গ্যাংটক ঘোরার টুকরো কিছু স্মৃতি
ভ্রমণ মানুষের শিক্ষা লাভের একটি প্রকৃষ্ট পন্থা।ভ্রমণের কৌতুহল মানুষের স্বভাবসিদ্ধ।সৃষ্টির অপরূপ বৈচিত্র্য আমাদের কল্পনাকে আকৃষ্ট করে।হয়তো সেই কারনেই আমরা শারীরিক সমস্যা ও আর্থিক অসুবিধাকে পাত্তা না দিয়েই ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ি।একটা সময় আমি মোটেই ঘুরতে ভালবাসতাম না।কেন যেন মনের ভিতর একটা আতঙ্ক কাজ করতো।2010 সালে দার্জিলিং যাওয়ার জন্য একবার সেবক কালীমন্দির পর্যন্ত গিয়েও ফিরে এসেছি।ছেলে,মেয়ে তখন খুবই ছোট।ওদের বাবার সাথে প্রচন্ড ঝামেলা।আমার কেন যেন মনে হচ্ছিলো গাড়িটা খাদে পড়ে যাবে।আর এই ভয় ও আতঙ্ক থেকে প্রচন্ড ঝামেলা করে চারজনে ওখান থেকেই ফিরে আসি।ওই বছর আমরা এক আত্মীয়ের বাড়িতে গেছিলাম শিলিগুড়ি।এবার আবার যখন সেবক কালীমন্দির যাই পুরনো অনেক স্মৃতি মনের মাঝে ভিড় করে এলো। মানুষটাই শুধু চলে গেছে রেখে গেছে তার সব স্মৃতি।যে স্মৃতি সারাজীবন একান্তে বহন করে চলবো।হাজার মানুষের ভিড়েও তার স্মৃতি সবসময়ের জন্য নিজেকে করে দেয় সম্পূর্ণ একাকী।
namchi ropeway- ছেলে,মেয়ে,জামাইরা,ভগ্নিপতি,বোনঝি সব্বাই ropeway চড়বে।আমি ও দিদি কিছুতেই উঠবো না।আমার তুতুন তার দিদিকে বললো,"দাঁড়া মাকে আমি নিয়ে আসছি।" ছেলে এগিয়ে এলো আমার কাছে।হাত ধরে বললো,"চলো।"আমি বললাম না, আমি কিছুতেই যাবোনা।কোথার থেকে কি হয়ে যাবে।ছেলের সঙ্গে সঙ্গে উত্তর,"আচ্ছা মা,আমি দিদি,রানাদা(ওর ভগ্নিপতি) তিনজনেই যাচ্ছি।সত্যিই যদি কিছু হয়ে যায় তুমি তো এমনিতেই বাঁচবে না।তার চাইতে চলো চারজনে একসাথে যাই।"যুক্তিপূর্ণ কথা।কোন কথা আর না বাড়িয়ে তার সাথে পা মেলালাম।দম বন্ধ করে যেন বসে ছিলাম।সবাই vdo করতে ব্যস্ত।আস্তে আস্তে খাদের ভিতর নামছি তো নামছি।আগে কোনদিন আমি ropeway চড়িনি।ওদের অবশ্য পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে।ওরা সবাই আমাকে হাসানোর চেষ্টা করেই চলেছে।আর আমি মনেমনে বাবা লোকনাথকে স্মরণ করে চলেছি।যেখানে নামলাম সেটা হচ্ছে রকগার্ডেন।পাহাড়ি নানান ফুল ফুটে রয়েছে।অপূর্ব জায়গা।অনেক ছবিও তোলা হোল।ফেরার সময় অবশ্য ভয় লাগেনি।তবে একটা কথা বলতে ভুলে যাচ্ছিলাম।আমরা যখন ropeway থেকে নেমে উপরে উঠবো হঠাৎ একজন সিকিউরিটি আমার ছেলে ও জামাইকে ডেকে ওদের সাথে গল্প জুড়ে দিলেন।কথোপোথনটা ঠিক এইরূপ ছিলো।
---আপনারা কলকাতা থেকে এসছেন?
---হ্যাঁ । আপনি বাঙ্গালী?
---আমার কলকাতাতেই বাড়ি।
---আপনাদের কলকাতা কোথায় বাড়ি?
---বেহালা।
---আমারও বেহালা বাড়ি।আপনারা বেহালা কোথায় থাকেন?আমার বাড়ি বিজি প্রেসে।
বোঝো কান্ড!আমার বাড়িও তো বিজি প্রেস।সঙ্গে সঙ্গে জামাই আমায় ডেকে নিয়ে আসলো।ভদ্রলোক হয়ে গেলেন আমার ছেলের মামা।অনেকক্ষণ তার সাথে গল্প চললো।অনেকদিন পর এতো দূরে থেকে বাড়ির কাছের মানুষ দেখে তিনিও আবেগে বিহ্বল হয়ে পড়লেন।আমাদেরও এতো দূরে বাড়ির কাছে পূর্বে বসবাসরত একজন অপরিচিত মানুষ হলেও মুহূর্তেই তাকে খুব আপন মনে হতে লাগলো।কেটে গেলো ভদ্রলোকের সাথে বেশ কিছুটা সময়।তার সাথে কথা বলে খুশি মনে তাকে বিদায় জানিয়ে গাড়িতে উঠলাম।
আমার গ্যাংটক ঘোরা শেষ হোল। পরদিন রওনা দিলাম বাড়ির পথে।অনেক খুশি,অনেক আনন্দ আর কিছুটা অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে এলাম আমার ' মানবী'তে।
ভ্রমণ মানুষের শিক্ষা লাভের একটি প্রকৃষ্ট পন্থা।ভ্রমণের কৌতুহল মানুষের স্বভাবসিদ্ধ।সৃষ্টির অপরূপ বৈচিত্র্য আমাদের কল্পনাকে আকৃষ্ট করে।হয়তো সেই কারনেই আমরা শারীরিক সমস্যা ও আর্থিক অসুবিধাকে পাত্তা না দিয়েই ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ি।একটা সময় আমি মোটেই ঘুরতে ভালবাসতাম না।কেন যেন মনের ভিতর একটা আতঙ্ক কাজ করতো।2010 সালে দার্জিলিং যাওয়ার জন্য একবার সেবক কালীমন্দির পর্যন্ত গিয়েও ফিরে এসেছি।ছেলে,মেয়ে তখন খুবই ছোট।ওদের বাবার সাথে প্রচন্ড ঝামেলা।আমার কেন যেন মনে হচ্ছিলো গাড়িটা খাদে পড়ে যাবে।আর এই ভয় ও আতঙ্ক থেকে প্রচন্ড ঝামেলা করে চারজনে ওখান থেকেই ফিরে আসি।ওই বছর আমরা এক আত্মীয়ের বাড়িতে গেছিলাম শিলিগুড়ি।এবার আবার যখন সেবক কালীমন্দির যাই পুরনো অনেক স্মৃতি মনের মাঝে ভিড় করে এলো। মানুষটাই শুধু চলে গেছে রেখে গেছে তার সব স্মৃতি।যে স্মৃতি সারাজীবন একান্তে বহন করে চলবো।হাজার মানুষের ভিড়েও তার স্মৃতি সবসময়ের জন্য নিজেকে করে দেয় সম্পূর্ণ একাকী।
namchi ropeway- ছেলে,মেয়ে,জামাইরা,ভগ্নিপতি,বোনঝি সব্বাই ropeway চড়বে।আমি ও দিদি কিছুতেই উঠবো না।আমার তুতুন তার দিদিকে বললো,"দাঁড়া মাকে আমি নিয়ে আসছি।" ছেলে এগিয়ে এলো আমার কাছে।হাত ধরে বললো,"চলো।"আমি বললাম না, আমি কিছুতেই যাবোনা।কোথার থেকে কি হয়ে যাবে।ছেলের সঙ্গে সঙ্গে উত্তর,"আচ্ছা মা,আমি দিদি,রানাদা(ওর ভগ্নিপতি) তিনজনেই যাচ্ছি।সত্যিই যদি কিছু হয়ে যায় তুমি তো এমনিতেই বাঁচবে না।তার চাইতে চলো চারজনে একসাথে যাই।"যুক্তিপূর্ণ কথা।কোন কথা আর না বাড়িয়ে তার সাথে পা মেলালাম।দম বন্ধ করে যেন বসে ছিলাম।সবাই vdo করতে ব্যস্ত।আস্তে আস্তে খাদের ভিতর নামছি তো নামছি।আগে কোনদিন আমি ropeway চড়িনি।ওদের অবশ্য পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে।ওরা সবাই আমাকে হাসানোর চেষ্টা করেই চলেছে।আর আমি মনেমনে বাবা লোকনাথকে স্মরণ করে চলেছি।যেখানে নামলাম সেটা হচ্ছে রকগার্ডেন।পাহাড়ি নানান ফুল ফুটে রয়েছে।অপূর্ব জায়গা।অনেক ছবিও তোলা হোল।ফেরার সময় অবশ্য ভয় লাগেনি।তবে একটা কথা বলতে ভুলে যাচ্ছিলাম।আমরা যখন ropeway থেকে নেমে উপরে উঠবো হঠাৎ একজন সিকিউরিটি আমার ছেলে ও জামাইকে ডেকে ওদের সাথে গল্প জুড়ে দিলেন।কথোপোথনটা ঠিক এইরূপ ছিলো।
---আপনারা কলকাতা থেকে এসছেন?
---হ্যাঁ । আপনি বাঙ্গালী?
---আমার কলকাতাতেই বাড়ি।
---আপনাদের কলকাতা কোথায় বাড়ি?
---বেহালা।
---আমারও বেহালা বাড়ি।আপনারা বেহালা কোথায় থাকেন?আমার বাড়ি বিজি প্রেসে।
বোঝো কান্ড!আমার বাড়িও তো বিজি প্রেস।সঙ্গে সঙ্গে জামাই আমায় ডেকে নিয়ে আসলো।ভদ্রলোক হয়ে গেলেন আমার ছেলের মামা।অনেকক্ষণ তার সাথে গল্প চললো।অনেকদিন পর এতো দূরে থেকে বাড়ির কাছের মানুষ দেখে তিনিও আবেগে বিহ্বল হয়ে পড়লেন।আমাদেরও এতো দূরে বাড়ির কাছে পূর্বে বসবাসরত একজন অপরিচিত মানুষ হলেও মুহূর্তেই তাকে খুব আপন মনে হতে লাগলো।কেটে গেলো ভদ্রলোকের সাথে বেশ কিছুটা সময়।তার সাথে কথা বলে খুশি মনে তাকে বিদায় জানিয়ে গাড়িতে উঠলাম।
আমার গ্যাংটক ঘোরা শেষ হোল। পরদিন রওনা দিলাম বাড়ির পথে।অনেক খুশি,অনেক আনন্দ আর কিছুটা অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে এলাম আমার ' মানবী'তে।
No comments:
Post a Comment