আমার গ্যাংটক ঘোরা ২য় দিন
যে ট্রেন সকাল 7-30 এ নিউজলপাইগুড়ি পৌঁছনোর কথা ভাগ্যের ফেরে তিনি সকাল 9-30 এ এসে শিলিগুড়ি পৌঁছলেন।দু'ঘন্টা জামাই এর জন্য অপেক্ষার শেষে তিনিও এসে শিলিগুড়ি দেখা দিলেন।তিনজন মিলে গেলেন গাড়ি ভাড়া করতে।পাক্কা এক ঘন্টা ধরে দরাদরি,কষাকষি করে গাড়ি নিয়ে হাজির হলেন।তবে এই তিনজন একসাথে যাননি।প্রথমে আমার জামাই।সে ফিরে আসছেনা ফোনের পর ফোন, পরে মেয়ে ছুটলো।মেয়ে গিয়ে আরও কুড়ি মিনিট।জামাই নিয়েছে পূর্বেই কুড়ি থেকে পঁচিশ মিনিট। এবার শুরু হোল বোনঝি জামাই এর ফোন।দিদি ও রানাদা কেন এতো দেরি করছে তা দেখতে ছুটলো এবার ছোট জামাই।(বোনঝি জামাই)। আমাদের অপেক্ষা মোট একঘণ্টা থেকে সওয়া ঘন্টা।রওনা দিলাম এগারটা নাগাদ সিকিমের ঋষিখোলার হোটেল বনলতার উদ্দেশ্যে।দুটো নাগাদ কোন এক চেকপোষ্ট মারফৎ জানা গেলো আমরা প্রায় কুড়ি কিলোমিটার ভুল রাস্তায় চলে এসেছি।গাড়ি ব্যাক করতে আরও হাফ কিলোমিটার।আমাদের ড্রাইভার খুব ভালো লোক ছিলেন।মাঝে একজায়গায় আমাদের কিছুটা বিশ্রাম ও ছবি তোলার সুযোগও দিলেন।নিজেও কিছু ছবির পোজ দিলেন । এতক্ষণ একনাগাড়ে গাড়িতে বসে থেকে আমাদেরও প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছিলো।জলপানের (সাথে পান,সুপুরি ও জর্দা)হোটেল মালিকের সাথে ফোনে রাস্তার বিবরণ শুনে সে যে রাস্তা ধরলো তাতে গাড়ির ভিতর প্রতিটা মানুষ ভয়ে,আতংকে এ ওর মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু বোঝার চেষ্টা করতে লাগলাম।দুই পাশে ঘন জঙ্গল মাটির এবরো-খেবড়ো সরু রাস্তা শেষই আর হয়না । তখন অবস্থা 'ছেড়ে দেমা কেঁদে বাঁচি'!ভাবতেই পারিনি এতো নিচুতে এই ঘন জঙ্গল পার হয়ে এতো সুন্দর একটা জায়গা আছে।'হোটেল বনলতা' ঠিক তার সামনের থেকে 'ঋষি খোলার' খরস্রোতা নদী 'ঋষি' আপন গর্জনে বয়ে চলেছে।নদীর নামে জায়গার নাম নাকি জায়গার নামে নদীর নাম এটা অজ্ঞাতই থেকে গেলো। হোটেলে পৌঁছে সেই ভয়,আতঙ্ক প্রকৃতিক শোভা দর্শনে এক নিমেষে কোথায় যেন কর্পূরের মত উদাও হয়ে গেলো।বেলা তখন সাড়ে তিনটে।24ঘন্টা জার্নির পরেও কারও বিন্দুমাত্র ক্লান্তি নেই।সকলেই ছুটলাম খরস্রোতা ঋষিতে স্নান করতে।আমার ভগ্নিপতির বয়স প্রায় 67 বৎসর।আনন্দে আটখানা হয়ে নেমে পড়লেন ঋষির জলে।যে যার মত এনজয় করছে।হঠাৎ আমার ছেলে আবিষ্কার করে তার বাবু (মেশো)সকলকে ছাড়িয়ে অনেকটাই দূরে এগিয়ে গেছে।দৌড়ে কাছে গিয়ে মৃদু বকা দেয়,"তুমি এতো দূরে কেন এসেছো?"তিনি কাতর স্বরে আমার তুতুনকে জানান,"বাবা আমি আসিনি, ঋষি আমাকে টেনে নিয়ে এসেছে।"অতি কষ্টের মাঝেও তুতুন হেসে দিয়ে তার বাবুকে কোনপ্রকারে টেনেটুনে উপরে তোলে।বলা বাহুল্য বাকি স্নান ভগ্নিপতি এসে হোটেলের বাথরুমে করে এবং খাওয়ার সময়টুকু ছাড়া তিনি আর সেদিন আশেপাশের প্রকৃতিক নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দেখতে হোটেলের ঘর ছেড়ে আর বের হননা।হোটেলের খাওয়া-দাওয়া ভীষন ভালো,মনেহচ্ছে বাড়ির খাবার খাচ্ছি।আগমীকাল সকালের প্লান জুলুক।
ক্রমশ :-
যে ট্রেন সকাল 7-30 এ নিউজলপাইগুড়ি পৌঁছনোর কথা ভাগ্যের ফেরে তিনি সকাল 9-30 এ এসে শিলিগুড়ি পৌঁছলেন।দু'ঘন্টা জামাই এর জন্য অপেক্ষার শেষে তিনিও এসে শিলিগুড়ি দেখা দিলেন।তিনজন মিলে গেলেন গাড়ি ভাড়া করতে।পাক্কা এক ঘন্টা ধরে দরাদরি,কষাকষি করে গাড়ি নিয়ে হাজির হলেন।তবে এই তিনজন একসাথে যাননি।প্রথমে আমার জামাই।সে ফিরে আসছেনা ফোনের পর ফোন, পরে মেয়ে ছুটলো।মেয়ে গিয়ে আরও কুড়ি মিনিট।জামাই নিয়েছে পূর্বেই কুড়ি থেকে পঁচিশ মিনিট। এবার শুরু হোল বোনঝি জামাই এর ফোন।দিদি ও রানাদা কেন এতো দেরি করছে তা দেখতে ছুটলো এবার ছোট জামাই।(বোনঝি জামাই)। আমাদের অপেক্ষা মোট একঘণ্টা থেকে সওয়া ঘন্টা।রওনা দিলাম এগারটা নাগাদ সিকিমের ঋষিখোলার হোটেল বনলতার উদ্দেশ্যে।দুটো নাগাদ কোন এক চেকপোষ্ট মারফৎ জানা গেলো আমরা প্রায় কুড়ি কিলোমিটার ভুল রাস্তায় চলে এসেছি।গাড়ি ব্যাক করতে আরও হাফ কিলোমিটার।আমাদের ড্রাইভার খুব ভালো লোক ছিলেন।মাঝে একজায়গায় আমাদের কিছুটা বিশ্রাম ও ছবি তোলার সুযোগও দিলেন।নিজেও কিছু ছবির পোজ দিলেন । এতক্ষণ একনাগাড়ে গাড়িতে বসে থেকে আমাদেরও প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছিলো।জলপানের (সাথে পান,সুপুরি ও জর্দা)হোটেল মালিকের সাথে ফোনে রাস্তার বিবরণ শুনে সে যে রাস্তা ধরলো তাতে গাড়ির ভিতর প্রতিটা মানুষ ভয়ে,আতংকে এ ওর মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু বোঝার চেষ্টা করতে লাগলাম।দুই পাশে ঘন জঙ্গল মাটির এবরো-খেবড়ো সরু রাস্তা শেষই আর হয়না । তখন অবস্থা 'ছেড়ে দেমা কেঁদে বাঁচি'!ভাবতেই পারিনি এতো নিচুতে এই ঘন জঙ্গল পার হয়ে এতো সুন্দর একটা জায়গা আছে।'হোটেল বনলতা' ঠিক তার সামনের থেকে 'ঋষি খোলার' খরস্রোতা নদী 'ঋষি' আপন গর্জনে বয়ে চলেছে।নদীর নামে জায়গার নাম নাকি জায়গার নামে নদীর নাম এটা অজ্ঞাতই থেকে গেলো। হোটেলে পৌঁছে সেই ভয়,আতঙ্ক প্রকৃতিক শোভা দর্শনে এক নিমেষে কোথায় যেন কর্পূরের মত উদাও হয়ে গেলো।বেলা তখন সাড়ে তিনটে।24ঘন্টা জার্নির পরেও কারও বিন্দুমাত্র ক্লান্তি নেই।সকলেই ছুটলাম খরস্রোতা ঋষিতে স্নান করতে।আমার ভগ্নিপতির বয়স প্রায় 67 বৎসর।আনন্দে আটখানা হয়ে নেমে পড়লেন ঋষির জলে।যে যার মত এনজয় করছে।হঠাৎ আমার ছেলে আবিষ্কার করে তার বাবু (মেশো)সকলকে ছাড়িয়ে অনেকটাই দূরে এগিয়ে গেছে।দৌড়ে কাছে গিয়ে মৃদু বকা দেয়,"তুমি এতো দূরে কেন এসেছো?"তিনি কাতর স্বরে আমার তুতুনকে জানান,"বাবা আমি আসিনি, ঋষি আমাকে টেনে নিয়ে এসেছে।"অতি কষ্টের মাঝেও তুতুন হেসে দিয়ে তার বাবুকে কোনপ্রকারে টেনেটুনে উপরে তোলে।বলা বাহুল্য বাকি স্নান ভগ্নিপতি এসে হোটেলের বাথরুমে করে এবং খাওয়ার সময়টুকু ছাড়া তিনি আর সেদিন আশেপাশের প্রকৃতিক নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দেখতে হোটেলের ঘর ছেড়ে আর বের হননা।হোটেলের খাওয়া-দাওয়া ভীষন ভালো,মনেহচ্ছে বাড়ির খাবার খাচ্ছি।আগমীকাল সকালের প্লান জুলুক।
ক্রমশ :-
No comments:
Post a Comment