Tuesday, May 31, 2016

"প্রহসন" (নন্দা মুখার্জী ) 29.5.16
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
জীবনের গতি, সামান্য অতি -
জীবন ছন্দময়, জীবন আনন্দময় -
সল্প সময় ,অনেক আশা -
কিছু পূর্ণতা পায় ,কিছু অপূর্ণই থেকে যায় -
তবুও বাঁচার আশা -
দিতে চায় ,পেতে চায় অনেক ভালোবাসা -
কিছু সুখের মুহুত্ব আর কিছু দুঃখের স্মৃতি -
সারাটা জীবন ঘিরে থাকে -
সুখ আর দুখের গীতি -
এ ভাবেই জীবন এগিয়ে চলে -
এ ভাবেই জীবন চলে যায় অস্তাচলে / ( নন্দা ) 29.5.16
1.40AM.
"মান ও হুশ" ( নন্দা মুখার্জী )30.5.16
************************************
মানুষ এখন  নামেই মানুষ -
হারিয়েছে মান ও হুশ -
হিংসা ,বিদ্বেষ ,হানাহানিতে -
সবাই যেন বেহুস -
অসহায় কে দেখতে পেলে -
উকি দিয়ে চলে যায় -
দরিদ্রকে সাহায্যের বিনিময়ে -
উপহাসের পাত্র বানায় -
ছেড়া কাপড় ,ছেড়া জামা -
দেখে নাক সিটকায় -
রাতের উল্লাসে হাজার ,হাজার টাকা উড়ায় /

সমাজ যাচ্ছে রসাতলে -
গরীব মরছে যাতাকলে -
উত্সব বা পার্বনে -
কোটি কোটি টাকা ব্যয় -
গরীব মরছে না খেয়ে -
তাদের মুখে অন্ন উঠায় দায় -
তবুও কিন্তু আমরা মানুষ -
হারিয়েছি সব মান ও হুস / ( নন্দা মুখার্জী ) 1-45 AM.

Sunday, May 29, 2016

"বিনিময়" ( নন্দা মুখার্জী ) 28.5.16
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসা চাই -
মনের বদলে মন -
ভালোবেসে শুধু পাশাপাশি  নয় -
কাছাকাছি চাই ,আমরণ
বিশ্বাসের বিনিময়ে বিশ্বাস চাই -
ত্যাগের বিনিময়ে ত্যাগ -
সারাটি জীবন সেবার বিনিময়ে -
আমার মাথায় থাকে যেনো তোমার হাত -
সুখে দুখে একসাথে কাটাবো জীবনভর -
সুখ আর দুঃখ ভাগ কোরে মোরা -
বাধবো সুখের ঘর -
ছোট্ট আশা -অনেক ভালবাসা -
পূরণ করবো দুজনেই -
কথা দাও আজ, থাকবে সারাজীবন -
শুধু আমারই হয়েই / ( নন্দা মুখার্জী ) 28.5.16 2AM.

Friday, May 27, 2016

"আমার স্থান" ( নন্দা মুখার্জী ) 27.5.16
**************************************
জীবন থাকতে যারে বাসনি ভালো -
কবরের পরে কেনো জ্বালো আলো -
যখন চেয়েছি তোমাকে কাছে -
সরিয়েছো শুধু- তুমি মোরে পিছু -
দহন জ্বালায় জ্বলেছি শুধু -
তবুও তুমি দাওনি দেখা -
কাটিয়েছি  সারা জীবন একা একা -
ভাঙ্গেনি কখনো তোমার ভুল -
তোমার তরে কেদে হয়েছি আকুল -
আজ কেনো তুমি অন্ধকারে বসে -
আমারই কবরের পাশে -
ভাবছো বুঝি ,দেখতে আমি পাই না তোমারে ?
রয়েছি আমি শুধুই ঘুমায়ে -
আসলে যে আমি আছি, তোমার অন্তরে -
বুঝ্তে কেনো এখনো পারোনা আমারে ?
বুকের মাঝেতে হাত দিয়ে দেখো -
আগেও যেখানে ছিলাম আমি -
এখনো যে আছি সেথায় -
শুধু তুমিই বুঝতে পারোনি -
তোমার জীবনে "আমার স্থান" কোথায় ?
( নন্দা মুখার্জী ) 27.5.16  9PM.
   *স্মৃতি হয়েই থাক*(নন্দা মুখার্জী ) 26.5.16
*****************************************
তোকে যখন দেখেছিলাম -
তখন আমার ছেলেবেলা -
তুই ও তখন খুব বড় নোস্ -
তোর কিশোরবেলা -
আমি যখন কিশোরী হলাম -
তুই হলি যুবক -
বুঝতে পারলাম তখন মোরা -
বেসেছি ভালো পরস্পরকে আমরা -
কথা-বার্তা,আর সাক্ষাত -
মাঝে মধ্যেই হোতো -
ভালোবাসার রঙ্গিন স্বপ্ন -
মনের মধ্যেই বাসা বাঁধতো -
ভেবেছিলাম সে সব স্বপ্ন -
হবেই একদিন পূরণ -
ভাবিনি কখনো আমায় ছেড়ে -
হবি তুই দেশান্তর -
সুখী যে তুই অনেক এখন -
অন্য কাউকে পেয়ে -
ভালবাসার দহন জ্বালা -
আমিই যাচ্ছি সহে -
ফিরবি না তুই আর কখনো -
আমার কাছে- জানি -
ভুলতে আমায় পারবি না তুই -
এ - কথাটাও মানি -
তুই যে আমার স্বপ্ন ছিলি -
ছিলি আমার আশা -
পারবো না আর এই জীবনে -
অন্য কাউকে- দিতে ভালবাসা /( নন্দা ) 26.5.16
9-15 PM.

Tuesday, May 24, 2016

অতি আপনজনের কাছ থেকে ছোট ছোট কিছু ঘটনা অপরকে খুব আঘাত দেয় /হয়তো সে নিজের অজান্তেই অপরকে আঘাত দিয়ে থাকে /পরবর্তীকালে আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তিটি আঘাতকারীর সাথে হেসে কথা বললেও - আঘাতটা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সে ভুলতে পারে না ; লুকিয়ে রাখে সে মনের কোনো এক জায়গায় ,প্রকাশ ও হয়তো কোনদিন কারও কাছে করতে পারে না ,কারণ আঘাতকারী যে তার খুব কাছের বা অতি আপনজন / কখনো বা কারও কাছে যদি বলেও ফেলা হয় আর ওই তৃতীয় ব্যক্তিটি যদি কোনো কটুক্তি করে তাহলে সেটাও ভালো লাগে না /কি অদ্ভুত এই মনুষ্য চরিত্র !!! আর এটাই হচ্ছে সব চেয়ে বড় অভিনয় জীবনের /

Monday, May 23, 2016

           " কালো মেয়ের গল্প " ( নন্দা মুখার্জী )
+++++++++++++++++++++++++++
জম্ম থেকেই কালো সে যে -
চোখ দুটি তার মায়াভরা -
কালো মেঘের মত ঘন চুল -
খুলে দিলে পিছন ছাড়া /
পড়াশুনায় ভালো সে যে -
খেলা ধুলায় ও মন্দ নয় -
বছর শেষে বেশ কয়েকটি -
মেডেল সে হাতে পায় /
নিন্দুকেরা বলে থাকে,"অহংকারী"-
"কালো মেয়ে গরব কিসের ?
মনেহয় সে অদ্ভুত এক নারী"-
ছোট থেকে শুনে শুনেই -
এ সব তার গা সওয়া -
জীবনের লক্ষ্যই তার -
একটা বড়ো চাকরী পাওয়া -
অনেক ছেলের বাপ ও মায় -
দেখতে এসে শুধুই মিষ্টি খেয়ে যায় -
পাকা কথা বোলবো পরে -
বলেই তারা পালিয়ে যায় /
মাস গড়িয়ে বছর যায় -
কালো মেয়ের পড়াশুনাও শেষ হয় -
অনেক চেষ্টার পরে সে -
বড়ো একটা চাকরী পেয়ে যায় /
দিনে দিনে প্রমোশনে,হয় সে অফিসার -
অফিস, বাড়ি করার জন্য -
গাড়িও একটা পেয়ে যায় /
নিন্দুকেরা বহুরূপি -
ভোল তাদের পাল্টে যায় -
হঠ্য়াত করেই অহংকারী কালো মেয়ে -
গ্রামের সোনার মেয়ে হয়ে যায় / ( নন্দা )
23.05.16  12-30AM.

Sunday, May 22, 2016

"স্নেহ" ( নন্দা মুখার্জী ) 20.05.16
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
কালো কুচকুচে গায়ের রং,চুলগুলীয় তাই -
দাঁতগুলি তার দুধের মত ,চৌধুরী বাড়ির ভৃত্য -
     নামটি তার বীরেন -
     চৌধুরীবাবুর প্রাণ -
সারা বছর ধরে কাজ করে সে -
মাইনে নেয় বছরের শেষে -
নামেই ভৃত্য - যেনো চৌধুরী বাড়ির পুত্র -
এ- হেন বীরেন ,এসেছিলো ছোট বেলাতে -
বাবাকে হারিয়ে সৎ মায়ের জ্বালাতে -
বাড়িটাকে সে নিজের ভাবতো -
মানুষগুলিকেও খুব ভালোবাসতো -
চৌধুরীবাবুর ছোট ছেলেমেয়েকে সে -
কোলে- পিঠে কোরে মানুষ করতো -
চৌধুরীবাবু থাকতেন শহরে -
           উকালতি পেশা তার -
           সপ্তাহ শেষে যেতেন বাড়ি -
বাড়ির লোকজনের দেখাশোনার দায়িত্ব -
যত্ন সহকারে বীরেন করতো -
অতি নিষ্ঠার সাথে বীরেন তার -
করতো দায়িত্ব পালন -
          কথা দিয়েছিলো বাবুকে তার -
           এ দায়িত্ব পালন কোরবে আমরণ -
একাত্তর সালের পাক হানাদারদের -
গুলিতে হারালো বীরেন প্রাণ -
শেষ মুহুত্ব পর্যন্ত করেছে চেষ্টা -
তার বাবুকে দেওয়া কথার রাখতে মান /
     পাক হানাদার এসেছে গ্রামে -
শুনে বীরেন,সকলকে নিয়ে -
      পালিয়েছিলো জঙ্গলে ,
হঠ্য়াত তার মনে পড়ে যায় -
ঠাকুমা আছেন যে তার ঘরে -
          ছুটে আসে সে ঠাকুমার দরজায় -
"ঠাকুমা","ঠাকুমা"-চিত্কার কোরে ডাকে -
বধির ঠাকুমা কিছুই শোনেন না -
হানাদারেরা গুলি কোরে মারে তাকে -
        
               পুত্রসম বীরেনকে হারিয়ে -
                 শোকে স্তব্ধ তার বাবু -
মায়ের মৃত্যর পর,কাশীতে যখন -
দিতে যান পিন্ড তাঁর -
একই সাথে বীরেনের ও তিনি -
জল ভরা চোখে করেন পিন্ড দান /
চৌধুরীবাবু গত হয়েছেন- কয়েক যুগ আগে ,
আজও বীরেনের টুকরো,টুকরো স্মৃতিগুলি নিয়ে -
চৌধুরীবাবুর বাড়ির লোকেরা গল্প কোরে থাকে / 9.45 PM( নন্দা )
(একটি সত্য ঘটনা )..
           *শুন্য বিয়োগফল * ( নন্দা মুখার্জী ) 22.05.16
***************************************************
ভাবছো বুঝি বোকা আমি ?
      আসলে  আমি তা নই -
সরল মনের দামটি তুমি -
      দিতে পারলে কই ?
ভাবোই যত মনে মনে -
       তুমি আমায়  ঠকিয়েছো -
ভুল ভাবনা নিয়ে তুমি -
       সত্যিকারের ভালোবাসাটাই হারিয়েছো -
যোগ-বিয়োগের খাতায় যখন -
        বোসবে,জীবনের অঙ্ক কষতে -
ফলাফলটা শূন্যই পাবে -
        পারবে তখন বুঝতে -
হয়তো তখন থাকবো না -
       থাকবে তুমি একা -
আর কোনদিন পাবে নাকো -
       এই মানসীর দেখা / ( নন্দা ) 12.35 AM

Friday, May 20, 2016

*অধম মানব* ( নন্দা মুখার্জী ) 18.05.16 -----------\------------------------
ভিক্ষা পাত্র হাতে,বসেছিলেন বৃদ্ধা মন্দির প্রাঙ্গনে -
সবাই চলছিলো দেবী দর্শনে, তাকে ফেলে পিছনে -
কেউবা কিছু পয়সা ফেলছিলো বৃদ্ধার থালাতে -
কারও কাছে কিছু চাইলে,মুখ ঝামটা খেতে হচ্ছিল বৃদ্ধাকে -
সহসা সেখানে হাজির হোলো,অতীব এক ধনী -
গাড়ি থেকে ঝি,চাকরেরা নামালো ফল,মূল ঝুড়ি ঝুড়ি -
করুন চোখে বৃদ্ধা তাকালো ধনী ব্যক্তির প্রতি -
বললেন কেদে,"দুদিন আমি খাইনি দিন- রাতি
রেগে হলেন আগুন ধনী,পুরোহিতকে বললেন হেঁকে-
"এসব জঞ্জাল এখানে? এদের আশ্রয় দিয়েছে কে ?"
মোটা দক্ষিনা পাওয়ার আশায় পুরোহিত পান্ডাদের ডাকি -
বললেন চেঁচিয়ে,"বেড় কোরে দাও,এক্ষুনি একে এখান থেকে -
সহসা ধনীর শিশু পুত্রটি দৌড়ে এসে -
দিলো পান্ডাদের কাজে বাধা -
ছুটে গিয়ে তুললো সে,ছোট দুটি হাত দিয়ে -
কোরচ ভরে ফল,মূল রাশি রাশি -
বৃদ্ধার ছেড়া কাপড় দেখে -
দেবীর তরে আনা দামী কাপড়খানি,দিলো তারে ভালবাসি -
অবাক ধনী গেলেন ক্ষেপে,"একি করলি বাবা !
আনলাম দেবীর তরেতে যা-বিলিয়ে দিলি তুই সব তা "-
উগ্র বাপের মূর্তি দেখে,ছেলে হেসে বলে ,
" দেবী তো তোমার নিতে পারে না,হাতে কোরে কোনকিছু -
যা কিছু দিলাম বুড়িমাকে আমি -
 আসলে তোমের দেবীই পেলেন ওই সব কিছু "-
মুর্খ ধনী শিশুটির মুখে কথাগুলি সব শুনি -
অঝোড় ধারায় কাদতে লাগলেন,শিশুটিকে বুকে চাপী
শিক্ষা তোকে দেবো আমি কি !
আমি যে অধম বাপ তোর !
যে কথা শোনালি - আজ তুই আমাকে -
সে কথা আমার মনে থাকবে জীবন ভোর"/ (নন্দা )
2AM.

*বুঝলে না* ( নন্দা মুখার্জী ) 19.05.16                           ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~                     মুখের কথায় সত্যি ভাবলে -                                        মনের কথা বুঝলে না -                                                রাগটাই শুধু দেখলে তুমি -                                            অভিমানটা খুজলে না -                                              আমি শুধুই বাসলাম ভালো -                                       তুমি আমায় চিনলে না -                                             কিসের আশায় কেমন করে -                                        চলে গেলে আমায় ফেলে ?                                         অনেক দূরে একা একা -                                           থাকবে তুমি কেমন করে ?                                          দূর গগনে সন্ধ্যা নামলে -                                            জানি, পড়বে তোমার আমায় মনে -                               মনটা তোমার উদাস হবে -                                         সব খানেতেই আমায় দেখবে -                                    যদি কখনো ভাঙ্গে ভুল -                                           কেদোনা তুমি হয়ে আকুল -                                       চলে এসো আবার আমার কাছেই -                            আমি যে আছি সদা তোমার পাশেই / ( নন্দা ) 7.35PM.          

Wednesday, May 18, 2016

আকাশের অসংখ্য তাঁরা মিটি করে জ্বলে ....                  .......... ... . ..............
আমারও চোখ দুটি ঘুমে ঢুলে ঢুলে পরে ....                  ..... ....... . . ..........................
নুতন ভোরের সূর্যদয়ের সাথে ....                           মুছুক সকল আঁধার ...                                           জীবনের নূতন ছন্দে ....                                          পাই যেনো মূল মন্ত্র বাঁচার ..                                             "শুভ রাত্রি "                 *নন্দা*

Tuesday, May 17, 2016


"মা"  ( নন্দা মুখার্জী )  14.05. 16  দুপুর 3 টে .              ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~              তোমাকে দেখেছি ,খোলা চুলে আমি -                        খুব ভোরে, স্নান সেরে ঠাকুর ঘরে -                         তোমাকে দেখেছি ,আলতা পায়ে -                          আলপনা দিতে ,ঠাকুর দালানে -                             কখনো দেখেছি ,গ্রামের মেঠো পথ ধরে..                  উদভ্রান্তের মতো ছুটে যেতে -                                   কার কি বিপদ ,ঘটেছে কোথায় -                                  হাসপাতালে হবে তাকে নিতে -                           কখনো বা তুমি মাইক হাতে -                              করেছো জনতা হাজার হাজার এক সাথে -               কখনো দেখেছি ,গোলা হোতে ধান বিক্রি করে -        কিনেছো তুমি, শয়ে শয়ে শাড়ি -                           বিলিয়েছ, দরিদ্র মানুষের বাড়ি বাড়ি -                            কখনো বা তুমি চাল দান করে -                             চাপিয়েছ, তাদের বাড়ির হাড়ি -                              গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটে -                                      দাড়িয়েছ, গরীব মানুষের স্বার্থে -                          জিতেছো তুমি, হাজার ভোটের ব্যবধানে -                ভরিয়ে দিয়েছে সকলে তোমায় -                                ভালবাসা আর সম্মানে -                                            আজ মাগো তোমার অনেক বয়স -                            নব্বই এর কাছাকাছি -                                            চোখে ও দেখো না ,কানেও শোনোনা ভালো কোরে -  আমি যে তোমার অবোধ সন্তান -                           থাকি অনেকটা দূরে -                                             বিয়ে দিয়ে তুমি,স্বামীর ঘরে -                                 পাঠিয়েছো পর কোরে -                                          স্বামী,সন্তান,আর সংসার নিয়ে -                                  ব্যস্ত থাকি সদায় -                                                 তবুও মাগো অন্তর আমার -                                     সর্বদা তোমার কথায় ভাবায় -                                এখনো যে তুমি,আছ বেচে -                                     সেই তো অনেক পাওয়া -                                        বাচো  মাগো তুমি ,একশ বছর -                                   এ টুকুই শুধু, ঈশ্বরের কাছে চাওয়া /   ( নন্দা ).

পাখিদের কলরব থেমে গেছে ...                              মানুষের কোলাহল যায় নাতো শোনা ..
আমি ঘুমাতে যাই ..                                                 ........ ... তুমিও ঘুমিয়ে পড় ...                                                   আজ তবে বিদায় ...                                               সকলকে শুভ রাত্রি জানাই ..                                              ~~~~নন্দা~~~~

Saturday, May 14, 2016

.              "  তাঁর ইশারা "                                              ++++++++++++++++                     . . . জীবন মানেই দ্বন্দ রে মন -                                           . ........ . . . . . . . জীবন মানেই দ্বন্দ -                                               . . . . . . . . . . ভবের এই নাট্যশালায় -                                        চলছে অভিনয় তাঁর ই ইশারায় -                                  . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . সে যদি চায় -                                                           . . . . . . . হয় মোদের রাজার সাজ -                                       . . . . . . . .... .. . . . ছেড়া কাপড়ের সাজ ,তাঁরই লেখায় -                              . ......... ................... ... . ..... . যতই মোরা ডাকি তাঁকে -                                        . . .......................... .... তিনি যে শুধুই  অলক্ষ্যে হাসেন -                            ..................................................... সময় দিয়েছেন বেধে তিনিই -                                   . ............................. কোরবো খেলা নাট্যশালায় -                                          ...................................... আমি আর তুমি -                                                  ................................. ইচ্ছা যদি নাইবা থাকে -                                            ........ ... . ... . . . পারবে নাগো সড়তে -                                             ....................... আবার যদি চান গো তিনি -                                     .................................................. সড়তে হবে মাঝ নাটক হতে -                                  . . .............................. আমরা যে তারই হাতের পুতুল -                            কোথায় থাকবো ,কতদিন -                                     . ...... . . . . . . . . . . . . তিনিই কোরবেন ঠিক -                                            . . . . .................. . .. সে হোকনা - এ কূল বা ও কূল / ( নন্দা ) 11.05 .16           11 PM.

Thursday, May 12, 2016

(5)এবার ঝুমা ঠিক করে একটা বাচ্চা দত্তক নেবে / সে অয়নকে ডেকে এ কথা বলে / অয়ন এতে মোটেই আপত্তি করে না ; বরং খুশি হয় / ঝুমা অয়নকে আরও বলে যে সে বাড়িতে সবাইকে বোলবে সে গর্ভবতী / এখন থেকেই অয়ন চেষ্টা কোরবে অন্য কোথাও বদলী হওয়ার / আর এদিকে তারা চেষ্টা কোরতে থাকবে কোনো অনাথ আশ্রম থেকে সদ্যজাত কোনো শিশুকে দত্তক নেওয়ার জন্য / সে রকম খোজ পাওয়া গেলে তারা শিশুটিকে দত্তক নিয়ে তিন ,চার মাস পর থেকে আবার ও চেষ্টা করে পূনরায় কলকাতাতে ফিরে আসবে / অয়ন বলে ," এ সব কি সম্ভব ?"  " তুমি এখন থেকেই চেষ্টা কর ,দেখো সব অসম্ভব ই সম্ভব হবে "/                            .যেমন  ভাবা ঠিক তেমন কাজ / ঝুমা দুদিনের মাথায় শ্বাশুড়ি কে জানিয়ে দেয় যে সে গর্ভবতী / খুব খুশি হন তারা / অয়ন অনেক চেষ্টা করে তিন মাসের মাথায় বদলির অফার পায় /  এর ই মাঝে ঝুমা নানান জায়গার এতীমখানায় খোজ খবর নিতে শুরু করে ,দরখস্ত জমা দিতে লাগে / নিজে ঘরে থেকে অয়নের মাধ্যমে সে এই কাজগুলি কোরতে থাকে / প্রথম অবস্থায় শ্বাশুড়ি বৌমাকে অয়নের সাথে যেতে দিতে রাজী হয়নি / পরে অয়ন ই মাকে বুঝিয়ে বলে / তখন আর তিনি কোনো আপত্তি করেন না / ব্যাঙ্ক এ চাকুরিরত অয়ন বদলি নেয় এক অজ পাড়াগায়ে /ঈশ্বরের অপর কৃপায় তারা একটি পুত্র সন্তানকে দত্তক ও নিয়ে নেয় /শিশুটিকে কোনো এক অরফান চাইল্ড হোমের গেটের কাছে ফেলে দিয়ে যায় তার ই গর্ভধারিণীর হয়তো কোনো আত্মীয় / ঝুমারা যেখানে থাকে তার থেকে বেশ কিছুটা দূর ওই চাইল্ড হোম / কিন্তু নাছোরবান্দা ঝুমা রাতেই সেখানে পৌছে যেয়ে পরম মমতায় শিশুটিকে কোলে তুলে নেয় / আইনই কাগজ পত্র সই সাবুদ করে শিশুটিকে নিয়ে নিজেদের ঘরে ফিরে আসে / শ্বাশুড়ি কে জানিয়েও দেয় তাদের একটি ছেলে হয়েছে / পরদিন থেকে শুরু হয় অয়নের আবার বদলির চেষ্টা / বছর খানেক দৌড়াদৌড়ি ,ছুটাছুটির পর আবার সে কলকাতায় বদলী হতে পারে /ঝুমা ও অয়নের ছেলে যে বছর মাধ্যমিক দেয় ; সে বছরই ঝুমার নিউমোনিয়া হয় /মাত্র চার দিনের জ্বরে ঝুমা তার অয়নকে ছেড়ে চলে যায় /ভালো নার্সিংহোম ,নামজাদা ডাক্তার কেউ তাকে বাঁচাতে পারে না / অয়ন মানুষ রূপি দেবীকে হারিয়ে প্রায় উন্মাদ হয়ে যায় / মা ,বাবা মারা গেছেন আগেই / অয়ন ও রিটায়ার করেছে / ঝুমার চোখেরমনি মিলনকে ডাক্তারি পরিয়েছে /আজ মিলনের বিয়ে /অয়ন ভাবে ," আমার আর বেচে থাকার কোনো মানে হয়না /যাদের জন্য আমি শত লজ্জা সহ্য় করে বেচে ছিলাম তারাই আজ কেউ নেই /ছেলের বউ ভাতটা মিটে যাক ; এ জীবন আমি আর রাখবো না / জীবনে অনেক কিছু না পেয়েও - এমন অনেক কিছুই পেয়েছি যা অনেকেই পায় না /...........(নন্দা )   12.3.16
(4)তুমি যেমন তোমার ভাগ্যটাকে মেনে নিয়েছো ; আমিও ঠিক সেইরূপ আমার ভাগ্যটাকে মেনে নিলাম /এটা আমার ভাগ্যেই লেখা ছিলো / ভাগ্যের লেখা কি খন্ডন করা যায় ? আজ থেকে তুমি আর মুখ গোমড়া করে থাকবে না / স্বামী ,স্ত্রীর সম্পর্ক নাইবা থাকলো আমাদের মধ্যে ; আমরা তো ভালো বন্ধু হয়ে সুখে দুঃখে এক সাথে থাকতে পারবো সারা জীবন .."   " এ হতে পারে না .." অয়নের কথা শেষ হওয়ার আগেই ঝুমা হাত দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে বলে ," ব্যস এই নিয়ে আর কথা হবে না / আমি তোমায় ছেড়ে যাবো বলে তো তোমার কাছে আসিনি / সারা জীবন আমি তোমার কাছেই থাকবো / একমাত্র মৃত্য ছাড়া আমি তোমাকে ছেড়ে যাবো না /" অয়ন ভাবে ঝুমা কি মানুষ ? নাকি দেবী ?ঝুমা কিছু আচ করতে পেরে বলে ,"অগ্নি স্বাক্ষী কোরে,মন্ত্রচচারনের মাধ্যমে তোমায় স্বামী হিসাবে গ্রহণ করেছি ,সারাজীবন একসাথে থাকার অঙ্গীকার করেছি ; আজ শুধুমাত্র নিজের সুখের জন্য দুই পরিবারের এই বন্ধন ,আমাদের বন্ধন - আমি কিছুতেই ছিন্ন কোরতে পারবো না / আমার শিক্ষা ,আমার মনুস্যত্বে এটা বাধা দিচ্ছে / আজ থেকে আমরা সারা জীবন বন্ধু হয়ে সুখে ,দুখে পস্পরের পাশে থাকবো /                                                                                                    এ ভাবে দিন দিন গড়িয়ে যেতে থাকে / অয়ন কখনই দেখেনি ঝুমাকে মন খারাপ করে থাকতে / সব সময় হাসি খুশি / তার যত্নের ও কোনো ত্রূটি সে রাখে না / যদিও অয়ন সব সময়ই নিষেধ করে কিন্তু ঝুমা শোনে না / সংসারের যাবতীয় কাজ একা হাতে সামলানো ,বৃদ্ধ শ্বশুর ,বৃদ্ধা শ্বাশুড়ির সেবা - যত্নের ও কোনো ত্রূটি সে রাখে না /অয়ন নিজেকে নিজে ক্ষমা কোরতে পারে না / সব সময় একটা অপরাধবোধে ভোগে / কিন্তু ঝুমাকে যখনই কিছু বলতে গেছে - ঝুমা ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দিয়েছে /ঝুমা কোনদিন নিজের কষ্টের কথা কাউকেই কোনদিন বলেনি - এটা তার ছেলেবেলার থেকেই স্বভাব / তাই জীবনের এই চরম কষ্টটাও অতি কষ্ট করে নিজের বুকেই চেপে রাখে / ভাগ্যের পরিহাসকে অবলীলায় মেনে নেয় / নিজের অজান্তেই চোখে জল এসে পড়লে - পাছে কেউ দেখে ফেলে তাই সঙ্গে সঙ্গেই শাড়ির আচল দিয়ে মুছে ফেলে /                                                         এই ভাবে দু' বছর কেটে যায় /
(3) . . . . . . . . . . . . . . . . .তুমি যেমন তোমার ভাগ্যটাকে মেনে নিয়েছো ; আমিও ঠিক সেইরূপ আমার ভাগ্যটাকে মেনে নিলাম /এটা আমার ভাগ্যেই লেখা ছিলো / ভাগ্যের লেখা কি খন্ডন করা যায় ? আজ থেকে তুমি আর মুখ গোমড়া করে থাকবে না / স্বামী ,স্ত্রীর সম্পর্ক নাইবা থাকলো আমাদের মধ্যে ; আমরা তো ভালো বন্ধু হয়ে সুখে দুঃখে এক সাথে থাকতে পারবো সারা জীবন .."   " এ হতে পারে না .." অয়নের কথা শেষ হওয়ার আগেই ঝুমা হাত দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে বলে ," ব্যস এই নিয়ে আর কথা হবে না / আমি তোমায় ছেড়ে যাবো বলে তো তোমার কাছে আসিনি / সারা জীবন আমি তোমার কাছেই থাকবো / একমাত্র মৃত্য ছাড়া আমি তোমাকে ছেড়ে যাবো না /" অয়ন ভাবে ঝুমা কি মানুষ ? নাকি দেবী ?ঝুমা কিছু আচ করতে পেরে বলে ,"অগ্নি স্বাক্ষী কোরে,মন্ত্রচচারনের মাধ্যমে তোমায় স্বামী হিসাবে গ্রহণ করেছি ,সারাজীবন একসাথে থাকার অঙ্গীকার করেছি ; আজ শুধুমাত্র নিজের সুখের জন্য দুই পরিবারের এই বন্ধন ,আমাদের বন্ধন - আমি কিছুতেই ছিন্ন কোরতে পারবো না / আমার শিক্ষা ,আমার মনুস্যত্বে এটা বাধা দিচ্ছে / আজ থেকে আমরা সারা জীবন বন্ধু হয়ে সুখে ,দুখে পস্পরের পাশে থাকবো /                                                                                                    এ ভাবে দিন দিন গড়িয়ে যেতে থাকে / অয়ন কখনই দেখেনি ঝুমাকে মন খারাপ করে থাকতে / সব সময় হাসি খুশি / তার যত্নের ও কোনো ত্রূটি সে রাখে না / যদিও অয়ন সব সময়ই নিষেধ করে কিন্তু ঝুমা শোনে না / সংসারের যাবতীয় কাজ একা হাতে সামলানো ,বৃদ্ধ শ্বশুর ,বৃদ্ধা শ্বাশুড়ির সেবা - যত্নের ও কোনো ত্রূটি সে রাখে না /অয়ন নিজেকে নিজে ক্ষমা কোরতে পারে না / সব সময় একটা অপরাধবোধে ভোগে / কিন্তু ঝুমাকে যখনই কিছু বলতে গেছে - ঝুমা ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দিয়েছে /ঝুমা কোনদিন নিজের কষ্টের কথা কাউকেই কোনদিন বলেনি - এটা তার ছেলেবেলার থেকেই স্বভাব / তাই জীবনের এই চরম কষ্টটাও অতি কষ্ট করে নিজের বুকেই চেপে রাখে / ভাগ্যের পরিহাসকে অবলীলায় মেনে নেয় / নিজের অজান্তেই চোখে জল এসে পড়লে - পাছে কেউ দেখে ফেলে তাই সঙ্গে সঙ্গেই শাড়ির আচল দিয়ে মুছে ফেলে /                                                         এই ভাবে দু' বছর কেটে যায় /
.(1)                                                                                                                                                             *দেবী*.                                                                                    ===========_____=============_____.                  চোখ ভর্তি জল নিয়ে ঝুমার ছবিতে মালা পড়াতে পড়াতে অয়ন ফিরে গেলো সাতাশ বছর আগের দিনগুলিতে / আজ ঝুমা আর অয়নের ছেলের বিয়ে / বিসমিল্লা খানের সানাই এর সুর বেজে চলেছে / বাড়ি ভর্তি আত্মীয় স্বজন ,পাড়া প্রতিবেশী / সাতাশ বছর আগে ঠিক এই রূপ একটি দিনে অয়ন ছিলো উদ্ভ্রান্ত ,বিয়েতে তার মোটেই মত ছিলো না / বিয়ে করার কোনো অধিকার তার ছিলো না / মাত্র সতের বছর বয়সে তার একটা বড় এক্সিডেন্ট হয় / কিডনির চার ইঞ্চি নীচু থেকে হাড় ভেঙ্গে চৌচুর  / বাঁচার কোনো সম্ভবনা ছিলো না /প্রায় ছয় মাস  ডাক্তারদের অক্লান্ত চেষ্টায় সে উঠে বসতে পাড়ে / ছোট একটা শিশু যে ভাবে হাটা শেখে ঠিক সেই ভাবে সে আস্তে আসতে একটু একটু করে নুতন ভাবে হাটা শিখতে লাগলো / যেনো নুতন জীবন সে ফিরে পেলো / কিন্তু যে যা হারিয়ে ফেললো তা একটা পুরুষ মানুষ হয়ে বেচে থাকার অর্থ তাই হারিয়ে গেলো / জীবনের সব আশা ,আকাংখা সব কিছু ধুলিসাৎ হয়ে গেলো / সুস্থ্য হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই সে বুঝতে পারলো কোনো নারীকে শারীরিক ভাবে খুশি করার ক্ষমতা সে হারিয়ে ফেলেছে / অনেক ডাক্তার সে দেখিয়েছে ; কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে ঈশ্বর তার সাথে নিষ্ঠুর পরিহাস করেছেন / অগত্যা তাকে এটা মেনে নিতেই হয়েছে / কিন্তু মা ,বাবাকে সে তার এই দু:ভাগ্যের কথা জানাতে পারে নি ; কারণ তাদের একমাত্র সন্তান সে / দিন গড়িয়ে চলে / নিজের কষ্ট বুকে চেপে সে ও এগিয়ে চলে / অল্প বয়সেই সে ব্যাঙ্কে চাকরি ও জুঠিয়ে ফেলে / এবার মা ,বাবা চেষ্টা করতে থাকেন তার বিয়ে দেওয়ার / অয়নের মাথায় বাজ ভেঙ্গে পড়ে / তারা নাছোরবান্দা / পাত্রী দেখে পছন্দ ও করে ফেলেন / .                           (2).                                                           অয়ন অনেকবার ঝুমার সাথে দেখা করার চেষ্টা করে বিফল হয়েছে / রক্ষনশীল পরিবারের মেয়ে ,ঝুমার বাপের বাড়ির লোকেরা কিছুতেই বিয়ের আগে ছেলেমেয়ের দেখা সাক্ষাত কোরতে দেবেন না / তা হলে কি ঝুমার মা ,বাবাকে যেয়ে বুঝিয়ে বলবে ? কিন্তু তাহলে তো বাড়ির সকলে জেনে যাবে ,সুইসাইড কোরলে তো বাবা ,মা মরে যাবেন / অন্য কোনো পথ সে খুঁজে না পেয়ে ভিতরে ভিতরে ক্ষয় হয়ে যেতে লাগলো / তারপর সে ঠিক করলো - ফুলশয্যার রাতে সে ঝুমাকে বুঝিয়ে বলবে - নিরুপায় হোয়ে সে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে / আজ থেকেই সে মুক্ত / ঝুমা ইচ্ছা করলে সেই মুহুত্তেই সে শ্বশুরবাড়ি ত্যাগ করতে পারে / কেউ বাধা দিলে অয়ন নিজেই প্রাচীর হয়ে দাড়াবে / এই ছাড়া তার আর কোনো পথ খোলা নেই /.                                                                                                                                                                                    .  ঝুমা ও অয়নের বিয়ে হয়ে গেলো /বিয়ের দিন থেকেই ঝুমা লক্ষ্য করেছে ,অয়নের মুখে কোনো হাসি নেই /ভেবেছে হয়ত গম্ভীর প্রকৃতির মানুষ সে /ফুলশয্যার রাতে অয়ন ঝুমাকে যা বলল ,ঝুমা কোনদিন স্বপ্নেও ভাবেনি বিধাতা তার সাথে নিষ্ঠুর খেলা খেলবেন !! ঝুমা বাকরুদ্ধ ! চোখ নীচু কোরে অয়নের সব কথা শোনার পর চোখ ভর্তি হয়ে গেল জলে / কিন্তু অয়ন যাতে সে জল দেখতে না পায় তার যথা সাধ্য চেষ্টা করে গেলো /অয়ন ঝুমাকে জানালো - যে সে কোনদিন ঝুমাকে শারীরিকভাবে সুখ দিতে পারবে না ; কারণ সে শারীরিকভাবেই অক্ষম /যা বাড়ির কেউ জানে না /আর এই কথাটিই বলার জন্য সে বার বার ঝুমার সাথে দেখা করতে চেয়েছে /সে ঝুমাকে আরও বলে ,"আমি অনেকবার ভেবেছি সুইসাইড করি ; কারণ একটা মেয়ের জীবন আমি নষ্ট করতে পারি না /কিন্তু পরমুহুত্তেই আমি আমার মা ,বাবার কথা ভেবেছি / আমি ছাড়া তাদের তো আর কেউ নেই / আমি তাদের কষ্ট দিতে পারিনি /বিশ্বাস করুন ,আমি কাউকেই কষ্ট দিতে পারিনা / আপনি যখন খুশি এ বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে পারেন /কেউ আপনাকে বাধা দেবে না /আপনি কেনো নিজের                                                        জীবনটাকে নষ্ট কোরবেন ?আপনি সুন্দরী ,শিক্ষিতা - যে কোনো পুরুষ আপনাকে পছন্দ করবে / আপনাকে কাউকে কিছুই বলতে হবে না / যা বলার সবাইকে আমি বোলবো / আমার এই অক্ষমতার জন্য আমি হাত জোড় কোরে আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি /" ঝুমা নিথর ,শুধুমাত্র শ্বাস-প্রশ্বাসটাই তার চলছে / তার মনে হচ্ছে যেনো সে শুন্যে ভাসছে ?তার জীবনে এত বড় অভিশাপের কথা সে কোনদিন স্বপ্নেও ভাবেনি / কতক্ষণ সে এভাবে বসে রয়েছে সে নিজেও জানে না / হঠ্য়াত বাইরে থেকে কথার আওয়াজে তার সম্বিত ফেরে /দেখে ঘরে অয়ন নেই / লাইট জ্বলছে / বুঝতে পারে ভোর হয়ে গেছে / তাড়াতাড়ি উঠে বিছানার ফুলগুলি সরিয়ে ,সুন্দর ভাবে বিছানাটাকে গুছিয়ে ,নিজের ফুলের সাজ খুলে ,স্নান করে ,চওড়া করে সিদুর পড়ে বাইরে বেড়িয়ে আসে /আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে বন্ধু স্থানীয়রা তাকে চেপে ধরে ফুলশয্যার রাতের ঘটনা শোনার জন্য /এক এক জনের এক এক রকম প্রশ্নের উত্তরে ঝুমা                                                              লজ্জাবনত চোখে শুধু হেসে যায় আর এদিকে ওদিকে তাকিয়ে শুধু দেখে অয়ন আছে কিনা / অয়নকে কোথাও সে দেখতে পাচ্ছে না কিন্তু কাউকে জিগ্গেস কোরতেও সাহস পাচ্ছে না / সকাল গড়িয়ে দুপুর ,তখনও অয়নকে দেখতে না পেয়ে সে সত্যিই উতলা হয়ে পড়লো /তাহলে কি মানুষটা ---না না ...তা কি করে হয় ?কিন্তু কোথায় গেলো সে ? কাউকেই কিছু জিগ্গেস করতে পারছে না / নুতন বৌ - কেউ যদি কিছু মনে করে ? সন্ধ্যায় অয়ন ঘরে ফিরলো ; ঝুমা তখন একাই ছিলো ঘরে /অয়ন ঘরে ঢোকার সাথে সাথেই ঝুমা উঠে দরজাটা বন্ধ করে দিলো / অয়নকে বললো ," আপনার সাথে আমার একটু কথা আছে "/ অয়ন বুঝতে পারলো ঝুমা তাকে কি বোলবে /সে চুপ কোরে যেয়ে খাটের উপর পা ঝুলিয়ে বসলো / কিন্তু অয়নকে অবাক করে দিয়ে ঝুমা অয়নের গা ঘেষে যেয়ে বোসে তাকে যা বললো অয়ন তার জন্য মোটেই সে প্রস্তূত ছিলো না / সে মুখে হাত চাপা দিয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদতে লাগলো আর বলতে লাগলো ," না এ কিছুতেই হোতে পারে না /আমি আপনার জীবনটাকে কিছুতেই নষ্ট কোরতে পারিনা" /ঝুমা আরও একটু অয়নের কাছে এগিয়ে যেয়ে তার একটি হাত নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে বললো ," যে কথাটা এতদিন শুধু আপনি একাই জানতেন ; সেই কথাটা গতকাল থেকে শুধু আমি জানলাম / আমায় ছুয়ে কথা দিন ,আপনি কোনদিন কোনো অবস্থাতেই এই কথাটা আর কাউকেই বলবেন না / আর হ্যা -আমরা স্বামী ,স্ত্রী - পৃথিবীর কাছে এটাই আমাদের পরিচয় / তাই আপনি নয় ; আজ থেকে আমরা পরস্পরকে তুমি বলে কথা বোলবো /
ভালোবাসা মানে কি                                             ভুল বুঝেছো বন্ধু -                                            তুমি আমায়, খুব ভুল বুঝেছ-                                               .. . ... . . . . . . . .. . হ্যা, আমি তো তোমায় ভালোবাসি,                                      . . . . . . . . কিন্তু সেটা প্রেমের দৃষ্টিতে নয়,                                                     . . . . . . দিদির যতটা ভালোবাসা উচিত -                                         . . . . . . . . . . . . . . . তার ছোট ভাই সম, বন্ধু কে-                                                      . . . . . . . আমি ঠিক ততোটাই তোমায় ভালোবাসি ,                                                                   তোমার বয়স কম,                                                   . . . . . . . .তুমি ভুল কোরতে পারো,                                                           (কিন্তু) আমি তো তোমার ভুলকে-                                         . . . . . . . . . . . . . . প্রশ্রয় দিতে পারি না l                                                          . . . . আমি যে ভুল করার বয়সটা ,                                                           অনেক আগেই ফেলে এসছি l                                       . . . .   . . . . . . . . পৃথিবীর সব ভালোবাসাকে,                                         . . . . .একই দৃষ্টিতে দেখো না -                                                         . . . .জীবনে শারীরিক সুখ ছাড়াও-                                               . . . . . . . ভালোবাসার আরও  অনেক সুখ আছে-                                                                                    মা তার পুত্র সন্তানকে ভালোবাসে,                                                             দিদি তার ভাইকে যতোটা ভালবাসে-           আমিও যে বন্ধু তোমাকে,                                                      . ঠিক ততোটাই ভালবাসি l                                                           . . . তোমার ভালোবাসাটা যদি,                                                                              সত্যি ই  পবিত্র হোত,                                                                                 তুমি নিজের পিঠ বাঁচাতে-                                                                                       আমার কুত্সা  গাইতে না l                                                                                       তোমার ছিলো মোহ,                                                                                          আর আমার আছে  , সত্যি কারের- ভ্রাতৃ প্রেম l

Wednesday, May 11, 2016

*ভালো থেকো* ( নন্দা মুখার্জী ) 6.3.16.                                     ¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥.                                    একটা সময় ছিলো -                                                            যখন শুধু তোমার কথা ভাবতাম -                                      এখন আর ভাবিনা -                                                           বুঝতে পেরেছি- তোমার প্রতি আমার কোনো অধিকার নেই -                                                                                   একটা সময় ছিলো -                                                                     যখন শুধু- তোমায় নিয়েই স্বপ্ন দেখতাম -                                 এখন আর দেখিনা -                                                               স্বপ্নগুলো আমার ভেঙ্গে চুড়মার করে দিয়েছো -                           এর জন্য তোমাকে কোনো কঠিন কাজ করতে হয়নি -                          .                                              তোমার চরম অবহেলা দিয়েই আমায় -                                        জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাক করে দিয়েছো -                                                  এখন সেই দিনগুলি নিয়ে আর ভাবিনা -                                            উঠে দাঁড়াতে পেরেছি ,ঘুড়েও দাড়িয়েছি -                                      এখন ভাবি শুধু নিজেকে নিয়ে -                                       শুধু তোমাকেই নয় -                                                                       সারা পৃথিবীকে আমি দেখিয়ে দেবো -                                              তোমার দেওয়া আঘাত- অপমান সহ্য করেও -                             আমি মাথা উচু করে বেচে আছি - ভালোভাবে -                              দুর্বল চিত্তের মানুষ আমি নই -                                            তুমি আমাকে ঠকাও নি -                                                                 ঠকেছো তুমি নিজে -                                                               আমার ভালোবাসাকে অবহেলা কোরে /(নন্দা )
আমার কিছু প্রিয় পাঠকদের জন্য আমার এই লেখাটি __________________________________________________.           আমি যখন কিছু লিখি - অধিকাংশ সময় আমার প্রিয় পাঠকেরা ইন বক্স বা পাবলিক পেলেসে জানতে চান, ওই লেখাটি আমার নিজের জীবনের ঘটনা নাকি ; আমি মনে করি এখানেই আমার লেখা সার্থক / আজ অবধি আমি  "ঈশ্বর কৃপা " ছাড়া অন্য যতগুলি কবিতা বা গল্প লিখেছি তার সব ই আমার কল্পনা বা কিছুটা অভিজ্ঞতাও বটে / আমি যখন কিছু লিখি তখন সেই কাল্পনিক চরিত্র টা তে নিজেকে কল্পনা কোরে লিখি ,যার ফলে লেখাটা পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করে ,আর অনেকেই প্রশ্ন করেন ওটা আমার জীবনের ঘটনা কিনা / এ পর্যন্ত সব ঠিক আছে / কিন্তু গতকাল "চোরাবালি"-বলে যে কবিতাটি পোস্ট করেছি - সেটা পড়ে অনেকেই আমার ব্যক্তিগত দুঃখে দুঃখিত হয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে ফোন নম্বর ও দিয়ে দিয়েছেন / এই লেখাটি পরে তারা বুঝতেও পেরেছেন - আমার স্বামী আমাকে কত কষ্টে রেখেছেন / আমি হাসবো ,না কাঁদবো ,নাকি রেগে যেয়ে তাদের ব্লক করবো অথবা তাদের দু ,চার কথা শুনিয়ে দেবো কিছুই বুঝে উত্ঠে না পেরে তোমাদের শরণাপন্ন হোলাম / তবে একটা কথা বুঝতে পারছি-  "আমি কিছু লিখছি"-

Tuesday, May 10, 2016

  • নির্মম নিয়তি                            
  •      দাউ, দাউ করে চিতা জ্বলছে- অধিরবাবু এক দৃষ্টিতে চিতার দিকে তাকিয়ে, অপুর ছেলেবেলার কথা ভাবছেন l চোখ থেকে অবিরাম জলধারা বয়ে চলেছে l মুখে কোনো কথা নেই l সন্ধ্যা থেকেই তিনি যেনো বোবা হয়ে গেছেন l অনেক পরিশ্রম কোরে, অনেক আশা নিয়ে তিনি ছেলেকে ডাক্তারী পড়িয়েছিলেন l চিরদিনের মেধাবী ছাত্র অপূর্ব, অধিরবাবুর একমাত্র সন্তান l স্ত্রী বিয়োগ হয়েছে তার বছর পাঁচেক আগে l অপু তখন সবে ডাক্তারী পাশ করেছে l শোভাদেবির হঠ্য়াত মৃত্যু l ব্রেন স্ট্রক l সাজানো, গুছানো সংসারটা অগোছালো হয়ে গেছিল l  আস্তে আস্তে সেই শোক কাটিয়েও উঠেছিলেন l আনাড়ি হাতে বাপ, ছেলে সংসারটাকে মোটামুটি গুছিয়ে ও ফেলেছিলেন l অপুর বিয়ে দেওয়ার জন্য মেয়ে দেখতেও শুরু করেছিলেন l কিন্তু হঠ্য়াত একি হলো?? সকালে খেয়ে দেয়ে রোজ যেমন নার্সিং হোম   যায় ঠিক তেমন তাই তো বেড়িয়েছিল- বাবার নিজের হাতে করে দেওয়া ডিম , আলু  সেদ্ধ, ভাত খেয়ে l বিনা মেঘে বজ্র পাতের মতো হঠ্য়াত পাড়ার একটি ছেলে এসে সন্ধ্যায় খবর দিলো, "অপুদার এক্সিডেন্ট হয়েছে, নার্সিং হোমে আছে l" ছুটে গেলেন অধিরবাবু l কিন্তু ডাক্তারদের সব চেষ্টা , অধিরবাবুর ঈশ্বরের কাছে মাথা কোটা সবই নিস্ফল হলো l  অধিরবাবুর কথাও বন্ধ হোলো l আত্মীয় স্বজনেরা যে যা বলছে তিনি মাথা নেড়ে সম্মতি দিচ্ছেন l অধিরবাবু ছেলেকে নিয়ে থাকতেন ছোট একটা মফসল শহরে l রাত তখন প্রায় দশটা l সকলে মিলে অপুকে নিয়ে পায়ে হেটেই শ্বশান এর দিকে রওনা দিলো l অধিরবাবু সকলের পিছনে তার বন্ধু রমেশ বাবুর সাথে তাদের অনুসরণ করলেন l কেউ একজন হাতে ধরিয়ে দিলো মুখাগ্নির পাঠকাঠি l ধরে নিয়েই তিনি দাড়িয়ে রইলেন l সেই ব্যক্তি ই তার হাত ধরে তাকে চিতার কাছে নিয়ে গেলেন l তিনি অপলক দৃষ্টিতেই তার কাজ সম্পন্ন করলেন l কি করছেন, কেনো কোরছেন কোনো জ্ঞান ই তার যেনো নেই l বন্ধুটি তার হাত ধরে নিয়ে একটি জায়গায় বসিয়ে দিলেন l বাধ্য শিশুর মত তিনি সেখানে বসে থাকলেন l মাত্র কয়েক মিনিট lহঠ্য়াত তার শরীরটা নুইয়ে মাটিতে পোরে গেলো l শ্বশান বন্ধুরা সব ছুটে এলেন l সকলে ভাবলেন, বুঝি বা জ্ঞান হারিয়েছেন l জ্ঞান ফেরাবার জন্য যার যে টুকু শিক্ষা ছিলো, সকলেই টা প্রয়োগ করলেন l কিন্তু জ্ঞান ফিরছে না দেখে তাদের ই মধ্যে কেউ একজন, পাশের এক ডাক্তার কে ডেকে নিয়ে আসলেন l ডাক্তার পরীক্ষা কোরে বললেন, "সব শেষ l আর কিছু করার নেই"l একটু আগে যে চিতায় অধিরবাবুর ছেলেকে দাহ করা হয়েছে, তাঁকে ও  সেই চিতায় তুলে দেওয়া হোলো l সকলে এক দৃষ্টিতে চিতার দিকে তাকিয়ে l তার মধ্যে থেকে অধিরবাবুর অভিন্ন হৃদয় বন্ধু রমেশবাবু বললেন, "ভালোই হোলো- ছেলের মৃত্যু শোক অধিরকে সইতে হোলো না; এবার বাপ বেটা একসঙ্গে নিশ্চিন্তে থাকতে পারবে l"

Monday, May 9, 2016

"প্রথম শিক্ষা গুরু "   (নন্দা মুখার্জী)                         ++++++++++++++++++++++++++++             তোমার হাতটি ধরে আমার-                                      . ... ........................ . ....প্রথম হাটতে শেখা-                                             . . .... .............. . . তোমার মুখের বুলি শুনেই-                                 ...................................................................আমার প্রথম কথা বলা শেখা-                             . . . দুষ্টুমি কোরলে বোকেছ যত-                               কাছে টেনে আদর করেছো শত-                       অন্যায় কোরলে চোখ পাকিয়ে-                         তাকিয়েছ মুখের দিকে-                                           . . . . ... . . . .
. সেই চাউনিই আজও আমার-                          অন্যায়ের পথ হতে-                                            চীনের প্রাচীর হয়ে দাড়ায় চারিদিকে-                    তোমার শিক্ষা আজও আমার-                                চলার পথের পাথেয় -                                         আজও আমার কানে বাজে -                                       .. . . . . . . . . . . " অন্যায়ের পথ হতে দূরে থেকো "-                         "মিথ্যা বলা মহাপাপ"-                                           প্রথম তোমার কাছেই শোনা-                           আদর্শলিপি পড়ার আগেই-                           শিখিয়েছিলে একশ গোনা -                                  তুমিই আমার প্রথম শিক্ষাগুরু -                               . . . . . . . . . . . . . ...... . . . . . তুমি যে আমার সোনা মা-                                         . . . . ....... . . . . .. . . . ... এই ভুবনে তোমার মাগো-                                        . . . . . . . . . . . . . . .....নেই যে কোনোই তুলনা /08.05.16 ( নন্দা )...2-30 PM.

Wednesday, May 4, 2016

                "নিজের কিছুই নয়"                                           . . . . . .. . .. . ফুলের মত জীবন মোদের -                                            . . . . . . . . . . .. . . শয্যা হোলো কন্টোকাকীর্ণ -                                         . . . . . . . . . . .. . . কখনো জোয়ার কখনো ভাটা -                                       . . . . . . . . . . . . . . . . . বিনি সুতোই যেমন মালা গাঁথা -                                     . . . . . . . . . . . . . . ..... হাসির পরেই কান্না আসে -                                            . . . . . . ..... অমাবস্যার পরে চাঁদ -                                                      . . . . . . . . . সব কিছু জেনেও মোদের -                                             . . . . . . . . . . . . . মাঝে মধ্যেই ভাঙ্গে ধর্য্যের বাঁধ -                                       . . . . . . . . . . .
. পুতুল নাচের মতোই যেনো -                                                 . . . . . . . . . . . নাচি আমরা সবাই -                                                     . . . . . . সুতোটা কেঁটে গেলেই -                                                . . . . . . . . অনেক দূরে চলে যাই -                                                  . . . . . . . . . . বেচে থাকার সল্প সময় -                                              . . . . . . . . . . . . . শুধু "আমার" "আমার" করি -                                        . . . . . . . . . .. . . কিছুদিন অভিনয় শেষে -                                               . . . . . . . . . . সবাই সরে পড়ি -                                                        . . . . . . পড়ে থাকে সকল কিছু-                                                       . . . . . . . iযায়না যে কিছুই সাথে -                                                   . . . . . . . . . . . . যে চলে যায় - তার স্মৃতি নিয়ে -                                    শুধু অন্যেরা বেচে থাকে /  (নন্দা) 4.5.16  2 AM