আমার গ্যাংটক ঘোরা (৪র্থ দিন)
ঋষিখোলা থেকে সকাল বেলা টিফিন করে দশটা নাগাদ সব রওনা দিলাম।প্রচন্ড গরম পড়েছিলো।রোদ খাঁ খাঁ করছে।গাড়ির জানালা খুলে রাখলে প্রচুর ধুলো ঢুকছে আর বন্ধ করে রাখলে গরমে হাঁসফাঁস করতে হচ্ছে।মোট আটজন আমরা । জানলার পাশে যারা বসছে তাদের কাজই হচ্ছে ধুলো উড়লে জানালা বন্ধ করা আর গরম লাগলে জানালা খুলে দেওয়া।এইভাবে আমরা প্রায় বেলা আড়াইটার সময় গ্যাংটকে এসে পৌঁছালাম।কারও কারও স্নান করা বাকি ছিলো।ঠান্ডা এখানেও নেই।তবে জল খুব ঠান্ডা।গরমজলে বাকিরা স্নান করে চারতলা থেকে নেমে ফাষ্ট ফ্লোরে খেতে নামা।দুপুরে নামলেও রাতে আমি, দিদি ও ভগ্নিপতি রুমেই খাই।খাওয়া শেষ হতেই সব তাড়া লাগালো নিউমার্কেট যাবে মার্কেটিং করতে।আমার আপত্তি সত্বেও আমাকে তাদের সাথে যেতেই হোল।গিয়ে বসে থাকলাম একজায়গায় আরও কিছু সিঁড়ি ভেঙ্গে।কেনাকাটা শেষ হলে অন্য রাস্তা ধরে তাড়াতাড়ি আসতে গিয়ে সিঁড়ির পর সিঁড়ি আনুমানিক তিনশ হবেই।তারপর চারতলা।খুব তাড়াতাড়ি খেয়েদেয়ে সব শুয়ে পড়ি কারন পরদিন আবার গাড়ি আটটার মধ্যেই আসবে।
কাল একটা কথা লিখতে ভুলে গেছিলাম;দিদি তো জুলুকে গিয়ে গাড়ির ভিতরই বসে ছিলো কিন্তু আমরা যখন গামবুট খুলতে গিফ্ট শপে ঢুকেছি হঠাৎ দেখি দিদি চেয়ারে বসে প্রচন্ডভাবে কাঁপছে।সঙ্গে সঙ্গেই জামাই তার জ্যাকেট খুলে দিদির গায়ে চাপিয়ে দিলো।পূর্ব থেকেই দিদি একটা মোটা জ্যাকেট পরেই ছিলো।আমিও আমার সোয়েটারটা খুলে দিদির গায়ে বাইরে থেকে পেঁচিয়ে দিয়ে দুইহাত দিয়ে তাকে ঝাপটে ধরে থাকি।ওখানে যত মানুষ ছিলো তারা কেউ পা কেউবা হাতের তালু ম্যাসাজ করতে লাগে।জামাই মেয়ে দৌড়ে গিয়ে গরমজল এনে একটু একটু করে খাওয়াতে শুরু করে।ওখানে সবসময়ের জন্যই হিটার একটা জ্বলে।চেয়ার সমেত দুই জামাই তাকে সেখানে নিয়ে আসে।কিছুক্ষণ পর সে ধাতস্থ হলে তাকে একটা শ্বাসকষ্টের ওষুধ দিয়ে গাড়ি ছাড়া হয়।তাড়াহুড়োর চোটে পুরো ওষুধের পাত্রটাই সেখানে ফেলে চলে আসা হয়।
জীবনের এই ছোটখাটো সমস্যাগুলিকে মোকাবেলা করেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজেদের আনন্দটুকু খুঁজে নিতে হয়।আমরাও তার ব্যতিক্রম নই।সুন্দর খাওয়াদাওয়া (টাকাটা একটু বেশি লাগে যদিও) আর অপরূপ দৃশ্য দর্শনে সত্যিই খুব খুব আনন্দে আছি।
26-4-19
ক্রমশঃ
ঋষিখোলা থেকে সকাল বেলা টিফিন করে দশটা নাগাদ সব রওনা দিলাম।প্রচন্ড গরম পড়েছিলো।রোদ খাঁ খাঁ করছে।গাড়ির জানালা খুলে রাখলে প্রচুর ধুলো ঢুকছে আর বন্ধ করে রাখলে গরমে হাঁসফাঁস করতে হচ্ছে।মোট আটজন আমরা । জানলার পাশে যারা বসছে তাদের কাজই হচ্ছে ধুলো উড়লে জানালা বন্ধ করা আর গরম লাগলে জানালা খুলে দেওয়া।এইভাবে আমরা প্রায় বেলা আড়াইটার সময় গ্যাংটকে এসে পৌঁছালাম।কারও কারও স্নান করা বাকি ছিলো।ঠান্ডা এখানেও নেই।তবে জল খুব ঠান্ডা।গরমজলে বাকিরা স্নান করে চারতলা থেকে নেমে ফাষ্ট ফ্লোরে খেতে নামা।দুপুরে নামলেও রাতে আমি, দিদি ও ভগ্নিপতি রুমেই খাই।খাওয়া শেষ হতেই সব তাড়া লাগালো নিউমার্কেট যাবে মার্কেটিং করতে।আমার আপত্তি সত্বেও আমাকে তাদের সাথে যেতেই হোল।গিয়ে বসে থাকলাম একজায়গায় আরও কিছু সিঁড়ি ভেঙ্গে।কেনাকাটা শেষ হলে অন্য রাস্তা ধরে তাড়াতাড়ি আসতে গিয়ে সিঁড়ির পর সিঁড়ি আনুমানিক তিনশ হবেই।তারপর চারতলা।খুব তাড়াতাড়ি খেয়েদেয়ে সব শুয়ে পড়ি কারন পরদিন আবার গাড়ি আটটার মধ্যেই আসবে।
কাল একটা কথা লিখতে ভুলে গেছিলাম;দিদি তো জুলুকে গিয়ে গাড়ির ভিতরই বসে ছিলো কিন্তু আমরা যখন গামবুট খুলতে গিফ্ট শপে ঢুকেছি হঠাৎ দেখি দিদি চেয়ারে বসে প্রচন্ডভাবে কাঁপছে।সঙ্গে সঙ্গেই জামাই তার জ্যাকেট খুলে দিদির গায়ে চাপিয়ে দিলো।পূর্ব থেকেই দিদি একটা মোটা জ্যাকেট পরেই ছিলো।আমিও আমার সোয়েটারটা খুলে দিদির গায়ে বাইরে থেকে পেঁচিয়ে দিয়ে দুইহাত দিয়ে তাকে ঝাপটে ধরে থাকি।ওখানে যত মানুষ ছিলো তারা কেউ পা কেউবা হাতের তালু ম্যাসাজ করতে লাগে।জামাই মেয়ে দৌড়ে গিয়ে গরমজল এনে একটু একটু করে খাওয়াতে শুরু করে।ওখানে সবসময়ের জন্যই হিটার একটা জ্বলে।চেয়ার সমেত দুই জামাই তাকে সেখানে নিয়ে আসে।কিছুক্ষণ পর সে ধাতস্থ হলে তাকে একটা শ্বাসকষ্টের ওষুধ দিয়ে গাড়ি ছাড়া হয়।তাড়াহুড়োর চোটে পুরো ওষুধের পাত্রটাই সেখানে ফেলে চলে আসা হয়।
জীবনের এই ছোটখাটো সমস্যাগুলিকে মোকাবেলা করেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজেদের আনন্দটুকু খুঁজে নিতে হয়।আমরাও তার ব্যতিক্রম নই।সুন্দর খাওয়াদাওয়া (টাকাটা একটু বেশি লাগে যদিও) আর অপরূপ দৃশ্য দর্শনে সত্যিই খুব খুব আনন্দে আছি।
26-4-19
ক্রমশঃ
No comments:
Post a Comment