Monday, October 31, 2016


"ভালোবাসার বেদনা"
                         ( নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী )

অনেক আশার স্বপ্ন আমার ,
 ভেঙ্গে হোলো চুড়মার -
মনের দামটি দিলে না তুমি ,
 পথ হারিয়ে গেলো যে আমার |
ভালোবাসার মায়ায় আমায় ,
 জড়িয়ে কেনো ছিলে ?
স্বপ্ন ভরা বাসর আমার ,
 ভেঙ্গে  কেন  দিলে ?
ভালোবাসার অপর নাম ,
 শিখিয়ে দিলে বেদনা -
 আমার মনটি স্বপ্নে রাঙিয়ে ,
করলে শুধুই ছলনা |
নন্দা  15.10.16  1AM.

Friday, October 28, 2016

"বাঁধন খুলে গেলে"  ( নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী )
=================
স্বপন দেখেছিনু ভোর রাতে ,
তুমি এসে দাঁড়িয়েছো -
মোর দ্বারে খুব প্রভাতে ,
হাসিমুখে আছো দু'হাত বাড়িয়ে -
গেলাম আমি  দু'টি বাহুতে হারিয়ে |
ভোর রাতের স্বপন হয় বুঝি সফল !
তাই বাকি সময় শুধু প্রহর গোনা ,
মনে নিয়ে আশা, ভীরু ভালোবাসা ,
 কখন যাবে  রেলগাড়ির হুইসেল শোনা |
রেলগাড়ি ওই স্টেশনে ,
দাঁড়ালো বুঝি হায় -
তুমি আসবে এবার ,
ভেবেই আমি শরমে মরে যাই |
গেটের বাইরে আওয়াজ শুনে ,
দৌড়ে খুলি দরজা যেয়ে ,
পিওন এসে দাঁড়ালো দুয়ারে ,
চিঠি দিলো একখানি আমারে |
ভেবে হই সারা ,
তোমার আসার খবর আছে ওই- চিঠিতে ,
চিঠি খুলে পড়ে জ্ঞান হারালাম ,
পড়ে গেলাম আমি মাটিতে |
জঙ্গী দমনে গিয়েছিলে তুমি ,
ফিরতে পারোনি তাদের কবল থেকে ,
আমায় তুমি কার ভরসায় রেখে গেলে ?
কি হবে ? আর আমার বেঁচে থেকে ?
সরকার দিলো সম্মান তোমায় ,
অনেক মালা পড়লে গলে ,
আমার পড়ানো মালাটি শুধুই ,
তুমি ছিঁড়ে চলে গেলে !
নন্দা   27.10.16   2-30AM.

Thursday, October 27, 2016

"আকুতি" ( নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী )
++++++++++++++
বাবা ছেড়ে গেছেন ,
বহু আগে তাদের ,
মা-ই ছিলেন শুধু ভরসা ,
মৃত্যুর কোলে শায়িত তিনি ,
ছেলের চোখে নামে বরষা |
মা কেঁদে বলে ,"খোকারে আমার -
থাকিস ভালোভাবে ,
ঘরের তাকে রেখেছি তুলে ,
নারকেলের নাড়ু আর মোয়া বেঁধে |

জামা , প্যান্ট তোর কেঁচে রেখেছি ,
মাটির বড় জালাতে ওই ,
আমি চলে গেলে পৃথিবীতে তোর
থাকবে নাতো কেউ |"
কথা নেই কিছু ছেলের মুখে ,
চুপটি করে আছে পড়ে মায়ের বুকে ,
একটু একটু করে নিঃশ্বাস মায়ের ,
বন্ধ হবার পথে ,
ছেলে ভাবে মনে মনে ,
"ভগবান তুমি এত নিষ্ঠুর কেন ?
জম্মের পরেই বাবাকে নিলে ,
এখন মাকে কেন টানো ?
মায়ের সাথে আমাকেও নাও ,
বাঁচতে আমি চাই না ,
মা ছাড়া আমার ভুবন আঁধার ,
আমি যে আঁধারে পথ চিনি না |"
নন্দা   26.10.16  2AM.

Wednesday, October 26, 2016


"খোকা ও পাখির সংলাপ"
                                   (নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী )
খোকা -- ছোট্ট পাখি খাঁচার ভিতর ,
              কেনো ঝাঁপটাস তোর ডানা ,
              কত সুখে রেখেছি তোকে ,
              শুধু উড়াই  তোর মানা |
পাখি ---এ সুখ আমি চাই না খোকা ,
             ছেড়ে আমায় দাও ;
             উড়বো আমি মনের সুখে ,
             আমায় স্বাধীন হতে দাও |
খোকা --কেন পাখি ?তোমায় আমি ,
              রোজ খেতে দেই সকাল বিকাল ,
              বাইরে আছে অনেক পাখি ,
             খাবারের যে বড়োই আকাল |
পাখি ---আমরা হলাম ছোট্ট জীব ,
                একটু পেলেই খুশি ,
               ভাগ করে খাই সবাই মিলে ,
              চাইনা কেউ একটুও যে বেশি |
                তোমরা হলে শ্রেষ্ঠ জীব ,
               তোমাদের চাই অনেক -
               আমরা থাকি মিলে মিশেই ,
               গাছের একটি ডালেই |
              দাওনা আমায় ছেড়ে খোকা ,
              শুধু উড়তে আমি চাই -
              যতই থাকুক খাবার কাছে ,
               বদ্ধ খাঁচায় সুখ মোটে নাই |
নন্দা  25.10.16   4pm.                                        

Tuesday, October 25, 2016

"হায়রে নারী জীবন"
                                ( নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী )

ছেলেবেলার দিনগুলি সব ,
কাটলো যেন তাড়াতাড়ি ,
কৈশোর যেন দাঁড়ালোই না ,
দিলো পরের বাড়ি পাড়ি |
পরের  ঘরে অজানা সব ,
জানতে হবে নানান ভাবে ,
নিজের ব্যথা বুকে চেপে ,
তাদের ব্যথা ভুলাতে হবে |
যতই নারীর শিক্ষা থাক
হোকনা সে চাকুরীজীবী ,
স্বাধীনতায় তার না থাক বাঁধা !
সকল কাজে অনুমতিতেই সাধা |
বাপের দেওয়া পদবী তার ,
বিয়ের পরেই ছাড়তে হবে ,
পরের ঘরে থেকেই তবে ,
পরকে আপন করতেই হবে |
শ্বশুরবাড়ি যদি হয় ভালো ,
সম্পর্ক থাকবে বাপের ঘরের সাথে ,
তারা যদি না চায় তা ,
পারবেনা আসতে   কোনো মতে |
চাকুরীজীবি নারী তুমি ,
সরকার দিলো অবসর ,
সংসারে তোমার নেই কোনো ছুটি ,
সেবা যত্ন ,কাজের থাকবেনা কোনো ত্রুটি |
পুরুষ তুমি রাজা মানুষ ,
অফিস দিলো অবসর ,
মোবাইল আর রিমোট নিয়ে ,
খেয়ে, দেয়ে  কাটাও  সময় তোমার  |
নেই কোনো অবসর সব নারী জীবন !
মানো বা না মানো -
যুক্তি তর্ক যতই দেখাও ,
ফিরবেনা এই সমাজের চেতন |
জানি গো জানি ,বলবে সবে -
সব পুরুষ সমান নয় ,
তর্কের খাতিরে মেনেও নিলে ,
আদিকাল থেকে চলছে এটাই ভবে |
নন্দা   25.10.16  2AM.



Monday, October 24, 2016

"চিরকুট' 
                     নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

তুমি আমার স্বপ্নের সারথি হবে ?
তোমার সাথে পাড়ি দেবো জীবনসাগর ,
তুমি আমার আশার কুঁড়ি হবে ?
সে কুড়ি আমরা দু'জনে মিলে ফুঁটিয়ে রাখবো আজীবন -
হবে কি তুমি আমার বিশ্বাস ?
চোখ বন্ধ করে -
যার হাত ধরে আমি সারাটা জীবন চলতে পারবো |
নন্দা   21.10.16   1-30 AM.

Thursday, October 20, 2016


শুনেছি তন্ত্রসাধনার মাধ্যমে মানুষ মানুষের ক্ষতি করে | সেটাও তো সেই মা কালির সাধনা করেই অন্য সন্তানের ক্ষতি করা | আচ্ছা এই ক্ষতি কি দীর্ঘস্থায়ী হয় ? জানি অনেকে বিজ্ঞানের যুগে এটা বিশ্বাস করবেন না ; কিন্তু আমি ভুক্তভুগি এবং বিশ্বাস ও করি | স্বয়ং দেবী মা সন্তানের ক্ষতি করছেন ; ভক্তের আকুল প্রার্থনা শুনে , সকলেই মায়ের সন্তান অথচ মা সন্তানের অমঙ্গল করছেন | বাস্তব ক্ষেত্রেও অনেক সময় দেখা যায় জম্মদাত্রী মা ও সন্তানের অমঙ্গল চান ; পৃথিবীতে অনেক মা-ই আছেন যারা সন্তানের অমঙ্গল কামনা করেন ,তাদের সুখ সহ্য করতে পারেন না | বিশেষতঃ ছেলের বিবাহের পর পরের মেয়েটাকে যখন সহ্য করতে পারেন না তখন তার আসল রূপ ধরা পরে | নানান ভাবে ছেলেকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যাতে সে তার বৌয়ের কথা না শোনে | বুদ্ধিমান ছেলে হলে নিজ চোখে ও নিজ কানে  বৌ ও মায়ের কথোপকথন লুকিয়ে শুনেই বুঝতে পারে কে প্রকৃত দোষী | আর তখন বৌয়ের পক্ষ নিলেই ওই ছেলেটি পরিবারের চোখে বৌ ভেড়া হয়ে যায় | আবার অনেক মা নিজের সন্তানকে রেখে পরপুরুষের সাথে পালিয়েও যায় | মায়ের গোপন কিছু জেনে ফেলায় অনেক মা নিজ সন্তানকে সুপারি কিলার দিয়ে খুন ও করায় | যে মিথটা শত শত বছর ধরে চলে আসছে -"কু সন্তান অনেকের হয় , কু মাতা কখনোই নয় -" আজ এটা ভুল প্রমাণিত | নিজ অভিজ্ঞতা থেকে বললাম ; সকল নারীর প্রতি সম্মান রেখেই কারণ আমিও এক নারী ...

"জীবন নাটক"  ( নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী )
~~~~~~~~~~~~~~~~~
জীবনের কিছু স্বপ্ন ,
  সমুদ্রের স্রোতের মত ভেসে যায় -
আর কিছু তার পূর্ণতা পায় |
কিছু সম্পর্ক বেঁচে থাকার তাগিদে ,
 মেনে নিতে হয় -
আর কিছু সম্পর্ক -
 মন না চাইলেও ভেঙ্গে দিতে হয় |
জীবনের খেলাঘরটা যোগ বিয়োগের রঙ্গমঞ্চ -
এখানে গুণ আর ভাগ বলে কিছু নেই ,
নাটকের এক একটি অংশ ,
দিনের এক একটি ঘটনা ,
মৃত্যুই জীবন নাটকের শেষ অঙ্ক |
নন্দা   19.10.16   12-15AM.

Wednesday, October 19, 2016


'কেবল আমার'  ( নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী )
-------------------------
এক আকাশের নীচে ,
থাকি আমরা সবাই ,
রাখিনাতো খোঁজ ,
কি ভাবে চলে পরস্পরের রোজ |
একের কষ্টে অন্য়ে কাঁদি ,
কখনো বা তা দেখে হাসি ,
বিপদে পড়লে নিজের পিঠ বাঁচাতে ,
যে যার মতই  শুধু সরে পড়ি |
মানুষ আমরা খাতায় কলমে ,
সংবিধানে আছে অধিকার ,
নেই কারও মান, নেই কারও হুস ,
সব কিছুই কেবল-'আমার আমার'|
নন্দা  18.10.16.

Tuesday, October 18, 2016

"হৃদয়ের ক্যানভাস" ( নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী )
................
মনের মাঝের  স্বপ্ন নিয়ে ,
 রং তুলি ছাড়া এঁকেছি অনেক ছবি ;
ক্যানভাস সেখানে হৃদয় আমার ,
মনে মনে আমি হয়েছি শিল্পী বুঝি !
শিল্পীর ছবি বিকোয় চড়া দামে -
চাইনা আমি স্বপ্নের ছবি বেঁচতে ,
যাকে নিয়ে আমি রচেছি স্বপ্ন ;
দিতে চাই শুধুই যে তাকে |
জগৎ জানবেনা আমার রচনা ,
 জানবে শুধুই একজনা ,
আজও তাকে আমি খুঁজে খুঁজে ফিরি ;
জানিনা এখনো আমি তার ঠিকানা |
নন্দা
17.10.16  10-30pm.

Monday, October 17, 2016

আমার গান :-
সখা,আমি বসে একা -
কবে পাবো তব- দেখা ,
ভালোবাসায় দেবে ভরিয়ে ,
দু'হাত বাড়িয়ে কাছে টেনে নেবে ,
সব বেদনা দেবে ভুলিয়ে |
কতজনে বলে, ভালোবাসি ভালো-বাসি -
আমি পাই খুঁজে, শুধু লালসা ..
পেতে চাই আমি- তব দুটি চোখে ,
অহংকারে ভরা ভালোবাসা -
জানি সখা জানি ,
হবে না দেখা কভু -
এ জীবনে তোমার আমার -
তবু ছলনায় আমি ;ভুলিয়ে রাখবো মন -
সত্যিকারের প্রেমেরই আশায় ,
তোমার বিহনে কাটবে জীবন মোর ,
যতদিন বাঁচবো এই ভুবনে |

নন্দা   27.2.16
'অঙ্গার'  ( নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী )
""""""""""
তোমার বিহনে পুড়ে পুড়ে আমি ,
   হয়েছি যে অঙ্গার -
কখনো তুমি চাওনি জানতে ,
    কি ব্যথা লুকানো বুকে যে আমার |
তোমার তরেতে গাঁথা বকুলের মালা ,
    শুকিয়ে গেছে যে হায় !
সুবাস তার হারায়নি আজও -
    তোমার ভালোবাসার গন্ধ যে  ,
আজও  সে আমায় বিলায় |
নন্দা   22.9.16   9-30pm.

Sunday, October 16, 2016

সত্য মাঝে মাঝে খুব কঠিন হয় -
তাই বাস্তবকে মেনে নিতে হয় -
একটা মিথ্যে সাময়িক আনন্দ দেয় -
সারাজীবন যার ভার বইতে হয় -
নন্দা    22.1.16.

Saturday, October 15, 2016

"ভাবনার ফসল"  (নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী )
**********
ভাবনার ফসলগুলো হয়ে যায় এলোমেলো -
পায় না খুঁজে তারা ঠিকানা -
জীবন যুদ্ধের হার জিতের খেলায় -
হেরে গেলে মন ভরে যায় বেদনায় ;
অমানিশার পরে আসে পূর্ণিমার চাঁদ -
সকলে কেন তবে ভুলে যাই   ,
আঘাতের বিনিময়ে আঘাত দেওয়া -
হয়ে গেছে আজ যেন রীতি হায় !
আঘাতের বিনিময়ে কাছে যদি  টানো তাকে ,
ভালোবাসা পেলে দেখো ভালো মানুষ হবে সে |
নীচে যাকে ফেলছো আজ তুমি ,
কালকে সে টেনে নামবে তোমাকেই |
কিছু স্বার্থ ত্যাগ করে বাঁচা যদি যায় তবে -
সকলকে ভালোবেসে সুখী হবে তুমিই ভবে ;
সুখ পাখি ,সুখ পাখি করে যে সকলে ,
ধরা দেবে তখন সে নিজে থেকে |
নন্দা   14.10.16   2am.

Thursday, October 13, 2016

"কত স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়"  (নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী )
+++++++++++
বাতাসের বুক চিরে -
    হাহাকার আজিকে -
অত্যাচারিতের  পাশে কেউ  নেই -
    চারিদিকে অন্ধকার কোথাও আলো নেই -
কালোমেঘ ছেঁয়ে রেখেছে আকাশকে |
ভালোবাসা দিয়ে গড়া ছোট্ট সংসার -
    মাতাল স্বামীর কাছে মেনেছে পরাজয় -
সুখে ,দুখে পাশে থাকার অঙ্গীকার -
    নেশার কাছে মানে সব হার |
কত স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় -
    নেশা করার আনন্দেতে -
কেউ তার কোনো খবর রাখে না |
    মিতাহীন হয়ে পড়ে কত বাপ্ ও মায় -
বোন হারা কত ভাই অসহায় |
    প্রিয়জন হারানোর যন্ত্রণার ঢেউগুলি -
আমরণ আর যে থামে না ;
    বিচারের নামে চলে শুধু যেন প্রহসন ,
সুবিচার আজ আর মেলে না !!
নন্দা   13.10.16   9pm.

Wednesday, October 12, 2016

"কেন ডাক আমায়"  ( নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী )
.............................
স্বপ্ন রাতে ডাকে আমায় -
  আয়রে চলে আয় ;
ফেলে আসা দিনগুলিতে -
  চলনা চলে যাই |
সেথায় বিকাল হলে ছুটাছুটি ,
  টিফিন বেলায় হুটোপুটি ,
ছুটির ঘন্টা পড়ার আগেই -
  বোগলে নিয়ে বই ;
এদিক ওদিক তাঁকিয়ে খুঁজি ,
  প্রিয় বন্ধুটি কই ?
ছুটির দিনে  পুকুরেতে সাঁতার কাটা -
  শাপলা তুলে জড়ো করা ,
হাঁসের সাথে পাল্লা দিয়ে ;
  ডুব সাঁতারে পুকুর পাড় |
ধানি জমির আলটি বেয়ে -
  অনেক দূরে হেঁটে যাওয়া ,
হাঁটতে হাঁটতে  নীচু হয়ে ,
  দুস্টুমিতে অন্যের জমির -
সিম আর কড়াই তোলা |
দিনগুলি সব ফেলে এসে -
  হয়ে গেছি আজ যে বড় ,
স্বপন মাঝেই আসে তারা ;
  বাস্তবেতে দেয়না  ধরা |
নন্দা   12.10.16.  10-30PM.
 

Monday, October 10, 2016

"পথ ভোলা"  (নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী )

আমি তো ঠিক তেমনই আছি -
    শুধু বদলে গিয়েছো তুমি ,
আজও তোমার কথা মনে হলে ,
    কাঁদি শুধু  একা আমি |
কথা দিয়েছিলে কাছে কাছে রবে ;
   হয়তো গিয়েছো ভুলে -
নীড় হারা পাখি সাথী খুঁজে ফেরে ;
    তোমারই মত সেও গেছে পথ ভুলে |

"নন্দা"    30.4.15.
'নীরব কেন তুই'  ( নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী )
আর থাকিস না নীরব তুই -
   মুখর হ এবার ,
তোর নীরবতায় আমার স্বপ্ন সব ,
    ভেঙে -হবে যে চুড়মার |

আর থাকিস না শান্ত তুই ,
    উচ্ছাস হ এবার -
তোর শান্ত স্বভাব ;
    উঠবে আমার জীবনে যে ঝড় ,
আর ফেলিস না চোখের জল তুই ,
    তাকাস না আর ডাইনে বায় ,
বুক ফুলিয়ে সামনে তাঁকিয়ে -
    বলনা তুই -"ভালো-বাসিস আমায় |

নন্দা   17.1.14     

Saturday, October 8, 2016

"অবাক শহর" ( নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী )
.....................
সোঁদা মাটির গন্ধ ছেড়ে -  
   যেদিন আমি কোলকাতে এলাম -
গগনচুম্বি অট্টালিকার মাঝে -
   গরীবের রক্তের দাগ আমি দেখেছিলাম |
কাজের আশায় অফিসের -
    দ্বারে দ্বারে ঘুরে বুঝেছিলাম -
মানুষের মনটা এখানে নরম নয় -
    ইস্পাত কঠিন পাথরের মন এদের |
ভালোবাসা বলতে বোঝে দামি গাড়ি ,বাড়ি ;
    এদের কাছে বাবা ,মা জঞ্জাল স্বরূপ |
টাকা দিয়ে রাখে তাদের অন্যখানে ,
   সন্তান হয়ে পরিচয় দিতে লজ্জা পায় -
কথা দিয়ে কথা কেউ রাখে না ,
    কেউ কারও সম্মানের দাম দেয় না -
সব মানুষগুলি কেমন যেন বহুরূপী -
  স্বার্থ ছাড়া কেউ কিছু বোঝে না ,
রাস্তা-ঘাটে নারী শুধু অসহায় ,
    মানবরূপী দানবগুলির স্বীকার হয় ,
বিচারের নামে চলে শুধু প্রহসন ,
    যার যত টাকা আছে -
সেই শুধু পায় বড় আসন |

নন্দা   29.03.16   8PM.

Thursday, October 6, 2016

"বুঝবে সেদিন"  ( নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী )
{}{}{}{}{}{}{}{}{}{}{}{}{}{}{}{}{}{}
আঘাত দেওয়া স্মৃতিগুলি -
 বুকের মাঝে নিয়ে -
পাহাড় ,সাগর ,মরুভুমি -
 একাই বেড়াবে বয়ে |
চোখের জলে ভিজবে রুমাল -
 ভুলবে নাওয়া খাওয়া -
বুঝবে তখন তুমি সেদিন -
 ভালোবাসার দহন জ্বালা |
যতই তুমি খোঁজো আমায় -
 পাবে না আর দেখা -
চোখের জলে ভিজিয়ে বালিশ -
 বুঝবে - জীবন তোমার ফাঁকা |
"নন্দা"  25.8.16   10PM.

Wednesday, October 5, 2016

"মিছে নয়"  (নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী )
.............
রাতের আঁধারে একা একা বসে -
    ভাবি কত কথা -
ফেলে আসা দিনের -
    স্মৃতিগুলি মনে হলে -
প্রাণে জাগে কত ব্যথা |
বকুলের মালা গেছে শুকিয়ে -
    তবু আছে গন্ধ তাতে -
ভালোবাসার মালা ঝরে গেছে -
    কথাগুলো হয়েছে মিছে |
ফুলে ভরা ছিলো বাসর আমার -
    ভেঙ্গে চুড়ে  হোলো চুরমার -
কি যে অপরাধ জানিনা আমি -
    স্বপন ভেঙ্গে হোলো খানখান |
আজও আশা জাগে মম প্রাণে -
    হয়তো ফিরবে তুমি -
ভালোবাসা মোর ছিলোনা মিছে -
    কি করে বোঝাবো আমি ?
নন্দা   26.9.16   1-30AM.
"জীবন নিয়ে খেলা"  (নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী )
-------------
জীবনের কিছু পরাজয় -
 মেনে নিতে হয় -
আশায় আশায় দিন চলে যায় -
কিছু আশা অপূর্ণই থেকে যায় |
ভালোবাসা ,স্বপ্ন দেখা -
কিছু পাওয়া ,কিছুটা বা না পাওয়া -
এ ভাবেই ভেসে চলে জীবনতরী -
রোগ ,যন্ত্রনা ,দুঃখ সুখে -
চেষ্টা করি থাকতে পরম সুখে |
হঠ্যাৎ আসা ঝোড়ো হাওয়ায় -
মাঝে মাঝে থমকে দাঁড়ায় -
বাঁচার জন্য শুধুই লড়াই -
মিছেই মোদের অহং-কারের বড়াই |

নন্দা 4.10.16   9-30PM.

Sunday, October 2, 2016


"খুশি শুধু খুশি"  ( নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী )

সন্ধ্যা বেলায় সাঁঝের আকাশ ,
বললো আমায় ডেকে ,
ওই দেখনা   ফুটেছে শিউলি ,
আননা পেড়ে গাছ থেকে |
শিউলি বলে আমায় তুলে ,
দিও মায়ের চরণ তলে ,
ধন্য হবে জীবন আমার ,
গেলে মায়ের পদ  তলে |
আকাশ আমায় আবার বলে ,
জোস্না ভরা রাতে ,
কাশফুলগুলো নাচছে দেখো ,
তুলে এনো কাল প্রভাতে |
আসছে পুজো ,বাজছে ঢাক ,
মন সকলের খুশিতেই ভরে থাক,
রোগ,যন্ত্রনা, দুঃখ ব্যথা ,
সারাবছরই সাথী ,
এগুলি সব ভুলে যেয়ে ,
এ কটাদিন  খুশিতেই মেতে থাকি |
নন্দা  2.10.16  2am.
"কেনো গো কাঁদো"  ( নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী )
====================

হরিণ নয়না চোখ দু'টিতে ,
অশ্রু কেনো ঝরে ?
বলোগো তোমায় দিলো কে আঘাত ?
কাঁদছো কেন এমন করে ?
ও চোখে যখন  ঝরে জল ,
বুকেতে আমার উঠে ঝড় ,
সে ঝড় থামাতে তুমিই পারো ;
মুখে একটুখানি হাসি ধরো |
হাসিতে তোমার মুক্ত ঝরে ,
সে হাসি আমায় পাগল করে ,
আমি হতে চাই-তোমার চোখে পাগল ,
মানায় না ঐ চোখেতে একটুও যে জল |

নন্দা  02.10.16  1-45am.
"তোমাকেই চাই"  ( নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী )
হাতের কঙ্কন বাজে রিনিঝিনি -
মন বলে মোর তোমাকেই শুধু চিনি -
জানি জানি প্রিয় তুমি আসবে -
কানে কানে মোর ভালোবাসার কথা বলবে |
চোখ দু'টি খোঁজে ওই মুখখানি -
কান দু'টি সজাগ শুনতে তব পদধ্বনি -
ঠোঁট দু'টি মোর থর থর কাপে -
তোমারই পরশের লাগে |
জুঁই ফুলে মোর কবরী বেঁধেছি _
ভালোবাসো তুমি তাই -
ডাগর চোখে কাজল এঁকেছি -
শুধু তোমারই পরশ পেতে চাই |
শিহরিত বুক কাঁপে ঘন ঘন -
পথ চেয়ে বসে আছি -
তাড়াতাড়ি এসে দু'বাহুতে জড়িয়ে বলো -
"শুধু তোমাকেই ভালোবাসি" |
--------------
নন্দা   26.9.16  2AM.

Saturday, October 1, 2016

"তোমাদের জন্য"  ( নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী )  ^^^^^^^^^^^       ছেলেকে ঘুম পাড়াতে পাড়াতে বার বার ঘড়ির কাটার দিকে চাইছে সুমিতা | আজ রাহুল বলে গেছিলো সন্ধ্যাতেই ফিরে আসে ফ্ল্যাটের শেষ কিস্তির টাকাটা দিয়ে দলিলটা নিয়ে আসবে | কিন্তু রাত বারোটা হতে চললো এখনো রাহুল ফিরলো না দেখে সুমিতা খুব চিন্তায় পরে গেলো | হঠ্যাৎ কলিং বেলের আওয়াজ | সুমিতা দৌড়ে যেয়ে দরজা খুলে দেখে রাহুল দাঁড়িয়ে কিন্তু তার সর্বশরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে | সুমিতা দেখতে পেয়ে চিৎকার করে উঠলো ,   --কি হয়েছে তোমার ?      এ কথার উত্তর না দিয়ে রাহুল তাকে বললো ,   --তুমি টাকাটা দাও | আজ ফ্ল্যাটের শেষ কিস্তির টাকাটা দিয়ে দলিলটা নিয়ে আসি | এর পর আর সময় পাবো না |    --কিন্তু এত রাতে এই অবস্থায় - তোমার কি হয়েছে বোলো ?   -- সব শুনতে পাবে | আগে টাকাটা নিয়ে আসো |        কিংকর্তব্যবিমূড় সুমিতা আলমারি খুলে টাকাটা নিয়ে গেলো কিন্তু রাহুল হাতে হাতে নিলো না |    -- নীচুতে রাখো আর একটা প্লাস্টিক ব্যাগ নিয়ে এসো | হাতে রক্ত লেগে আছে টাকার গায়ে লেগে যাবে |    সুমিতা টাকাটা নীচুতে রেখে ঘরে গেলো প্লাস্টিক আনতে | ফিরে যেয়ে দেখে টাকা নিয়ে রাহুল বেড়িয়ে গেছে | সুমিতা ভাবতে লাগলো তাহলে রাহুল প্লাস্টিক আনতে কেন বললো ? ভাবতে ভাবতে ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে এসে দাঁড়ালো | তিনতলা ফ্ল্যাটের এতগুলি সিঁড়ি ভেঙ্গে নামতে নিশ্চয়ই তার অনেক সময় লাগবে | কিন্তু ব্যালকনিতে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও সে রাহুলকে দেখতে পেলো না |সারারাত উৎকণ্ঠা আর দুঃচিন্তা করতে করতে ভোরের দিকে সুমিতার চোখ দু'টি ঘুমে জড়িয়ে আসলো | বেলের আওয়াজ পেয়ে রাহুল এসছে ভেবে ছুটে যেয়ে দরজা খুললো | কিন্তু না , তার রাহুল আসেনি | তার ফ্ল্যাটের আশেপাশের কিছু লোকজনকে দেখে সে জানতে চাইলো ,   -- কি ব্যাপার ? এত ভোরে আপনারা সবাই ?   --আপনি কিছু জানেন না ?কিছু শোনেননি এখনো ?   --আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না , আপনারা কি বলছেন ?     এক প্রতিবেশিনী সুমিতার দরজার সামনে পড়ে থাকা পেপারটা হাতে ধরিয়ে বলে ,"প্রথম পাতাতেই আছে |"সুমিতা কাগজটা নিয়ে তাড়াহুড়ো করে প্রথম পাতায় চোখ রাখে - "তরুণ ট্রাফিক সার্জন রাহুল মজুমদারের অকাল মৃত্যু"-- এক নিঃশ্বাসে পুরো খবরটা সুমিতা পড়ে | সেদিন রাহুলের ডবল ডিউটি ছিল | একটা শেষ করে অন্যকে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে ব্যক্তিগত কাজের জন্য দ্বিতীয় শিফটে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলো | কাজের তাড়ার কারণে সে ট্রাফিক সিগন্যাল ছাড়াই শহরের ব্যস্ততম রাস্তা কার্জন পার্কের কাছ থেকে দৌড়ে পাড়  হতে গিয়ে বিকাল পাঁচটার সময় এক্সসিডেন্ট করে এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান |  পড়তে পড়তে সুমিতা জ্ঞান হারায় | সকলের চেষ্টায় যখন তার জ্ঞান ফেরে তখন প্রতিবেশী এক ভদ্রলোক প্লাস্টিকের কাগজে মোড়া একটি ব্যাগ এগিয়ে দেন তার দিকে | সুমিতা ব্যাগটি দেখে চমকে ওঠে | এই ব্যাগটিই তো কাল রাতে ঘরে ঢুকে রাহুল বলাতে সে নিতে এসছিল | হঠ্যাৎ তার মনে পড়ে যখন ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সে রাহুলকে দেখার চেষ্টা করছিলো তখন হাতের থেকে প্লাস্টিক ব্যাগটা পড়ে গেছিলো | ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করে ,  --কোথায় পেলেন আপনি এটা ? --আপনাদের লেটার বক্সে ছিলো |   সুমিতা খুলে দেখে ফ্ল্যাটের দলিল | বিড়বিড় করে বলতে থাকে ," রাহুল ঈশ্বর তোমাকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিলেন কিন্তু তুমি আমাদের মাথার উপর ছাদ টুকু কাউকেই কাড়তে দিলে না | শেষ মুহূর্তেও তুমি সেটা রক্ষা করেই গেলে |"  """"""""""""" নন্দা   28.9.16  9-30PM.