(4)তুমি যেমন তোমার ভাগ্যটাকে মেনে নিয়েছো ; আমিও ঠিক সেইরূপ আমার ভাগ্যটাকে মেনে নিলাম /এটা আমার ভাগ্যেই লেখা ছিলো / ভাগ্যের লেখা কি খন্ডন করা যায় ? আজ থেকে তুমি আর মুখ গোমড়া করে থাকবে না / স্বামী ,স্ত্রীর সম্পর্ক নাইবা থাকলো আমাদের মধ্যে ; আমরা তো ভালো বন্ধু হয়ে সুখে দুঃখে এক সাথে থাকতে পারবো সারা জীবন .." " এ হতে পারে না .." অয়নের কথা শেষ হওয়ার আগেই ঝুমা হাত দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে বলে ," ব্যস এই নিয়ে আর কথা হবে না / আমি তোমায় ছেড়ে যাবো বলে তো তোমার কাছে আসিনি / সারা জীবন আমি তোমার কাছেই থাকবো / একমাত্র মৃত্য ছাড়া আমি তোমাকে ছেড়ে যাবো না /" অয়ন ভাবে ঝুমা কি মানুষ ? নাকি দেবী ?ঝুমা কিছু আচ করতে পেরে বলে ,"অগ্নি স্বাক্ষী কোরে,মন্ত্রচচারনের মাধ্যমে তোমায় স্বামী হিসাবে গ্রহণ করেছি ,সারাজীবন একসাথে থাকার অঙ্গীকার করেছি ; আজ শুধুমাত্র নিজের সুখের জন্য দুই পরিবারের এই বন্ধন ,আমাদের বন্ধন - আমি কিছুতেই ছিন্ন কোরতে পারবো না / আমার শিক্ষা ,আমার মনুস্যত্বে এটা বাধা দিচ্ছে / আজ থেকে আমরা সারা জীবন বন্ধু হয়ে সুখে ,দুখে পস্পরের পাশে থাকবো / এ ভাবে দিন দিন গড়িয়ে যেতে থাকে / অয়ন কখনই দেখেনি ঝুমাকে মন খারাপ করে থাকতে / সব সময় হাসি খুশি / তার যত্নের ও কোনো ত্রূটি সে রাখে না / যদিও অয়ন সব সময়ই নিষেধ করে কিন্তু ঝুমা শোনে না / সংসারের যাবতীয় কাজ একা হাতে সামলানো ,বৃদ্ধ শ্বশুর ,বৃদ্ধা শ্বাশুড়ির সেবা - যত্নের ও কোনো ত্রূটি সে রাখে না /অয়ন নিজেকে নিজে ক্ষমা কোরতে পারে না / সব সময় একটা অপরাধবোধে ভোগে / কিন্তু ঝুমাকে যখনই কিছু বলতে গেছে - ঝুমা ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দিয়েছে /ঝুমা কোনদিন নিজের কষ্টের কথা কাউকেই কোনদিন বলেনি - এটা তার ছেলেবেলার থেকেই স্বভাব / তাই জীবনের এই চরম কষ্টটাও অতি কষ্ট করে নিজের বুকেই চেপে রাখে / ভাগ্যের পরিহাসকে অবলীলায় মেনে নেয় / নিজের অজান্তেই চোখে জল এসে পড়লে - পাছে কেউ দেখে ফেলে তাই সঙ্গে সঙ্গেই শাড়ির আচল দিয়ে মুছে ফেলে / এই ভাবে দু' বছর কেটে যায় /
No comments:
Post a Comment