Friday, December 17, 2021

মায়াপুর ভ্রমণ ১

 মায়াপুর ভ্রমণ
  দুবছর ঘর বন্দী।ইচ্ছা হলেও সাহসে কুলায় না বাইরে বেরোতে।শুধু আমিই নই গোটা বিশ্বের মানুষ আজ এই অসহায়তার সম্মুখীন।আবার শুরু হয়েছে ওমিক্রণ।সে নাকি আবার পশ্চিম বঙ্গেও ঢুকে পড়েছে!এই করোনা, ওমিক্রণ এদের এতটাই সাহস ইচ্ছা হলেই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নাকের ডগা দিয়ে ঢুকে পড়ছে তারা বুঝতেও পারছে না।একটু ভুল হল কথাটা --- এরা এতটাই উচ্চমানের যে সহজে স্থলপথে যাতায়াত করে না।সাধারণত আকাশ পথেই চুপিচুপি চলে আসছে!করোনা নিয়ে নাজেহাল সারা বিশ্ব আজ দুবছর।এখন দোসর হয়েছেন ওমিক্রণ।"একে রামের দেখা নেই,তারউপর সুগ্রীব দোসর"।অবস্থা ঠিক এরূপ।
  কাহাতক আর "নন্দলাল" হয়ে ঘরে বসে থাকা যায়।দু'মাস ধরে দু'বার ডেট ঠিক করেও যাওয়া হলনা।কিন্তু চোখের সামনে লাগেজটা রেখেই দিলাম যাতে ভাবতে পারি দুবছর পর আমরা বেরোচ্ছি বাড়ি থেকে।
 অতপর সেই সূর্য্য হইলো উদয়! ১৫-১২ তে বেরিয়ে পড়লাম ভোর সাড়ে পাঁচটায়।জামাই,মেয়ে,ছেলে সহ।সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় বেহালা থেকে রবীন্দ্রসদন পৌঁছে গেলাম মাত্র পনের মিনিটে। চার ঘণ্টায় পৌঁছে গেলাম মায়াপুর "গদা ভবন"।চলতি পথে অত ভোরে যত বাজার দেখেছি টাটকা শাকসবজি দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যায়।ভেবেছিলাম ফেরার সময় প্রচুর সবজি কিনে আনবো।কিন্তু দুপুরে বাজার শেষ।তাই গ্রামীণ টাটকা সবজি আমার আর খাওয়া ও ছেলেমেয়ে জামাইকে খাওয়ানো হলনা।
 আমরা চারজন যেখানেই যাই না কেন রুম আমরা একটাই নেবো।প্রথমবার দুটো রুম নিয়ে যেখানে গেছিলাম সেখানে একটা রুম তালা দেওয়া ছিল শুধু বালিশ আর কম্বল সেখান থেকে আনা হয়েছিল।ছিলাম সব একটা রুমেই।তারপর থেকেই রুম একটা নেওয়া হয়।
 প্রত্যেকটা রুমে এত সুন্দর ব্যবস্থা ভাবাই যায় না। চারটে সিঙ্গেল খাট। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ছিমছাম।আমরা ছিলাম তিন তলায়। সিড়ি দিয়ে উঠতে বিন্দুমাত্র কষ্ট হয়নি এতটাই ফ্লাট সিড়ি।করিডোরগুলো ভীষণ চওড়া আর তার দু'পাশে নাম না জানা নানান ফুলের গাছ।বিন্দুমাত্র কোথাও কোন ধুলো জমে নেই।
 এমনিতেই কোন ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে গেলে মন ভালো হয়ে যায় আর মায়াপুর যেন সব থেকে সতন্ত্র।

ক্রমশঃ

No comments:

Post a Comment