"দারিদ্রের অভিশাপ"
নন্দা মুখার্জী রায় স্কুল ছুটির পর দুই বিনুনী ঝোলাতে ঝোলাতে রেখা বিজিতের দিকে চিৎকার করতে করতে ছুঁটে আসতে থাকে ,"বিজিত একটু দাঁড়া ,তোর সাথে কথা আছে|" বিজিত রাস্তার মাঝখানেই দাঁড়িয়ে পড়লো | দুজনে একই স্কুলে দশম শ্রেণীতে পড়ে | কিন্তু ছেলে এবং মেয়েদের আলাদা বিল্ডিং | ছেলেবেলা থেকেই দুজনের সাথে খুব বন্ধুত্ব | একই পাড়ায় দুজনেরই বাড়ি | মিনিট পাঁচেকের হাঁটা পথ | দুই বাড়ির সকলেই জানে তাদের মধ্যে এই গাঢ় বন্ধুত্বের কথা | পাড়ার অনেকেইভাবে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক | আসলে আমাদের বাঙ্গালীদের সমাজটাই এইরূপ ! একটি ছেলে ও একটি মায়ের মধ্যের বন্ধুত্বের সম্পর্কটিকে ভালোভাবে নেয় না | এটা তারা বাঁকা দৃষ্টিতে দেখবেই | রেখা হাঁফাতে হাঁফাতে এসে বিজিতকে একটা টিফিনবক্স দিয়ে বললো ,"এইনে মা তোকে গাজরের হালুয়া রান্না করে পাঠিয়েছেন ,টিফিনের সময় তোকে খুঁজে পাইনি |" বিজিত ছো মেরে নেওয়ার মত টিফিন বাটিটা নিয়ে মুখে হাসি আনে বললো ," গাজরের হালুয়া ? মাসিমা দারুন করেন ,কালকে তোর বাটি ফেরত দেবো |" কখনো বিজিত রেখাদের বাড়ি যেয়ে সারাদিন থাকছে ,খাচ্ছে আবার কখনো বা রেখা বিজিতদের বাড়িতে | এইভাবেই দিন গড়িয়ে যেতে থাকে | দেখতে দেখতে তারা মাধ্যমিক ,উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে একই কলেজে ভর্তিও হয় | বন্ধুত্বটা ঠিক সেই আগের মতোই থেকে যায় | কলেজের বন্ধু মহলও ভাবতো দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক | এ নিয়ে তারা হাসি ,ঠাট্টাও করতো | কিন্তু দুজনের কোনো হেলদোল ছিলোনা কারণ ছেলেবেলা থেকে এগুলি শুনতে শুনতে দুজনেরই গা সওয়া হয়ে গেছে | কিন্তু বন্ধুত্বে কোনো চিড় ধরেনি বা একে অপরের প্রতি কখনোই দুর্বল হয়ে পড়েনি | দ্বিতীয় বর্ষে পড়াকালীন সময়ে হঠাৎ একদিন রেখাবিজিতদের বাড়িতে এসে বলে," তোর সাথে একটা কথা আছে ,খুব দরকারি - একটু বাইরে চল | বিজিতকে নিয়ে বাইরে এসে একটি ছেলের সাথে পিরচয় করিয়ে দেয় | "এর নাম সৌনক | কমপিউটার ইঞ্জিনিয়ার | কয়েক মাস হলো একটা কোম্পানীতে চাকরী পেয়েছে | ---আমাকে এগুলি কেন বলছিস ? --- তোকে ছাড়া আর কাকে বলবো বল ? আমি সৌনককে ভালোবাসি | বিজিত একটু হেসে পরে বলে ,"সে আমি বুঝতে পেরেছি |তা এখন আমাকে কি করতে হবে ? ---আরে বাবা ! তোকে কিছুই করতে হবেনা | তুই আমার ছেলেবেলার বন্ধু | তাই তোকেই সবার আগে জানালাম | বিজিতের সাথে সৌনকের একটা সুসম্পর্ক গড়ে উঠলো | এখন অধিকাংশ সময় তারা তিনজনেই এদিক ,ওদিক ঘুরে বেড়ায় | এইভাবে বেশ চলছিল দিনগুলি | কিন্তু হঠাৎ একদিন খুব রাতে রেখার মা বিজিতকে ফোন করে জানতে চায় ; রেখা তাদের বাড়িতে আছে কিনা | বিজিত মাসিমাকে জানায় আজ সারাদিন রেখার সাথে তার দেখা হয়নি | একথা শুনে মাসিমা তাকে বলেন যে সন্ধ্যা থেকে রেখাকে পাওয়া যাচ্ছেনা | সঙ্গে সঙ্গে বিজিত সাইকেল নিয়ে রেখাদের বাড়ি চলে আসে | সেখানে যেয়ে সে জানতে পারে কোনো এক প্রতিবেশিনী রেখাকে একটি ছেলের সাথে ঘুরতে দেখেছেন | ছেলেটি যে বিজিত নয় তাও তিনি উল্লেখ করেছেন | রেখাকে জিজ্ঞেস করতে রেখা পরিষ্কার জানিয়ে দেয় সে ওই ছেলেটিকে ভালোবাসে এবং তাকেই বিয়ে করতে চায় সে | রেখার বাবা খবর নিয়ে জানতে পারেন ,ছেলেটিদের অবস্থা মোটেই ভালো নয় | বিবাহযোগ্যা দুই বোন আছে | একমাত্র রোজগেরে ওই ছেলে | খুবই অভাবের মধ্য দিয়ে ওদের দিন চলে | কিন্তু রেখাকে তারা বুঝাতে অক্ষম হন যে এখানে বিয়ে হলে সে ভালো থাকবেনা | শুধু ভালোবাসা দিয়ে জীবন চলেনা | কিছুটা তর্কবিতর্ক ঝগড়াঝাটির পরে রেখা রাগ করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায় সকলের অলক্ষ্যে | পরে তাকে দেখতে না পেয়ে ভেবেছিলেন রেখা বুঝি বিজিতদের বাড়িতেই গেছে | খারাপ কিছু তাদের মনেহয়নি | বিজিত রেখার বাবার কাছ থেকে সৌনকদের ঠিকানা নিয়ে সকাল বেলাতেই তাদেরবাড়িতে হাজির হয় ; কারণ বারবার ফোন করা শর্তেও রেখা ও সৌনকের সুইচ অফ পায় | ছোট্ট একটি ভাড়াবাড়ি ,দু'টি মাত্র বেডরুম | বিজিত ঘরে ঢুকে দেখে রেখার একমাথা সিঁদুর | হাতে শাঁখা ,পলা | বৌ বেশে রেখাকে বেশ লাগছে | গায়ে কোনো গয়না নেই বললেই চলে | রেখাকে দেখতে পেয়ে বিজিত যতটা না আনন্দিত হয় ; তার থেকে কষ্ট পায় বেশী | মাসিমাতো ঠিক কথায় বলেছিলেন | বাড়ির সর্বত্র একটা দারিদ্রের ছাপ | রেখা এখানে কি ভাবে সুখী থাকবে ? ওই পরিবেশ থেকে এসে সে কি ভাবে এখানে মানিয়ে নেবে ? বিজিতকে দেখে রেখা খুব খুশি হয় | কিছুক্ষন ওখানে কাটিয়ে বিজিত রেখাদের বাড়িতে ফিরে এসে সব ঘটনা মাসিমা ,মেশোমশাইকে খুলে বলে | দিনের পর দিন রেখার মা ,বাবাকে বুঝিয়ে রেখা ও সৌনককে মেনে নিতে রাজি করায় বিজিত | সে নিজেই যেয়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে | বছর খানেক বেশ হাসি ,খুশিতেই তাদের সময় কেটে যায় | এর পরেই শুরু হয় মনোমালিন্য | সমস্যা সেই অর্থ ! বিয়ের পর হানিমুনে যাওয়ার জন্য রেখা যখন সৌনককে বলতো ,সবসময় অফিসের কাজের বাহানায় সৌনক বিষয়টিকে এড়িয়ে চলতো | আসতে আসতে রেখা বুঝে ফেলে সৌনকের আর্থিক অক্ষমতার কথা | এই এক বছরের মধ্যেই সৌনকের বড়বোনের বিয়ে দিতেই সে হিমশিম খেয়েছে | সব কিছু বুঝেও রেখা ধর্য্য ধরে মানিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করে | বাপের বাড়িতে দিনদিন রেখার আসা ,যাওয়া ,থাকা ,খাওয়া বেড়ে যায় | সৌনক এটা ভালোভাবে মেনে নিতে পারেনা | এ নিয়েও শুরু হয় ঝামেলা | সমস্যা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে যেদিন সৌনক হঠাৎ করেই ড্রিংক করে বাড়িতে ফেরে | রেখা এটাকে কিছুতেই মেনে নিতে পারেনা |চিৎকার ,চেঁচামেচি হতে হতে হঠাৎ করেই নেশার ঘোরে সৌনক রেখাকে একটা ধাক্কা মারে | রেখা ছিটকে যেয়ে আলমারীর উপর পরে | আলমারীর হাতলে রেখার কপাল অনেকটা কেটে যায় | রাত তখন গভীর | কিছুই করার নেই | অন্য ঘর থেকে কোনো সাড়াও সে পায় না | অভিমানে ,দুঃখে ,কষ্টে - নিজের ক্ষত নিজেই কাপড়ের আঁচল দিয়ে চেপে রেখে মুখ বুজে যন্ত্রনা সহ্য করে চোখের জলে নিজেকে ভাসিয়ে | খুব ভোরে সে বিজিতকে ফোন করে সব ঘটনা জানায় | বিজিত সঙ্গে সঙ্গেই একটা ট্যাক্সি নিয়ে রেখার শ্বশুড়বাড়ি এসে হাজির হয় | রক্তে রেখার কাপড় পুরো ভিজে গেছে | অত ভোরে সকলে তখনও ঘুমাচ্ছে | বিজিত রেখাকে নিয়ে হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে চলে আসে | কপালে দু'টি সেলাই পরে | ইন্জেকশন দিয়ে ,সেলাই করিয়ে বিজিত রেখার কাছে জানতে চায় , ---তুই এখন কোথায় যাবি ? ---আমার এখন কোথায় যাওয়া উচিত বলতো ? ---দেখ রেখা ,আমি তোকে ছেলেবেলা থেকেই খুব ভালোবাসি ,কিন্তু সেটা প্রেমের দৃষ্টিতে নয় | আর আমি এও জানি ,তোর ও ব্যাপারটা একই |তোর এই কষ্ট আমি সহ্য করতে পারছিনা | আমার মনেহচ্ছে আমার বুকে কেউ হাতুড়ি পেটাচ্ছে | তুই নিজেই ঠিক কর তোর এখন কোথায় যাওয়া উচিত | রেখা তার কপালের সেলাইয়ের উপর আলতো করে হাতটা রেখে বললো ," সৌনক তার ভালোবাসার চিহ্ন আমাকে দিয়ে দিয়েছে | তাই তার কাছে আমি আর ফিরে যাবোনা | যে সৌনককে আমি ভালোবেসেছিলাম - সেই সৌনক আর আজকের সৌনকের মধ্যে আকাশ পাতাল প্রভেদ |" অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে বললো," তুই আমাকে আমার বাবা ,মায়ের কাছেই নিয়ে চল |" বছর পাঁচেক পরের ঘটনা :- বিজিত ভালো সরকারী চাকরী পায় |মা ,বাবার পছন্দ করা মেয়ের সাথে তার বিয়েও হয় | মেয়েটিও খুব ভালো | সুতরাং বিজিত খুব সুখী হয় | কিন্তু তার মন রেখার জীবনের এই শোচনীয় পরাজয় কিছুতেই মানতে পারেনা | ওই ঘটনার পর সৌনক বেশ কয়েকবার রেখাকে নিতে আসে | কিন্তু চরম অপমান আর অভিমানে রেখা তার সাথে দেখায় করেনা | সৌনক বিজিতের সাথে দেখা করেও চেষ্টা করে বিজিতের সাহায্য নিয়ে রেখাকে বুঝিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য | কিন্তু বিজিতও নানা অছিলায় বিষয়টাকে এড়িয়ে যায় | কারণ সেও চাইছিলো রেখা নূতনভাবেই জীবনটা শুরু করুক | এইভাবেই কেটে যায় পাঁচ পাঁচটা বছর | এই পাঁচ বছরে রেখার জীবনে অনেক পরিবর্তন আসে | সে বি .এড .ট্রেনিং নিয়ে একটা প্রাইমারী স্কুলে চাকরীও পায় | এই দীর্ঘ পাঁচ বছরে তার বাবা ,মা দুজনেই তাকে ছেড়ে চলে যান | সে বাড়িতে সম্পূর্ণ একা | মাঝে মাঝে বিজিত ও তার বৌ এসে তাকে সঙ্গ দেয় | এইভাবেই কালের নিয়মে দিন চলে যেতে থাকে | রেখা ইচ্ছা করেই বিজিতের আপত্তি শর্তেও দূরে বদলী নিয়ে চলে যায় ,পরিচিত মানুষজনের আড়ালে | বিজিত এবং তার পরিবারের সাথে রেখার যোগাযোগটা থেকেই যায় ,ফোন বা যাতায়াতের মাধ্যমে | বিজিতের বৌ সুপ্রিয়া রেখাকে খুবই ভালোবাসে | দিদি বলে ডাকে ,খুব ভক্তি সম্মানও করে | তাদের দু'বছরের ছেলেকে নিয়ে দুজনে এসে রেখার কাছে কতদিন থেকেও যায় | রেখার স্কুলে একটা বাচ্চা মেয়ে পরে যার মুখটা দেখলেই রেখার সৌনকের কথা মনে পরে যায় |সৌনকের মুখটা যেন কেটে বসানো মেয়েটির মুখে | যত কষ্টেরই হোক না কেনো জীবনের প্রথম ভালোবাসা ,যা কখনোই ভুলতে কেউ পারেনা | শতআঘাত ,শত অপমান ,শত লাঞ্চনা শর্তেও সে ঠিক মনের মধ্যে কোনো এক জায়গায় ঘুমিয়ে থাকে | যাকে চেষ্টা করে অন্য কেউ এমন কি নিজেও মুছে ফেলা যায়না | রেখাও পারেনি | এতগুলি বছর বাদে শুধুমাত্র সৌনকের মুখের সাথে মিল পেয়ে তার সেই ঘুমিয়ে থাকা বা শুকনো ভালোবাসার গাছে কেউ যেন জল ঢেলে সতেজ করে দিলো । সকলের অলক্ষ্যে সে তার ছোট্ট ছাত্রিকে ডেকে তার বাবার নাম জিজ্ঞেস কোরলো । বাবার নাম শুনে সে চম্কে উঠলো | "সৌনক সরকার" | মেয়েটির কাছ থেকে সে আরও জানতে পারে - যদিও সে তাকে গুছিয়ে কিছুই বলতে পারেনা ; রেখাকে সাজিয়ে নিতে হয় কথাগুলি | সে আর তার মা মামাবাড়িতে থাকে | তার বাবা নেই ,সে কোনোদিন দেখেওনি | সোমা রেজিস্ট্রি খাতা বের করে তার ছাত্রী শিরিন সরকারের বাড়ির ঠিকানা দেখে সন্ধ্যার সময় সেখানে উপস্থিত হয় | ছোট্ট শিরিন তার আন্টিকে দেখে খুব খুশি | হাত ধরে টানতে টানতে তার মায়ের কাছে নিয়ে যায় | কিন্তু রেখা শিরিনের মা সুতপার ব্যবহারে খুব অবাক হয় | প্রথম অবস্থায় সুতপা কিছুক্ষন রেখার মুখের দিকে তাঁকিয়ে থেকে অত্যন্ত নীচু স্বরে বলে ," দিদি ঘরে চলো |" রেখা খুবই অবাক হয় | সে সুতপার পিছুপিছু শোবার ঘরে যেয়ে ঢোকে | দেওয়ালের দিকে চোখ পড়তেই দেখে সৌনকের খুব সুন্দর একটা ছবি বাঁধানো | নিজের অজান্তেই তার চোখের থেকে টপটপ করে জল পড়তে থাকে | সুতপা এগিয়ে এসে রেখার হাতদুটি ধরে বলে ," কেঁদোনা দিদি | যে চলে গেছে তার জন্য কেঁদে তার আত্মাকে কষ্ট দিওনা |"" তুমি আমায় চেনো ?"
-- না দিদি ,আগে কোনোদিন তোমায় দেখিনি | কিন্তু তোমার এত গল্প শুনেছি ; আর তাছাড়া শিরিনের বাবা যতদিন বেঁচে ছিলেন তোমার একটা ছবি আমাদের কলকাতার বাড়িতে দেওয়ালে ঝুলানো ছিলো | বিয়ের আগেই আমাকে তোমাদের কথা সব জানিয়েছিলো | আর বলেছিলো ," আমার সাথে বিয়ে বসতে হলে ঘরে বাঁধানো ছবির মানুষটিকে মেনে নিতে হবে | এত স্পষ্টভাবে কথাগুলি বলেছিলো মানুষটিকে খুব ভালো লেগে গেছিলো | আমার কপাল মন্দ ! মেয়ে যখন পেটে হঠাৎ অফিস থেকে আসার পথে এক্সিডেন্ট করে | হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো | কিন্তু তখন সব শেষ |আমি আর কোথায় যাবো ? তাই বাপের বাড়িতেই চলে এসছি | তবে একটা কথা আমি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি দিদি ,যেটা তুমি বুঝতে পারোনি ,মানুষটা তোমায় খুব ভালোবাসতো |"
রেখা পাথর | সৌনকের তার প্রতি ভালোবাসা এত গভীর ছিল তা সে কোনোদিন বুঝতেই পারেনি | সৌনকের দারিদ্রের কাছে ভালোবাসা চাপা পরে গেছিলো | আর সেদিন সে যা করেছিল সবই তো ঘটেছিলো তার ড্রিংক করার ফলে | কি জন্য কেন সে ড্রিংক করেছিল তাও তো বলার সুযোগ আমি তাকে দিই নি ! এতটা কঠোর কি করে হলাম ?
সুতপা চা নিয়ে ঘরে ঢোকে | এসে দেখে রেখা প্রচন্ড ভাবে ঘামছে | "দিদি তোমার শরীর খারাপ লাগছে ?" সুতপা জানতে চায় |
ব্যাগের থেকে কাঁপাকাঁপা হাতে রেখা ফোনটা বের করে বিজিতকে ফোন করতে যায় | কিন্তু ওর হাত থেকে ফোনটা পরে যায় ,মুখে শুধু বলতে পারে- "বিজিত" |
রেখাকে ধরে সুতপা ও তার বাড়ির লোকেরা খাটের উপর শুইয়ে দেয় | সুতপা ফোনটা তুলে বিজিতের কন্টাক্টস দেখে তাকে ফোন করে সব জানায় | বিজিত সঙ্গে সঙ্গেই বাইক নিয়ে বিরাটি সুতপাকে বাড়ি এসে হাজির হয় | সঙ্গে সে এম্বুলেন্স নিয়েই আসে | এম্বুলেন্সের ভিতরেই জড়িয়ে যাওয়া রেখার অনেক কথার মাঝে বিজিত শুধু বুঝতে পারে ," আমি ভুল চিনেছিলাম সৌনককে | ওর ভালোবাসা আমি বুঝতে পারিনি | অভাবের কাছে ওর ভালোবাসা হার মেনে গেছিলো | ওর সাথে দেখা করে আমাকে ক্ষমা চাইতেই হবে |"
হাসপাতালে পৌঁছনোর আগে সব শেষ |
নন্দা
No comments:
Post a Comment