Saturday, December 31, 2016

"অনুকবিতা"
  আমরা বেঁচে আছি
            নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী
ঘর নেই ,বাড়ি নেই -
আছি ফুটপথে  ,
নুতন বছর বলে কিছু নেই ,
থাকি পথে ঘাটে |
অনাহারে থাকি সব ,
ক্ষুদার জ্বালায় কাঁদি ,
শীতের পোশাক বলে কিছু নেই ,
স্বপ্ন  ছাড়াই বাঁচি |
নন্দা   31-12-16  

Thursday, December 29, 2016

সময় নিলো না
                  নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী
আমি তো গড়তে চেয়েছিলাম ,
তবে কেন সব ,ভেঙেচুরে  গেলো ?
ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসা চেয়েছিলাম ,
সবকিছু কেন তবে ঘৃনায় পূর্ণ হোলো ?
ভুলবুঝাবুঝি ,মানাভিমান ,
জড়ো হতে হতে পাহাড় সমান হোল !
কেউ পারলাম না টপকাতে তাকে ,
ভেঙেচুরে খানখান হয়ে গেলো |
একই ছাদের তলে দু'টি প্রাণী ,
ঠিক যেন অচেনা প্রতিবেশী !
সব কিছু কেমন এলোমেলো আজ ,
কথা নেই কারও ভাবি যেন বেশি |
হয়তো বিশ্বাসে ভুল কিছু ছিলো ,
তাই ভুলের মাসুল গুনতে হোলো !
নন্দা   29.12.16  12-5AM.



Wednesday, December 28, 2016

জীবন মানেই কি পরাজয়
                   নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী
বিচিত্র মোদের জীবনের রং ,
লাল ,সাদা ,নীল ,
অন্ধকারের পরেই যেমন -
আসে আলোয় ভরা দিন |
শীত ,গ্রীষ্ম ,বর্ষা যেমন -
ঘুরে ,ঘুরে আসে ,
জীবনের রং ও পাল্টে যায় ,
কোনো এক মাসে |
শিশুকাল কাটে একভাবে ,
কৈশোর আনন্দময় ,
যৌবনদ্বারে পৌঁছে বুঝি ,
জীবনটা খুব সহজ নয় |
সংসার জীবনের জটিলতায় ,
মাঝে ,মাঝে মন ভেঙ্গে যায় ,
সব কিছু থেকেও মনেহয় ,
জীবনের মানে কিছুই নাই |
তবুও বাঁচার অদম্য ইচ্ছা ,
সংসারেরই মায়া মমতায় ,
নিজ হাতে গড়া সংসারেই ,
 মানতে হয় অন্তিমলগ্নে পরাজয় |
নন্দা    27.12.16   12-30am.

Monday, December 26, 2016

উত্তর দাও
               নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী
কেনো গো বিধাতা ,
          তুমি এমন কেন ?
শ্রদ্ধা ,ভালোবাসার মাঝে ,
            জটিলতা আনো ?
আজন্ম লালিত শ্রদ্ধার আসন ,
           হয়ে যায় টলমলে !
বুকের মাঝে দগ্ধ করো -
           ছাঁই করে দেওয়া অনলে !
তুমি তো দেখো ,
              তুমিই গড়ে দাও -
কেন তবে তুমি ?
            নিজেই ভেঙ্গে সব -
তছনছ করে দাও !
তোমার সৃষ্টি সকল কিছু ,
          সম্পর্কগুলিও বাইরে নয় ,
তবুও কেন মেনে নিতে হয় ?
         সম্পর্কের পরাজয় !
নন্দা    26.12.16  6-20পাম

Friday, December 23, 2016

শুণ্য জীবন
        নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী
গানের খাতায় ভর্তি শুধু ,
    স্বরলিপি লেখা ,
সুর কণ্ঠে নেই যে আমার ,
    পাইনা সুরের দেখা |
তুমি ছিলে ,সুর ছিলো ,
    ছিলো সাথে গান ,
বেহিসাবী হয়ে আজ -
     শুণ্য হলো জীবন !
আছে যত মনের ক্ষত ,
    সারবে না তা কোনো কালে ,
সুরের মাঝেই ডুবতে গিয়ে -
    হারালাম সব অকালে !
নন্দা   23.12.16  11pm.
গ্রাম্য জীবন
             নন্দা মুখাৰ্জী রায় চৌধুরী
শীতের সকালে হিমের পরশ ,
    শিশিরে ভেজা ঘাস -
সোনালী রোদের উষ্ণতা নিয়ে ,
    চাষী করে মাঠের কাজ |
মাটির উঠানে করে গর্ত ,
    দুই মুখ করে চুলা ,
খেজুঁর ,তালের রস জ্বালে ,
    হাসি ,আনন্দে গল্প বলা |
বাগান কুড়িয়ে জ্বালানী আনা ,
    উনুনের পাশে জমা করে রাখা ,
জমি থেকে তুলে টাটকা সব্জী ,
    খায় সবে মিলে জমিয়ে কব্জি |
সন্ধ্যা হলে উঠানের মাঝে ,
    আগুন জ্বেলে উষ্ণতা নেওয়া ,
গ্রামের সরল জীবন যাত্রা -
    দারিদ্রের সাথে জীবন পাড়ি দেওয়া |
নন্দা   21.12 .16   6.15 PM.

Wednesday, December 21, 2016

তোমার উপহার
                 নন্দা মুখাৰ্জী রায় চৌধুরী
স্বপ্ন যখন ভেঙ্গেই গেলো ,
তাকাবো  কেন পিছু ?
বাঁচার রাস্তা আছে অনেক -
খুঁজে নেবো কিছু |
অনেক আশা ছিলো মনে ,
সব অচেনা মনের সনে ,
নুতন করে রচবো আশা ,
খুঁজবো নতুন ভালোবাসা |
মাথা তুলেই বাঁচবো আমি ,
মানবো নাতো হার ,
তোর আঘাত মোর জীবনে ,
ভালোভাবে বাঁচার উপহার |
এখনও আমি দেখি স্বপন ,
তবে তোকে নিয়ে নয় !
খুঁজবো আমি এমন আপন ,
যাকে বিশ্বাস করা যায় |
নন্দা   17.12.16  9-30

Saturday, December 17, 2016


আমরা সরল
              নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী
তোমরা থাকো অট্টালিকায় ,
    আমরা ফুটপাথে ,
তোমরা কিন্তু বোঝো নাকো -
     শীত পেলে কেমন লাগে |
কপাল নিয়ে জন্মেছ তোমরা ,
    আমাদের কপাল মন্দ ,
একই ভাবেই এসেছি আমরা ,
    তোমাদের - জীবনভরা আনন্দ |
তোমাদের আছে অনেক টাকা ,
    দামী গাড়ি ,বাড়ি ,
কোনোকিছুই নেই যে মোদের ,
    দারিদ্রের সাথেই জীবন দিই পাড়ি |
আমাদের আছে এক অমূল্য ধন ,
    যা তোমাদের নেই !
মনটা মোদের সহজ ,সরল ,
    কালোটাকার অহংকারে মোটেই নয় গরল |
নন্দা   ১৭.১২.১৬ রাত ১০-২০ ,,,

মন
         নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী
মন , এমন একটা বস্তু ,
যা হাসতে জানে ,কাঁদতে জানে ,
বেদনা লুকিয়ে রাখতে জানে ,
কিন্তু সে বোবা -
কথা বলতে জানে না |
অনেক সময় সেও -
তার নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে ,
পারিপার্শ্বিক নানান ঘটনাপ্রবাহের কারণে ,
তখন মন যা সায় দেয়না ,
এমন কোনো কাজ -
করতেও বাধ্য হতে হয় |
এই মন-ই আবেগে ভাসে ,
অপমান ,অপবাদে কাঁদে ,
     সব- ই নীরবে ,
মনের খবর অন্য কেউ জানে না !
নন্দা   13.11.16   2AM.

Thursday, December 15, 2016

ঐক্য ,দৃঢ়তা ,বিশ্বাস আর ভালোবাসায় একটা পরিবার গড়ে ওঠে | ছোটখাটো দুঃখ ,কষ্ট আর ভুলবুঝাবুঝিগুলিকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে নিলে সমস্যাটা বিশেষ আকার নেয়না |
বয়সের ভারে মানুষ অনেক কিছু ভুলে যায় |
'ভুলে গেছি'- বলতে অনেক সময় ইগোতে বাঁধে |
এতে সম্পর্ক আর ভালোবাসায় ফাঁটল ধরে |
তৃতীয় পক্ষ যদি ব্যাপারটা নিয়ে জলঘোলা না করে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করে ,
তাহলে শুধুমাত্র  একটা 'সরি' -তেই সমাধান হয়ে যায় | তানাহলে শত চেষ্টা করেও সেই আগের সম্পর্কটা আর ফিরে আসে না |
ভালো থেকো বন্ধুরা ,,শুভ রাত্রি ,,,,,

Wednesday, December 14, 2016


"ভুতুড়ে কান্ড" ( নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী ) ^^^^^^^^^^^^^^^^^
  বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে কলেজে পড়াকালীন সময়ে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে উদ্দেশ্যহীন ভাবেই বেড়িয়ে পড়লাম | সবাই মিলে প্রথমে আসলাম হুগলি | সেখানে আমার এক কাকার বাড়ি আছে | বাড়িটা একটু ভিতরের দিকে | পাঁচজন যেয়ে সেখানে উপস্থিত হলাম | নানান ধরণের গল্প ,গুজব হতে হতে আমার খুড়তুতো ভাই বললো ওখানেই একটি রাজবাড়ী আছে ; যেখানে শুধুমাত্র  ভুতেরই বাস | অনেকেই নাকি নানান ভাবে তাদের অস্তিত্ব টের পেয়েছেন | সকলেরই বয়স কম , প্রত্যেকেই নিজেদের অসীম সাহসী ভাবি | ঠিক করলাম সকালেই ওই রাজবাড়িতে যাবো |    উঠতে উঠতে একটু বেলায় হয়ে গেলো | কাকিমা বললেন স্নান , খাওয়া ,দাওয়া করে যাতে আমরা বেড়োই | এ সব সারতে সারতে আমাদের প্রায় বারোটা বেজে গেলো | খুড়তুতো ভাইটি আমাদের সাথে গেলো না , পথনির্দেশটা দিয়ে দিলো | অনেকটা পথ পেড়িয়ে আমরা এসে রাজবাড়ীর সিংহদুয়ারে পৌঁছলাম | বিশাল লোহার গেট | খুব বড়ও তালের মতো এক তালা ঝুলছে | ঢোকার কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছি না , এমনকি আশেপাশেও কাউকেই দেখতে তেমন পাওয়া যাচ্ছে না | খুব মন খারাপ নিয়ে ওখানে দাঁড়িয়েই সকলে নানান পোজে ছবি তুলতে লাগলাম | হঠ্যাৎ আমাদের সকলকে অবাক করে দিয়ে বেশ মোটা কালো মতো একজন লোক সেখানে এসে হাজির হলেন | ভিতরে ঢোকার চাবি কোথায় পাবো তার কাছে জানতে ছায়ায় তিনি অত্যন্ত মিহি শুরে আমাদের বললেন ,"ওটা আমার কাছেই থাকে |" খুশিতে ডগমগ সব গেটটা খুলে দিতে বললাম | গেট খুলতে খুলতেই উনি আমাদের সতর্ক করে দিলেন যাতে পুরো রাজবাড়ী আমরা বাইরে থেকেই দেখি এবং সন্ধ্যার আগেই যেনো ওই রাজবাড়ী ছেড়ে বেড়িয়ে আসি | পরে রাতে এসে উনি তালা দিয়ে যাবেন | আমরা সম্মত হয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম | রাজবাড়ীর ভিতরে কিছু কিছু জায়গা আগাছায় পূর্ণ | আবার অবাক করে দেওয়ার মতো কিছু জায়গা দেখলে মনেহয় সেখানে যেন নিত্য লোকের আনাগোনা | বিশেষত যে সব জায়গা গুলিতে বসবার মতো ব্যবস্থা রয়েছে |  মনের আনন্দে সকলে সবকিছু ঘুরে দেখছি | হঠ্যাৎ খেয়াল হলো আবার ছবি তোলার | মোবাইল ফোনের তখনও চল হয়নি | ছবি তোলার জন্য আমার দামী ক্যামেরা ইয়াসিকা | পোজ নিয়ে সকলে দাঁড়িয়ে পড়লো | আমি ক্যামেরার পিছনে | কিন্তু একি ? চোখের সামনে যে মানুষগুলিকে দেখতে পাচ্ছি ,ক্যামেরার লেন্সে তাদের দেখতে পাচ্ছি না কেন ? শুধুই কালো আর কালো | সাধের ক্যামেরা আমার নষ্ট হয়ে গেছে ভেবে নিয়ে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো | নষ্ট ক্যামেরা কাঁধে নিয়ে আবার ঘুরতে লাগলাম | এত বড় রাজবাড়ী যেন শেষই হয়নি ঘোরা | সন্ধ্যা হয় হয় ; এমন সময় ওই লোকের কথা মনে পড়লো | বেড়িয়ে আসতে হবে | পুরোটা ঘুরে দেখা হোলোনা বলে মনটা সকলের খুব খারাপ হয়ে গেলো | আমরা বাইরে বেড়োনোর জন্য পিছন ঘুরে হাটতে লাগলাম | কিন্তু কোথায় বাইরে বেড়োনোর পথ ? যে পথ দিয়ে ভিতরে ঢুকলাম সে পথই তো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না | হঠ্যাৎ কানে এলো ঘুঙঘুর এর আওয়াজ | অতি বড় সাহসী আমি -আমার বুকের মধ্যেও ধুকধুকানি শুরু হোলো | হঠাৎ করেই আমাদের সামনে একজন মহিলা এসে উপস্থিত হলেন | তিনি বললেন ,"আপনারা এত দেরি করলেন কেন ? ঢোকার আগে আমার স্বামী তো আপনাদের বলেই দিলো সন্ধ্যার আগেই এখান থেকে বেড়িয়ে যেতে | আমার পিছন পিছন তাড়াতাড়ি পা চালিয়ে আসুন |মহিলার সহায়তায় আমরা রাজ্ বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসলাম | চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার |কিছুদূর এগিয়ে  তারই মাঝে দেখতে পেলাম একটি ছোট চায়ের দোকান | সেখানে কিছু লোক বসে চা খাচ্ছে ; ওই মানুষগুলির মধ্যে যে আমাদের গেটের তালা খুলে দিয়েছিলেন তিনিও আছেন |আমরা সকলে যেয়ে চায়ের দোকানে চায়ের অর্ডারটা দিয়ে বাইরে বেঞ্চে বসে দাড়োয়ান ভদ্রলোককে  বললাম ,"আপনার স্ত্রী যদি ওই সময় আমাদের কাছে না আসতেন আমরা তো বেড়োতেই পারতাম না | কিন্তু সন্ধ্যার সময় ওখান থেকে ঘুঙঘুরের আওয়াজ কোথা থেকে আসছিলো ?"হঠ্যাৎ চা বিক্রেতা আমাদের দিকে তাঁকিয়ে বললেন ,"আপনারা রাজবাড়িতে গেছিলেন ? আর একটাও কথা ওর কাছে জিজ্ঞেস করবেন না | আপনারা এদিকে উঠে আসুন |" যার সাথে এতক্ষন কথা বলছিলাম মুহূর্তে দেখি সে উধাও | দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলাম ,"এত তাড়াতাড়ি ভদ্রলোক উঠে কোথায় চলে গেলেন ?"  " উনাকে শুধু আপনারাই দেখতে পারছিলেন এখানে আমরা কেউই তাকে দেখতে পাইনি | উনি মানুষ না | তবে কখনোই কারও ক্ষতি করেন না | কেউ রাজবাড়ী দেখতে আসলে উনি গেট খুলে দেন ; রাত হয়ে গেলে উনার স্ত্রী বাইরে বেড়োনোর পথ দেখিয়েও দেন | দুজনেই ছিলেন রাজার বিশ্বস্ত কর্মচারী | বেঁচে থাকতে তারা যে কাজ করেছেন মরে যেয়ে ভুত হয়েও একই কাজ করে চলেছেন | আর ওই যে ঘুঙঘুরের আওয়াজের কথা বললেন না - সন্ধ্যা হলেই ওখানে মাহফিল বসে | রাজপ্রাসাদের ভিতরে  নানান প্রকারের আলোর রোশনাই, অনেক দূর থেকে সে আলো দেখা গেলেও কাছে গেলে তা ক্রমশ কমতে থাকে | অদ্ভুত একটা গা ছম্ছমে ভাব আসে | যারা দাঁড়োয়ানকে বা তার স্ত্রীকে  একবার দেখেছে পরে তারা আর কখনোই তাকে দেখতে পায় না | কেউ সেখানে গেলে সেদিন দাঁড়োয়ান এখানে আসবেই |" আমরা সকলে হা করে কথাগুলি শুনছিলাম | হঠ্যাৎ আমার বন্ধু বিজন বলে উঠলো , তার মানে আমরা পুরোদিনটা ভুতের সাথেই কাটালাম ?"  "হ্যা আপনারা  রাজপ্রাসাদের কোনো কামরায় ঢোকেননি বলে বেঁচে এসেছেন ; যদি কোনো কামরায় ঢোকার চেষ্টা করতেন তাহলে প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারতেন না | ওরা কিন্তু আপনাদের সাথে  সাথেই ছিলেন | ওখানে কেউ ছবি তুলতে গেলে কোনো ছবি উঠে না ,কারণ ওরা সাথে থাকে |
অদ্ভুত ব্যাপার হলো সারাদিন আমরা ভুতের সাথে থেকেও কেউ কোনো ভয় পেলাম না | খুশি হলাম এই ভেবে যাক বাবা ! ক্যামেরাটা তাহলে নষ্ট হয়নি | ভুতের ছবি না উঠুক মানুষের ছবি তো উঠবে !!
""""""
নন্দা  24.9.16

Sunday, December 11, 2016

কেন এমন হয়
              নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী
কিছুটা শ্রদ্ধা ,অনেকটা বিশ্বাস ,
এই নিয়ে গড়ে ওঠে ভালোবাসা ,
শুধু প্রেমিক ,প্রেমিকার নয় ,
জীবনে ঘিরে থাকা ,
প্রত্যেকটা মানুষের ক্ষেত্রে |
সব সম্পর্কগুলিই -
কাঁচের মত স্বচ্ছ অথচ ঠুনকো ,
একবার বিশ্বাস ভেঙ্গে গেলে ,
শ্রদ্ধার আসনটা হয়ে যায় টলমলে ,
ভালোবাসাটা তখন কোথায় যেন হারিয়ে যায় ;
যা পড়ে  থাকে -
সেটা শুধু মুখোশপড়া অভিনয় |
হঠ্যাৎ করেই চিরপরিচিত-
মানুষগুলি অচেনা হয়ে যায় ।


নন্দা    11.12.16

Saturday, December 10, 2016

দিলে উপহার
                   নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী
আমি তো শুধু তোমায় ভালোবেসে ,
  ছেড়েছিলাম মোর ঘর ,
বাবা ,মা আর আপনজন ;
  বুঝতে আমি পারিনি গো ,
তোমার মনের কথা ,
  দুঃখের সাগরে তাঁদের ভাসিয়ে -
দিয়েছি প্রাণে ব্যথা |
তুমি আমায় তুললে এনে ,
  রাজপ্রাসাদ সম বাড়িতে ,
প্রথম রাতটিই কাটালে শুধু ,
  তুমি আমার সাথে |
নিত্য রাতে নুতন সঙ্গী ,
  দিলে ভালোবাসার উপহার -
হারিয়ে গেলো তোমার জন্য ,
  ঘর বাঁধার স্বপ্ন আমার |
ফিরতে আর পারবো নাতো ,
  যেথায় ছিলো বাড়ি -
সারাজীবন থাকতে হবে ,
  আমায় এই বেশ্যাপুরী |

নন্দা    12.11.16   9PM.

Friday, December 9, 2016

কাগজের ফুল
             নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

যদি তুমি ছিঁড়ে গেলে আমার ভালোবাসা ,
দম্কা হওয়ার মত কেন জাগিয়েছিলে আশা ?
ভালোবাসো যদি তুমি দেখতে দাবানল ,
কেন তবে ঝড়ালে আমার চোখে জল |
যে ভালোবাসা দিলো আমায় শুধুই ছলনা ,
কেন তারই লাগি বাজে বুকে শুধু বেদনা ,
ভুলতে চেয়েও কেন তারে ভুলতে পারিনা ,
চোখের জল আমার কেন বাঁধ মানেনা ।
গন্ধ যেটুকু ছিলো ফুলের  ,
নিয়ে  গেলে তুমি ,
কাগজের ফুল হয়ে ,
থাকবো বেঁচে আমি ।
নন্দা  ২৬.১১.১৬   ১-৩০AM

Thursday, December 8, 2016

গান
          নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী
অমন করে কাতর স্বরে -
আমায় ডেকো না ,
দূরেই আমি আছি ভালো ,
থাকুক যতই বেদনা ।
যদি আমার ভুবন ,
যায় কালো মেঘে ছেঁয়ে -
তবুও আমি বলবো- বারেবার -
যেখানে আছো তুমি সুখে থাকো ,
তোমার কাছে যাওয়ার নেই যে অধিকার ।
ভুলে যেও সবকিছু ,
তাঁকিয়ো না আর পিছু ,
কখনো আমায় মনে কোরো না ...,
আমায় আর ডেকোনা ... ।
ছেড়েই যদি যেতে হোলো সব অধিকার ,
কি হবে পিছু ডেকে আর ...?
আমায় আর ডেকো না ,
মনে রেখো না ...
  নন্দা ৬.১২.১৬

Monday, December 5, 2016

ভয় পেয়োনা
            নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী
জীবনটা খুব কষ্টর ,
বাঁচার রাস্তা অনেক -
আয়ুটা স্বল্প কালের ,
চলার পথটা দীর্ঘ ।
এই বন্ধুর পথে শুধু দরকার ,
একজন প্রকৃত বন্ধুর ;
সুখে,দুঃখে সকল কাজে ,
পরস্পরের বাঁচার লড়াইটাকে-
 যে নিজের ভাববে ।
ভালবাসার মুখোশ পড়ে ,
অনেকেই সামনে আসে ,
কিছু লড়াইয়ের মাঝপথেই -
পালিয়ে যেয়ে অন্যভাবে বাঁচে ।
   যে থেকে যায় -
তাকে পেয়ে বসে একাকিত্বে ,
এই একাকিত্বকে যে জয় কোরতে পারে -
সেই মাথা তুলে জীবনের স্বাদ গ্রহন করে ।
১২.১১.১৬    ৬-৩০ সন্ধ্যা ,,

Sunday, December 4, 2016

রিক্ত
           নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী
এখনো তোকে ভূলিনিরে !
রোজ তোর কথা মনে পরে ,
অনেক রাতে হোটেল থেকে,
গান গেয়ে যখন বাড়ি ফিরি ,
গাড়িতে তোর কথায় শুধু ভাবি ,
আমার নিজের গাড়ি নয় ,
হোটেল মালিকের গাড়ি |
আমি এখন অনেক রোজগার করি ,
ছোট বোন দু'টির বিয়ে দিয়েছি ,
ভাইকে লেখাপড়া শিখিয়ে বড় করেছি ,
সে ভালো রোজগার করছে দেখে ,
তারও বিয়ে দিলাম |
মাস খানেকের মধ্যেই -
বৌকে নিয়ে আলাদা হয়ে গেলো ;
আমি নাকি চরিত্রহীনা ;
হোটেলে গান করি যে ,
আর কেউ বিশ্বাস করেও না ,
কিন্তু তুই বিশ্বাস কর ,
গান আমি হোটেলে গাই ঠিকই ,
কিন্তু শরীর আমি বিক্রি করিনি |
যেদিন তুই চাকরি পেয়ে এসে -
আমায় বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলি ,
আমি তোকে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম ,
কারণটাও তুই জানিস ;
তার কয়েকদিন আগেই ,
মায়ের ক্যান্সার ধরা পরে ,
বাবা তো অনেক আগেই -
আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন |
গানের গলাটা আমার ভালো ছিলো ,
তাকেই আশ্রয় করে ,
নিজের জীবনের বিনিময়ে -
ভাইবোনদের মানুষ করে -
তাদের সুখ দিতে চেয়েছিলাম ,
তাই নিজের সুখকে বিসর্জন দিয়েছিলাম -
তোকে ফিরিয়ে দিয়ে |
মানুষ করতে  হয়তো পারিনি ,
কিন্তু ওদের সুখ দিতে পেরেছি ;
মাকেও অনেক বছর -
বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছিলাম ।
বোনেরা কোনো সম্পর্ক রাখেনি ,
আমি যে হোটেল সিঙ্গার !
শ্বশুড় বাড়ির লোকেরা নিষেধ করেছে !
আমি এখন সম্পুর্ণ একা ,
সব কিছু সবাইকে দিয়ে ,
তোকে ফিরিয়ে দিয়ে আমি নিঃস্ব !!
নন্দা   2.12.16  1.10

Saturday, December 3, 2016


মনে পড়ে
                নন্দা মুখার্জী রায় চেধুরী
 মনে পড়ে তোমার কথা ,
যখন থাকি একলা ঘরে ,
স্মৃতিরা সব ভিড় করে ,
বুকে বাজে না পাওয়ার ব্যথা |
স্বপ্ন দেখা কিশোরবেলা -
আজও আছে অন্তরালে ,
নাইবা পেলাম তোমায় আমি !
নিজের করে কোনো কালে |
একলা যখন থাকি আমি ,
সেই স্বপ্ন রঙ্গিন করি -
নেই সেখানে কোনো বাঁধা ,
থাকনা  জমে বুকে ব্যথা !
শেষ বয়সে ভাবি বসে ,
সারাজীবন দিলাম পাড়ি, শুধুই হেসে ,
বুকের মাঝেই থাকলে ঘুমিয়ে ,
এই বয়সেও দেখি স্বপন, তোমায় নিয়ে |
আর হবেনা মোদের দেখা ,
তোমার ভালোবাসা থাকবে মনে ,
মন যে আমার আজও চায় ,
কিছুটা সময় কাটাতে তোমার সনে |
নন্দা  27.11.16  10.40pm.

Thursday, December 1, 2016

সময়ের সঙ্গী  
              নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী
     বেঁচে আছি-
মৃত্যু এখনো কাছে টানেনি তাই !
বাঁচার তাগিদে বেঁচে আছি |
        ভালো আছি-
কেউ জানতে চাইলে হেসে বলছি ,
সত্যিই কি ভালো আছি ?
রোগ ,যন্ত্রনা ,অভাব ,চাহিদা -
সর্বক্ষণের সঙ্গী হয়ে আছে !
সময়ের গতি যে থামে না ,
তাই সর্বসঙ্গীকে সঙ্গে নিয়েই ,
এগিয়ে চলেছি মৃত্যুর কাছাকাছি |
যে সময়টা পিছনে ফেলে চলেছি -
সেই সময়টাকেই স্বর্ণযুগ বলছি ,
তখন কি সঙ্গীরা সাথে ছিলোনা ?
আসলে হারিয়ে যাওয়া সবকিছুর,
আমরা কদর করি বেশী !
নন্দা   1.12.16    12.40AM.