম্বরও উচ্চমানের । আমার মনেহয় একটু চেষ্টা করলেই তুমি কিছু একটা চাকরী পেয়ে যাবে । মিত্ৰা হা করে সাগরের কথাগুলি শোনে । ঠিকই তো বলছে সে । তবে মনেমনে এটাও ঠিক করে নেয় তার শ্বশুর যতদিন জীবিত আছেন ,ততদিন সে তার কাছেই থাকবে । তবে কলকাতা নয় ,গ্রামের কোনো স্কুলে চাকরীর চেষ্টা সে করে যাবে । পরদিন সাগর কলকাতায় ফিরে যায় । মিত্ৰা আর সাগরের আলাদা করে কোনো কথা আর হয়না । যাবার সময় অনাদিবাবু ছেলেকে একা পেয়ে বলেন ," আমি জানি বাবা ,আমার কথা রাখতে তুমি এই বিয়ে করতে রাজী হয়েছো । তুমি ভেবোনা ,ও এখন থেকে আমার কাছেই থাকবে । আগে তোমার পড়াশুনা শেষ হোক ,নিজে প্রতিষ্ঠা লাভ করো ; তখন না হয় তুমি মিত্রাকে তোমার কাছে নিয়ে যাবে । ও খুব ভালো মেয়ে বাবা । আমি ওকে ওর ছোটবেলা থেকেই চিনি । তুমি দেখো বাবা তোমরা খুব সুখী হবে ।" সাগর কোনো কথার উত্তর দেয়না । নীচু হয়ে ভক্তিভরে বাবাকে প্রণাম করে 'আসি' বলে বেরিয়ে যায় । মিত্রা ছাদের উপর থেকে দাঁড়িয়ে দেখে যতক্ষণ তাকে দেখা যায় । মনেমনে একটা কষ্ট সে অনুভব করে বাবার কথা রাখতে বাধ্য হয়ে সে তাকে মেনে নিয়েছে । কিন্তু মন থেকে কোনোদিনও হয়তো সাগর তাকে মানতে পারবেনা । কিন্তু ঈশ্বর যদি কোনোদিনও আমায় যদি একটুও সুযোগ করে দেন - তাহলে ভালোবাসা দিয়ে ,যত্ন দিয়ে আমি সাগরের জীবনের সব কষ্ট ভুলিয়ে দেবো । তবে এখন থেকে চাকরীর একটা চেষ্টা চালিয়ে যেতেই হবে । ভাগ্যে কি লেখা আছে তা একমাত্র উপরআলায় জানেন ! এদিকে সাগর কলকাতায় ফিরে আসার পর সম্পূর্ণ যেন অন্য মানুষ । সেই উচ্ছলতা ,হাসি ,গান কোনোটাই যেন তার সহপাঠীরা খুঁজে পায়না । সকলে জানতে চায় - " শরীর খারাপ নাকি ? বাড়ির সকলে ভালো তো ? হ্যাঁরে ,তুই কি প্রেমে পড়েছিস ?" কুশল জানতে চাইলে একমাত্র মাথা নাড়ে । বাকি কথা সে এড়িয়ে যায় । স্বরূপার সাথেও দেখা হচ্ছে ,পড়াশুনার ব্যাপারেও কথা হচ্ছে । কিন্তু আলাদাভাবে কোনো কথা বলার সুযোগ স্বরূপা পাচ্ছেনা । কয়েকদিন এভাবে চলার পর সুযোগ বুঝে স্বরূপা সাগরের কাছে জানতে চায় তার কি হয়েছে ? সাগর তাকে বলে ," আমার অনেককিছু বলার আছে তোমাকে । আজ ছুটির পর চলে যেওনা । কথাগুলি তোমাকে বলা একান্ত দরকার ।" স্বরূপা শুধু ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানায় । . কলেজ ছুটির পর দুজনে যেয়ে একটা ফাঁকা জায়গা দেখে বসে । সাগরকে চুপ করে থাকতে দেখে স্বরূপা তাকে বলে ,"তুমি কি বলবে বলছিলে ?" সাগর স্বরূপার মুখের দিকে না থাকিয়েই সমস্ত ঘটনা তাকে জানায় । একবারও সে মুখ তুলে স্বরূপার দিকে তাঁকিয়ে দেখেনা । যদি সে তার দিকে একবারের জন্যও তাকাতো তাহলে সে দেখতে পেতো স্বরূপার চোখের জলে তার পরিহিত পোশাক ভিজে গেছে ! সাগর মুখ নীচু করে সেই একইভাবে বলতেই থাকে । তার সমস্ত কষ্ট, দুঃখ আজ যেন সে উজাড় করে দেয় স্বরূপার কাছে । কোনো রকমে স্বরূপা নিজেকে একটু সামলে নিয়ে সাগরের কথার মাঝখানেই হেসে পড়ে বলে ওঠে ," বিয়ে করেছো - তা এত অপরাধবোধে ভুগছো কেনো ?"
সাগর অবাক হয়ে এবার স্বরূপার মুখের দিকে তাকায় । স্বরূপার মুখে হাসি । কিন্তু সাগর তো আর তার অন্তর দহনটা দেখতে পাচ্ছে ! হঠাৎ করেই স্বরূপা বলে ওঠে ," মেশোমশায়ের কথা রেখে তুমি ঠিকই করেছো । তানাহলে তিনি খুব কষ্ট পেতেন । ভেবে দেখতো - তার অবর্তমানে তুমি যখন তার কথা ভাবতে তখন মেশোমশায়ের কথা রাখতে পারোনি বলে তুমি কতটা কষ্ট পেতে ? যে বয়সেই তিনি যাননা কেন ,তোমার মনে হত তোমার জন্যই এত তাড়াতাড়ি চলে গেছেন । পারতে কোনোদিন নিজেকে ক্ষমা করতে ? পারতেনা ,কিছুতেই পারতেনা । সুতরাং তুমি যেটা করেছো ,তোমার জায়গায় আমি যদি থাকতাম সেটাই করতাম । আমরা যেমন বন্ধু ছিলাম ঠিক তেমনই থাকবো । একটা বছর পর কে কোথায় চলে যাবো আর হয়তো জীবনে দেখাও হবেনা । তুমি সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছো । কিন্তু তোমার কাছে আমার একটা অনুরোধ তুমি আর মুখ গোমড়া করে থেকোনা । তোমার বৌ কলকাতা আসলে আমায় জানিও ,আমি নিজে গিয়ে তার সাথে দেখা করে আসবো । বৌকে কিন্তু কখনোই ভালোবাসায় ফাঁকি দিওনা । তার কিন্তু কোনো অপরাধ নেই । তুমি আমায় ভালোবেসেছিলে ; আমিও তাই । হয়তো আমাদের ভালোবাসাটা চরম পূর্ণতা পায়নি , তাইবলে ভালোবাসাটা কিন্তু মরে যাবেনা । তোমার বা আমার জীবনে যেই আসুকনা কেনো - আমরা কেউই কিন্তু তাকে ঠকাতে পারিনা । তুমি কখনোই মিত্রাকে অবহেলা কোরোনা ।" সাগর মিত্রার মুখে কথাগুলি শুনে ফ্যালফ্যাল করে তারদিকে কিছুক্ষন তাঁকিয়ে থেকে বলে ," তুমি আমায় ক্ষমা করে দিও । " " কি অন্যায় তুমি করেছো যে তোমায় ক্ষমা করতে হবে ? আচ্ছা সাগর ,কি ভাবো বলোতো তোমরা মেয়েদের ?আমরা মেয়েরা সবসময় পরিস্থিতির সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে জানি । ভগবান আমাদের এই ভাবেই তৈরী করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন ।? এক নিঃশ্বাসে কথাগুলি বলে স্বরূপা চুপ করে যায় ।সাগরও চুপ করেই কথাগুলি শোনে । একসময় স্বরুপায় বলে ," চলো এবার , প্রায় সন্ধ্যা হতে আসলো ।" সাগর কোনো কথা না বলেই যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালো ।
No comments:
Post a Comment