Wednesday, January 31, 2018

আত্মচিৎকার
      নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

মাগো তুই নিজের হাতে,
আমায় দিলি নর্দমাতে ছুড়ে!
অপরাধ কি জানলাম নাতো;
ছুড়েই-তুই গেলি চলে।
রাখবিনা যখন বুকেই আমায়,
গর্ভে ধরলি কেন?
তিলতিল করে পেটে আমায়,
বড় করলি কেন?
আমি তোরই মেয়ে মাগো,
তুইও একটি মেয়ে,
আমায় দেখে তোর মনে কি
মাতৃত্ব ওঠেনি জেগে ?
তোর, বাবার অপরাধের-
শাস্তি আমার কেন?
তোরা থাকবি দিব্যি এই পৃথিবীতে,
মেরে ফেলতে ছুড়লি আমায় নর্দমাতে!
তোদের খুশির দিতে দাম,
আমার জম্ম হোল!
কাউকে আর দেখাসনে এভাবে-
সুন্দর পৃথিবীর আলো!
তুইও কিংতু খুনি মাগো!
হবেনা তোর বিচার!
কান্নার সুরে করছি শুধু-
আমার জম্মের প্রতিবাদ!

# নন্দা       26-1-18
ছুটছে শুধু ছুটছে
   নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

বাইরের কিছু ঘটনা মনকে ক্ষত-বিক্ষত করছে!
মুখ ও মুখোশের পার্থক্য বুঝতে পারছিনা,
মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে যাচেছ!
জমা হচ্ছে ক্ষোভ আর কষ্ট!
স্নেহ, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা হারিয়ে-
ছুটছে সব অর্থ, যশ আর ক্ষমতার পিছু!
এ যেন লাগামহীন ঘোড়া !
সামনের সবকিছু পদদলিত করে-
ছুটে যাওয়াটাই শুধু লক্ষ্য!
পিছনে পরে থাকছে অমূল্য সম্পদ,
তা দেখার সময় কারও নেই !

# নন্দা     31-1-18   1AM .

Thursday, January 25, 2018

ব্যর্থতা
       নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

তোকে আর ডাকবোনা,
কাছে যেয়ে বসবোনা,
ভালোবাসা হৃদয়ে-
রেখেছি ঘুম পাড়িয়ে!
একটু একটু অবহেলা-
কেটেছে বিরহের বেলা!
ভালোবাসা আজ জ্বলন্ত অগ্নুৎপাত!
পাতবোনা আর তোর কাছে হাত!

#নন্দা  

Tuesday, January 23, 2018

বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের "অভিশাপ" কবিতাটি পড়ে আমার এই লেখাটি ---

কাছেই আছো
     নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

যেদিন তুমি হারিয়ে গেলে,
বুঝতে আমি পারলাম,
জীবন সুর্য্য অস্ত গেলো,
একাই সমুদ্রে ভাসলাম!

চারিদিকে আঁধার দেখি,
কোথাও নেই আলো,
হৃদয় মাঝে বসত নিয়ে,
প্রেমের প্রদীপ জ্বালো।

মধ্যরাতে স্বপন দেখে,
উঠি জেগে চমকে,
শিয়রে তোমার ছায়া দেখে,
কাঁপে বুক আঙ্কে!

বকুলফুলে উঠবে হেসে,
আমার বাড়ির অঙ্গন,
গাঁথবো মালা ছায়ায় বসে,
হোকনা স্বপন ভঙ্গন!

নাইবা বাড়িয়ে দিলে দু'হাত,
আলিঙ্গনের জন্য!
(বন্ধু)দু'চোখে দেখবো তখন,
স্বপন কিছু অন্য।

বিধাতা ভাঙ্গলেন মিলন মেলা,
দূপারেতে আমরা!
তোমার বিহনে বন্ধু ওগো-
আমি পাগলপারা!

@ নন্দা  22-1-18 
জীবনের দুঃখ, দারিদ্র,কঠোরতা,রূঢ়তা আর  হতাশাকে জয় করেই বাঁচার নাম জীবন! তার মধ্যেও একটা কিনতু থেকেই যায়!
http://kabitabitan.blogspot.in/?m=1

Friday, January 19, 2018

ভালোবাসা এখনও টানে
     নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

অপমানের বিনিময়ে অপমানটা ফিরিয়ে দেওয়া খুব দরকার,
চুপ করে আছি বলে দুর্বল ভাবছে!
রাগে সর্বশরীর জ্বলে যাচ্ছে!
অপবাদ আর অপমানের পাহাড় তৈরী হচ্ছে,
দরকার এখনই  অপমানকারীর লেজটা কেটে দেওয়া!
আমিও যে জবাব দিতে পারি তা দেখিয়ে দেওয়া,
যে আঘাত যে কষ্ট আমি পাচ্ছি-
তার কয়েকগুন বেশি ফেরৎ দিতে চাই!
নাওয়া ভুলেছি, খাওয়া নেই, প্রেসার হাই!
তবুও আমি জবাব দিতে পারছিনা কেন?

তবে কি সত্যিই আমি দুর্বল?
ভেবেছি অনেক ভেবেছি-
না, আমি দুর্বল নই, ওদের সমকক্ষও নই!
আমার হৃদয়ে তাদের জন্য এখনও ভালোবাসার ফল্গুধারা!
যা বারবার আমাকে জবাব দেওয়ার থেকে-
দূরে -বহু দূরে সরিয়ে নিচ্ছে।

মনে পড়ছে, "তুমি অধম, তাই বলে আমি উত্তম হবোনা কেন?

 # নন্দা   19-1-18
অর্থ আর ক্ষমতায় সব
  নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

পৃথিবীতে কত মানুষ!
অধিকাংশই লোভ, লালসা, আর হিংসায় পরিপূর্ণ ,
আবার কিছু প্রতিহিংসা পরায়ণ-
মিথ্যাকে সত্য ভেবে-
অনেকে মরীচিকার পিছনে ছোটে,
কিছু জেনে বুঝেই আবার-
প্রতিটা পদক্ষপে মিথ্যার আশ্রয় নিতে,
বিন্দুমাত্র পাপবোধ অনুভব করেনা!
সত্য একদিন সামনে আসবেই!
তখন যে তার সম্মানহানি হবে,
একবারও সে কথা তারা ভাবেনা!
হায়রে বোকা মানুষ!

আকাশের দিকে তাকিয়ে-
বিশালতার গল্প বলি, কবিতা লিখি,
মনটা পরে থাকে সংকীর্ণ অবস্থাতেই!
গলি থেকে বেরিয়ে রাজপথে উঠে-
বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার মানসিকতা-
সকলের মধ্যেই একটু একটু করে হারিয়ে যাচ্ছে!
অন্যায় দেখেও চুপ থাকতে বাধ্য!
প্রতিবাদ করতে গেলেই কোনঠাসা!
অর্থ আর ক্ষমতার লড়াইয়ে-
সকলে গলিতেই  আজ আটকে!

# নন্দা    17-1-18

Tuesday, January 16, 2018

যখন আশি হবো
   নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

বয়স যখন আশি হবে,
থাকবেনা আর যৌবন,
রূপের জৌলুস যাবে কমে,
কোরবো না আর রূপটান! 😂

চুলগুলি সব হবে সাদা,
দাঁতগুলি সব নড়বড়ে,
কিংবা মুখে থাকবেনা আর,
একটিও আর দাঁত পরে! 😀

চামড়া হবে কাঁচুমাচু,
আঙ্গুল সব কঞ্চি,
চোক্ষু দুটি গহ্বরে,
অপেক্ষায়, শশ্মানের বেঞ্চি! 😁

রাগলে পরে বলবেনা কেউ ,
দেখতে লাগছে খাসা,
হাসবে যুবক যুবতীরা,
মুখটা যেন চিংড়ীমাছের খোসা! 😂

আয়না আমায় বলবে শুধু-
দুঃখ এত কিসের?
বাইরে তোমার আশি হলেও,
মনটা রয়েছে আঠারোতেই! 😀

# নন্দা   16-1-18

Monday, January 15, 2018

হারিয়েছে বসন্ত
 নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

দু'চোখ ভরে আশা ছিলো,
ভালোবাসার স্বপ্ন ছিলো,
আজকে সেথায় শ্রাবণ মেঘ,
হৃদয় তখন ব্যথার সমুদ্র!

তবুও ভাবি কাছেই আছ,
প্রতিক্ষণে প্রতিপলে,
দেখতে তোমায় নাইবা পেলাম,
রেখেছো কাছে মায়াবী পরশে!

# নন্দা   15-1-70 
এমন তো কথা ছিলোনা
   নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

চলে যাওয়ার কথা তো ছিলোনা,
দু'জনে এক সাথে হাঁটার কথা ছিলো,
কিছু না বলেই চলে গেলে কেন ?
হাতটা তো শক্ত করেই ধরা ছিলো,
কোন সে ঝড়ে বাঁধন আলগা হোলো?
বুঝতে পারিনি তো!

চলে গেছো ঠিকই!
জীবন কিণ্তু থেমে নেই!
সময়কে যে ধরে রাখা যায়না!
অভিযোজন ক্ষমতায় মানুষকে চলতে শেখায়;
আমিও তার ব্যতিক্রম নই!
কিণ্তু এমন তো কথা ছিলোনা!

@ নন্দা  15-1-17 

Saturday, January 13, 2018

বেদনার সুর
  নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

কত চেনা ছবি হৃদয়ে আছে,
ছিলো কত সুর;
আঁকা হয়ে আছে মনের মাঝে,
ভালোবাসার সুখ!

ছবিগুলোতে ধূলো জমা হলেও,
হারিয়েছে তাল, লয়, ছন্দ!
আঁকা ছবিগুলি মলিনতা পেলেও-
বেদনার সুর স্পষ্ট!

@ নন্দা   12-1-18

Thursday, January 11, 2018

স্মৃতিরা কাঁদায়
  নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

 হৃদয়ে পুঞ্জীভূত কষ্ট
যন্ত্রনায় ডানা ঝাপটায়!
 তুমি অজানা দেশে,
ছুটতে মন চায়
 শুধু তোমার কাছে!
কাঁদবোনা আর কখনও
 দুঃখকে নিয়েছি আপন করে,
অবাধ্য চোখ শুনতে চায়না!
 মানেনা সে শাসন বারণ!
স্মৃতিতে জড়িয়ে রেখেছি তোমায়,
স্মৃতি হয়েই কাছে  থাকো!

# নন্দা     11-1-18


Tuesday, January 9, 2018

কি চেয়ে কি পেলাম
  নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

এই স্বাধীনতায় কি চেয়েছিলো ভারতবাসী?
এতো রক্ত ঝড়িয়ে মায়ের বুক খালি করে-
বোনের, দিদির সিঁথির সিঁদুর মুছে ,
প্রিয়ার বুক হতে প্রিয়তমকে কেড়ে নিয়ে,
এক সমুদ্র রক্তের বিনিময়ে -
যে স্বাধীনতা তারা ছিনিয়ে এনেছিলো -
পরবর্তী প্রজম্মের জন্য -
পারলাম কি তাকে আমরা ধরে রাখতে ?
"সকল দেশের সেরা আমার জম্মভূমি"-
বিশ্বের দরবারে সফলতা পেলাম কি ?

যে দেশের অধিকাংশ মানুষের পেটে -
দুবেলা পেট ভরে অন্ন জোঠেনা ,
যে দেশে দুবছরের শিশু থেকে -
আশি বছরের বৃদ্ধা ধর্ষিতা হয়-
যে দেশে নেতা,আমলারা গরীবকে ঠকিয়ে
কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ,
বিচারের নামে বছরের পর বছর ,
মানুষকে অপেক্ষা করতে হয় ,
সাধারন মানুষের কথা না ভেবে,
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম,
বাড়তে বাড়তে আকাশ ছোঁয়া হয় -
সেই স্বাধীনতায় কি ছিলো কাম্য ?

@ নন্দা 
নিজেকে বড় ভেবোনা
       নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

প্রতিটি আঘাত আমায় একটু একটু করে,
মানুষকে চিনতে সাহায্য করে,
আমি অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে পরিণত হই,
মানুষের দেয় অপমান মুখ বুজে হজম করি,
কারণ আমি বিশ্বাস করি -
অপমানের জবাব অপমান দিয়ে হয়না!
কোকিলের সাথে গলা মেলানো যায় -
কুকুরের সাথে নয়!
অহংকারী মানুষ নীচুতে নামতে নামতে-
একদিন পথের ধূলায় বিলীন হয়!
স্বেচ্ছাচারী মানুষের মুখে-
শিষ্ঠাচার কথাটা বড়ই বেমানান!
বড় মানুষের আসল পরিচয় তার ব্যবহার,
দাম্ভিকতা, গলাবাজি আর অন্যকে অপমান নয়!

#নন্দা
কিছুই জানতে পারোনা
    নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

তারাভরা আকাশের নীচে-
আমার কষ্টরা জমাট বাঁধা!
স্মৃতিরা ঘিরে থাকে,
বারবার তারা পিছু ডাকে।
বিরহের আগুনে অঙ্গার আমি,
স্মৃতিগুলি নিয়ে শুধু,
জ্বালাময় মালা গাঁথি!
নীরবে ফেলি চোখের জল,
মুছাতে আসোনা কখনো আর!
হৃদয় ভেঙ্গে চৌচির হয়!
আষাঢ়, শ্রাবণের মেঘগুলো-
চোখেই জমাট বেঁধে রয়!

# নন্দা   9-1-18

Sunday, January 7, 2018

আজকে মন উঠলো নেচে,
  বন্ধু আসবে কাছে-
বিরহ নয়-প্রেমের কবিতা,
  লিখবো পাশে বসে।
#নন্দা 
প্রাণের বান্ধবী
          নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

          Dear পারভিন,
       প্রায় তিনযুগ হয়ে গেলো তোর সাথে আমার দেখা নেই।কিনতু আজও তোকে আমি স্বপ্ন দেখি। চিঠি লেখার অভ্যাসটা বহুদিন হোলো হারিয়ে গেছে। তোর আদি বাড়ির পুরোনো ঠিকানাটা খুঁজে পেলাম;তাই ভাবলাম জীবনের এই গোধূলিবেলায় আর একবার চেষ্টা করে দেখি তোর সাথে যোগযোগ করতে পারি কিনা! নেট সার্চ করে তোকে কোথাও পাইনি।আজও তোকে খুব মিস করি!

           সংসারের ঘাত প্রতিঘাতে যখন বিধ্বস্ত হয়ে পড়ি;মন ভেঙ্গে যায় -ফিরে পেতে চাই হারিয়ে যাওয়া সেই ছেলেবেলার দিনগুলি আর তখনই বড্ড মনে পরে তোর আমার একসঙ্গে কাটানোর দিনগুলির কথা। কত ভালো ছিলো সেই সব দিনগুলি। কোন চিন্তা ভাবনা ছিলোনা -ছিলোনা আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে রাতদিন এক করে টেনশন করা-ছিলোনা এত রোগ, শোক, দুঃখ আর যন্ত্রনা! কিভাবে হাসি আনন্দের মধ্য দিয়ে দিনগুলি কেটে যেত। জীবন থেকে একবার যা হারিয়ে যায় শত চেষ্টা করেও যে তাকে আর পাওয়া যায়না;তবুও মন মানেনা!

           মনে আছে তোর? প্রতিবছর শীতের শুরুতেই দল বেঁধে স্যার আর দিদিমণিদের সাথে পিকনিকে যাওয়ার কথা? সরস্বতী পূজা ছাড়া আর যেদিন আমরা শাড়ি পড়তাম তা এই পিকনিকের দিনে। ছবি তোলার সময় ঝোঁপের আড়ালে যেয়ে একজন আর একজনের শাড়ি পাল্টিয়ে পড়তাম। জানিস এখনো সেই ছবিগুলি আমার কাছে আছে। মাঝে মাঝে বের করে দেখি আর নিজের অজান্তেই চলে যাই সে ফেলে আসা দিনগুলিতে।

            বয়সের ভারে অনেক কথায় এখন ভুলে যাই;কিণ্তু ছেলেবেলার ওই সব দিনগুলি আজও সেই আগের মতোই জ্বলজ্বল করে চোখের সামনে ভেসে ওঠে, মনেহয় যেন এই সেদিনের কথা।

         ধর্ম নিয়ে আমরা কোনদিনও মাথা ঘামাইনি। আমরা দু'জনে ছিলাম যেমন দুই সখী ঠিক তেমনই দুই বোন। একের বাড়িতে অন্যের খাওয়া থাকায় কোনদিন আমাদের পরস্পরের বাড়ির লোকের আপত্তি ওঠেনি। আজ যখন চারিপাশে এই সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে গোলমাল দেখি তখনই ভাবি মানুষ আজ কোথায় নেমে যাচ্ছে আস্তে আস্তে! যুগের কি পরিবর্তন! সময়ের সাথে সাথে মানুষের মনে এ কোন হিংসার বীজ বপন হচ্ছে?

             এই! তোর মনে আছে? সেই রমা সাহার কথা? সেই কালো রোগা মেয়েটা;ওই যে বাজারে যাওয়ার পথে তাদের বাড়িটা পড়তো-আরে সেই মেয়েটা যে লাষ্টবেঞ্চের ছাত্রী ছিলো, পড়া পারতোনা বলে প্রায়ই শাস্তি পেতো!প্রতি বছর যে ছিলো টি.টি.পি.(টেনেটুনে পাশ)। সে আজ ডাক্তার জানিস ? আর আমি? ক্লাসের ফাষ্টগার্ল হয়ে কোন চাকরীই কপালে জুটাতে পারলামনা! সব সময় হাতাখুন্তি নেড়ে চলেছি। আসলে কি জানিস? মানুষ তার ভাগ্য নিয়েই জম্মায়। হ্যাঁ-পরিশ্রমের মূল্য আছে ঠিকই কিণ্তু ভাগ্যটাকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায়না।

           আচ্ছা-খালাম্মা, খালু, তোর বোনেরা-লিপি, পলি, পপি, রনি আর তোর ভাই সুমন সবাই কেমন আছে? দেখেছিস-আজও কেমন নামগুলি মনে আছে। আর তোর সেই মামা? যার ডাকনাম ছিলো অশ্রু। সবাই কেমন আছে রে? যদি সত্যিই তোর গ্রামের বাড়ির ঠিকানায় দেরিতে হলেও চিঠিটা পৌঁছায় তাহলে কিণ্তু অবশ্যই যোগাযোগ করবি আর বিস্তারিত জানাবি।
   
             তুই এখন কি করিস? চাকরী নাকি আমার মত হাতাখুন্তিই নাড়িয়ে চলেছিস? আর তোর মানুষটা? ব্যবসা নাকি চাকরী?

           আমার মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলে এবার বারো ক্লাস দেবে। আর সব থেকে কাছের মানুষটিকে মাত্র পাঁচমাস আগে হারিয়ে ফেলেছি! মানুষটিকে হারিয়ে মানষিকভাবে একদম ভেঙ্গে পড়েছি।

          ও! একটা কথা মনে পড়লো। সালেহার কথা মনে আছে তোর? শুনেছি ওর নাকি ক্যানসার হয়েছিলো,কিন্তু এই মারণ রোগকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে জীবনযুদ্ধে সে আজ জয়ী ।আর রেখা সেন? যার বাবার স্টুডিও ছিলো। শুনেছি ওর মধ্যমগ্রাম বিয়ে হয়েছে। ফেসবুকে যাদের খুঁজে পেয়েছি সবই আমাদের জুনিয়র, আমাদের ব্যাচের  কাউকেই পাইনি।

           জীবনের স্বর্ণালীদিনগুলি কোনোদিনও আর ফিরবেনা;তবুও স্মৃতির খাতায় ময়লা জমলেও আজও অক্ষরগুলি স্পষ্ট হয়ে আছে।

          খুব খুব ভালো থাকিস। আমার অনেক ভালোবাসা নিস। আমি অপেক্ষায় থাকবো তোর সাথে যোগাযোগের আশায়!
                             ইতি তোর প্রিয় বান্ধবী
                                           
সদ্য প্রয়াত স্বামীর উদ্দেশ্যে শেষ চিঠি
       নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

    প্রিয় কেষ্ট,
আমাদের উনত্রিশ বছর বিবাহিত জীবনের তোমার কাছে লেখা এটা আমার জীবনের তৃতীয় ও শেষ চিঠি।  প্রথম দু'টি চিঠি লিখেছিলাম সেই নব্বই সালের জুন মাসে। যখন আমাদের বহু আখাংকিত প্রথম সন্তান আমার গর্ভে । মনে আছে তোমার? ডাক্তারবাবু যখন আমাকে বললেন সম্পূর্ণ বেড রেস্ট ;আমি বাপের বাড়ি চলে আসি। তখন তো মুঠোফোনের এত রমরমা ছিলোনা, তাই ঠাকুরপুকুর থেকে সামান্য দূরত্ব বালিগঞ্জেও চিঠি লিখে খবর নিতাম তোমার।

          তুমি আমায় ছেড়ে চিরতরে চলে যাওয়ার পর তোমার গুছিয়ে রাখা পুরানো কাগজপত্র ঘাটতে ঘাটতে ওই চিঠি দু'টি পেলাম।কত যত্নে গুছিয়ে রেখেছো! একটি পোষ্টকার্ড আর একটি ইনল্যান্ড লেটারে লেখা। নিজের লেখা চিঠি দু'টি পড়তে নিজেরই বারবার চোখ মুছতে হযেছে। মনেহয় যেন এই তো সেদিনের কথা! কত স্বপ্ন, কত আশা, কত পরিকল্পনা! হঠাৎ করেই সবকিছু কালবৈশাখী ঝড়ে যেন তছনছ হয়ে গেলো!

      তোমার মনে আছে গো? একদিন আমরা আমাদের বালিগঞ্জের আমাদের সেই ছোট্ট ঘরটাই বসে টিভিতে পুরনো দিনের একটা হিন্দি সিনেমা দেখছিলাম;সেখানে কেষ্ট মুখার্জী বলে একজন অভিনেতা অভিনয় করছিলেন আর সেদিন থেকেই হয়ে গেলে তুমি আমার কেষ্ট! কেষ্ট মুখার্জীর এক বন্ধু ছিলো সেই ছবিতে;তার নাম ছিলো ভগীরথ। আমার নামকরণ করলে তুমি ভগীরথ। রাস্তাঘাট, লোকজন, ছেলেমেয়ে, জামাই -আমরা সকলের মধ্যেই ওই নামেই পরস্পরকে ডাকতাম এবং খুবই স্বচ্ছন্দ ভাবেই। আজও তোমার সেই ভগীরথ ডাক আমার কানে সব সময়ের জন্যই বাজে। মাঝে মাঝেই যেন শুনতে পাই তুমি আমায় ডাকছো। সত্যিই কি তুমি আমায় ডাক? যা আমার অবচেতন মন শুধু শোনে!সব সময় মনেহয় তুমি আমার সাথেই থাকো , তোমায় দেখতে পাইনা ছুঁতেও পারিনা!কিণ্তু বিশ্বাস করো তোমার উপস্থিতি আমি যেন টের পাই!

          এখন প্রচন্ড ঠান্ডা পড়েছে। এখন আর তোমাকে নিয়ে কোন চিন্তা হয়না তোমার ঠান্ডা লাগবে ভেবে। খুব কষ্ট পেতে তো শ্বাসকষ্টে! যখন তখন ইনহেলার, নেবুলাইজার কিনতে আর আমাকে দোকানে ছুটতে হয়না। তোমার শ্বাসকষ্টের কথা মনে পড়লেই শুধু আমার একার নয় গো তোমার ছেলেমেয়ে, জামাই সকলেরই চোখ ছলছল করে ওঠে! এ যে কি কষ্ট তা তোমাকে আমি লিখে বোঝাতে পারবোনা। আজও স্নানের সময় হলেই মনে পরে তুমি রোজ আমার কাছে জানতে চাইতে,"ভগীরথ, আজ স্নান করবো?" আর আমিও সব জান্তার মত গম্ভীরভাবে উত্তর দিতাম, না আজ বড্ড ঠান্ডা পড়েছে আজ আর স্নান করে কাজ নেই বা বলতাম হ্যাঁ আজ স্নান কর।ছোট শিশুর মতো তুমি আমার এই ব্যপারে কথাটা মেনে নিতে। সবকিছুই মনেহয় এই তো কালকের কথা!

           আমার জীবনে আমার প্রতি তোমার সব থেকে বড় বিশ্বাসটা রাখতে পারিনি গো!আমায় ক্ষমা কোরো তুমি। তুমি সব সময় তোমার ছেলেমেয়েকে বলতে,"আমার কিছু হলে তোদের মা আমায় ঠিক সুস্থ্য করে বাড়ি নিয়ে আসবে।"কিণ্তু আমি পারিনি গো!কিণ্তু বিশ্বাস করো চেষ্টার কোন ত্রুটি যেমন করিনি, টাকার কথাও ভাবিনি!ষোলো সালের মে মাসে যখন তুমি প্রথমবার অসুস্থ্য হয়েছিলে তখন লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে তিনমাসের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর তোমায় সুস্থ্য করে নিয়ে আসতে পেরেছিলাম! কিণ্তু এবার আমি হেরে গেলাম! এবার যখন সতের সালের ষোলোই আগস্ট তোমায় চেক আপে নিয়ে যেয়ে ভর্তি করে দিতে হোলো তখন ঘুণাক্ষরেও ভাবিনি তুমি আর ফিরবেনা। নেতা, মন্ত্রী, আমলা ধরে নার্সিংহোম থেকে নিয়ে সরাসরি তোমাকে যখন পিজির সি.সি.ইউ. তে ভর্তি করলাম তখনও তুমি ভেন্টিলেশনে। কিণ্তু পুরো জ্ঞান তোমার ছিলো।ইশারায় তুমি জল খেতে চাইলে তোমাকে তুলো ভিজিয়ে তিনফোটা জল খাওয়ালাম। ভাবিনি গো ওটাই ছিলো আমাদের শেষ দেখা!আমাদের সব চেষ্টা, দৌড়াদৌড়ি ব্যর্থ করে দিয়ে সারাজীবনের জন্য শোক সাগরে ভাসিয়ে সাতাশে আগষ্ট চিরতরে চলে গেলে! এত অল্প আয়ু নিয়ে এসেছিলে কেন? কিসের এত তাড়া ছিলো তোমার?আমাদের ছেলেটা যে খুবই ছোট! আমি একা পারবো তো তোমায় ছাড়া জীবনের এই বন্ধুর পথ অতিক্রম করতে?তোমার আশীর্বাদের হাত আমাদের মাথায় আছে জানি কিণ্তু তবুও খুব ভয় হয়!মনটা যে একদম ভেঙ্গে গেছে কেষ্ট!তুমি কেন ভাবলেনা তুমি ছাড়া তোমার ভগীরথ কতটা অসহায়!

       তুমি কেমন আছ জানতে চাইবোনা;তোমার ওই কষ্ট আজ আর নেই এটাই আজ একমাত্র শান্তনা
আমার।আমার মন বলে তুমি আমার সাথেই থাকো সবসময়!

            তোমার খুব শখ ছিলো এবারের বইমেলায় আমার একটি গল্প সংকলন বের হোক। তোমার ইচ্ছাকে মর্যাদা দিতেই আমি আমার লেখা একটি গল্প সংকলন 'মানবী' নামে বের করছি।তুমি খুশি তো?বইটি তোমায় উৎসর্গ করেছি! তোমার ছবির দিকে তাঁকিয়ে মনেমনে আমি কত কথা বলি, তুমি কি শুনতে পাও?কি করে জানবো এর উত্তর আমি?

             ছেলেমেয়েকে নিয়ে তুমি একদম ভাববেনা। তোমার মেয়ের বাড়ি তৈরী শেষ হয়ে গেছে। আগামী মাসে গৃহপ্রবেশ। তোমার আদরের ভুতোকে (ছেলে)আমি মানুষের মতো মানুষ করবো।তুমি মোটেই ভাববেনা।তোমার ভগীরথ তোমায় কথা দিচ্ছে। অনেককিছুই লিখতে ইচ্ছা করছে কিণ্তু চোখ দু'টি বারবার ঝাপসা হয়ে যাচেছ।আজ এখানেই রাখি। একটু ধর্য্য ধরে অপেক্ষা কর;দেখা আবার আমাদের হবেই। তখন দু'জনে সামনাসামনি বসে বাকি কথা বলবো সেই আগের মতোই।আমি কিণ্তু সেই আশা নিয়েই তোমার অসমাপ্ত কাজগুলি সম্পর্ণ করে আবার তোমার কাছেই যাবো!কিছুদিন অপেক্ষা করো।

          যেখানেই থাকো শান্তিতে থেকো।
                           ইতি তোমার
                                ভগীরথ ।

 

       

        

Friday, January 5, 2018

............***    আক্ষেপ    ***...............                       দিনান্তের ক্লান্তি সঞ্চয় করে -                         বসেছিলাম আমি বাতায়ন ধারে -                   
  অদ্ভুত মৌন নিস্তব্দতায় মন মায়াপুরীতে ,                       মন আমার ঘুড়ে বেড়াচ্ছিল ,ঝড়ের গতিতে -                                                         
কেউ ছিলোনা সেথায় ,বাঁধা দেওয়ার,                    নিজের মর্জির মালিক আমি -                                      ছিলোনা কেউ ,কিছু কেড়ে নেওয়ার /.                           হঠ্য়াত কোরেই দেখতে পেলাম -                                পূর্নিমার চাঁদ উঠলো  ভেসে আকাশে ,                      আমার ই মতো দেখি ,সেও একা যে -                             তার আলোতে পৃথিবী আলোকিত -                             আমি কেনো পারিনা ?সব হারিয়েও-                             তার ই মতো থাকতে দীপ্ত /                                          বার বার হারিয়ে যাওয়া দিনগুলি ,                               কেনো শুধু মনে পড়ে -                       
কেনো পারিনা - ভুলতে তাদের                   
শত চেষ্টা করেও -                                         
যা কিছু হারিয়েছি, ফিরবে না কোনোদিন               চাঁদের মতোই কেনো পারি না ?                     
  হাসতে আমি রাত -দিন /                                       5.1.16

Thursday, January 4, 2018

কেমন মানুষ সব
           নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

এ কোন আঁধারে ঢেকেছে পৃথিবী ?
কোথাও নেই আলো !
হৃদয়ও মানুষের আঁধারে ভরা ,
চায়না কারও ভালো !

ভালোবাসা নেই কোথাও আজ !
আছে দম্ভ আর হিংসা !
ক্ষমতার লোভে অন্ধ সবাই ,
চালাতে চায় একনায়কতন্ত্র !

বন্ধু বল আত্মীয় বল -
কেউ নয় আজ বড় ,
লাভের গুড় পিঁপড়েই খায় !
সবাই কেন ভুলে যায় ?

মানুষের মাঝে নেই কোন প্রীতি !
অর্থ আর ক্ষমতা খোঁজে সব -
একনায়কতন্ত্রের বেড়াজালে আজ -
সম্পর্কের মাঝে টানে ইতি !

@নন্দা



এখনো বেঁচে আছি
নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

চোখের নীচে কালচে দাগ,
রাত্রি জাগার ফল!
বুকের ভিতর হাহাকার!
জ্বলছে শুধুই দাবানল!

স্বপ্নগুলো উড়ছে শূন্যে!
দিচ্ছেনা আর ধরা!
ইচ্ছেগুলো হারিয়ে গেছে-
বেঁচে আছি হয়ে আধমরা!

@নন্দা

Wednesday, January 3, 2018

মানুষের জীবনের কোনই মূল্য নেই ! কষ্ট  ভালোবাসার অপরপিঠ ! প্রদীপের তেল ফুরিয়ে গেলে সে তো নিভবেই ! এটাই বাস্তব ! ! ! 
আশিস দত্ত...পুস্তক পর্যালোচনা...(২৮.১২.১৭)

শ্রীমতি নন্দা মুখার্জ্জী রায়চৌধুরী রচিত, মনন এর সহায়তায় আনন্দ প্রকাশন দ্বারা প্রকাশিত ‘মানবী’ গল্প সংকলন বইটি বেশ মন দিয়ে পড়লাম। মোট ১৬ টি ছোটগল্প দিয়ে সাজানো এই বইটি হাতে নিয়েই চোখ আটকে যায় এর অসাধারণ প্রচ্ছদ দেখে । শ্রী সমীর মজুমদার দ্বারা প্রচ্ছদ অলংকৃত এই প্রচ্ছদই বইটির ভিতরে সজ্জিত গল্পগুলির ইঙ্গিত বহন করে । ১৬ টি গল্পের মধ্যে ৬ টি ভৌতিক গল্প, যা বেশ রোমাঞ্চকর । গল্পগুলি পড়তে পড়তে সেই ছোট্টবেলার গা ছমছমে শিহরণ অনুভব হয় ।
বাদবাকী গল্পগুলো সমকালীন বিষয় আশ্রিত । লেখিকা এই গল্পগুলির মধ্য দিয়ে নানান সম্পর্কের টানাপোড়েন বেশ সুচারুভাবে দেখিয়েছেন। শুধু তাই নয়, প্রচলিত সামাজিক রীতি-নীতি কে ভেঙ্গে নতুন পথের সন্ধান দিয়েছেন। তিনি সমস্যার দিক-নির্দেশন করেই ক্ষান্ত হননি, সমাধানও বলে দিয়েছেন, যা একজন দায়িত্বশীল লেখকের কর্তব্য । কয়েকটি গল্পে রোমান্টিকতার চুড়ান্ত প্রকাশ পরিলক্ষিত হয় । দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মনের মানুষের মিলন... সে তো প্রেমের চিরকালীন জয়বার্তা ঘোষণা করে । ‘মেয়েজীবন’ গল্পে, মা শত কষ্ট , বিচ্ছেদ জ্বালা সহ্য করেও মেয়েকে তার স্বামীর কাছে প্রবাসে পাঠাতে পিছপা হন না, শুধুমাত্র মেয়ের বিরহ জ্বালা অনুভব করে...সত্যি এরকম অনন্য অনুভব হৃদয় কে স্পর্শ করে , পাঠক কে নতুন করে ভাবতে শেখায় ।
তবে হয়তো দ্রুত প্রকাশের তাড়া থাকায়, কিছু কিছু বানান ভূল থেকে গেছে, আই এস বি এন নাম্বারটি অসম্পূর্ণ ছাপা, যেটা মোটেই উচিৎ নয় । আশা করা যায় পরবর্তী লেখাগুলোর বাঁধন আরো ঠাসবুনোট হবে , আরো নতুন নতুন বিষয় উঠে আসবে ।
পরিশেষে বলতে হয়, যে লেখিকা বইটির প্রথমেই তাঁর সদ্যপ্রয়াত স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, যা পাঠকদের মন ছুঁয়ে যাবে । এতে যেমন একজন আদর্শ ভারতীয় নারীর মায়া মমতা ভালবাসা প্রকাশ পেয়েছে, তেমনই দুঃখজয়ী নারীর এক অদম্য লড়াই এর সংকেত দিয়েছে...তার জন্য পাঠককূলের পক্ষ থেকে সেলাম জানাই ।
আশাকরি, বইটি পাঠ করলে সবার খুব ভালো লাগবে ।
মানুষ চলে যায় , রেখে যাওয়া স্মৃতির সাথে দিয়ে যায় এক বুক যন্ত্রনা আর সবসময়ের জন্য চোখের কোণে জল !
@ নন্দা
বুঝেও বুঝি না
   নন্দা  মুখার্জী রায় চৌধুরী

জীবনের গোধুলী ঘন আবিরে,
আমায় ডাকে যেন!
ফেলে এসেছি অনেকটা পথ,
এখনো কিছু বাকি ;
একা বড় ক্লান্ত আমি,
সুজন নেই পাশে,
আসবেনা কখনও এটাও জানি।
একবুক জ্বালা নিয়ে-
সুদূর গন্তব্যে একাই হাঁটি!
তারই লাগি তবু কেন?
পথ চেয়ে থাকি ! 

@ নন্দা