সুখের ঘরে আগুন (২৪)
ভাগ্য অচলার জীবনে কোনদিনও সাথ দেয়নি। জন্মের সাথে সাথেই সে তার মাকে হারিয়েছে।আর বাবা পুনরায় বিয়ে করে সংসার পেতেছেন। সেই শিশুকাল থেকে মামা বাড়িতেই মানুষ।মামা ভালবাসলেও মামি কোনদিনও ভালবাসেনি।যতদিন দিদিমা বেঁচে ছিলেন ততদিন তাও একটু দুবেলা পেট ভরে খেতে পেরেছে স্কুলেও যেত। মামা এবং দিদিমার চোখের আড়াল হলেই সহ্য করতে হতো মামির অত্যাচার আর গঞ্জনা।যখন অচলা নবম শ্রেণীর ছাত্রী তখন মারা যান তার দিদিমা।মামির অত্যাচারে পরিমাণটা তখন আরো বেড়ে যায়।কারণ মামা নানান কাজকর্মে অধিকাংশ সময় বাড়ির বাইরেই থাকতেন। ছাড়িয়ে দেওয়া হয় তাকে স্কুল।পুরো সংসার তার কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হয়।রাতে ছয়-সাত ঘণ্টা ঘুমানোর সময় টুকু ছাড়া বাকি সময়টুকু সে চরকাকারে সংসারের কাজকর্ম করে যেত।মামা অনেক চেষ্টা করেছেন অচলাকে স্কুলে পাঠিয়ে অন্তত মাধ্যমিক পাসটা করাতে।কিন্তু স্ত্রীর মুখের কাছে তিনি সবসময় হেরে যেতেন।আগে যখন অচলার দিদিমা বেঁচে ছিলেন তখন অবশ্য শ্বাশুড়ির মুখের সাথে তার মামি অর্থাৎ হেমাঙ্গিনীদেবী পেরে উঠতেন না।কিন্তু এখন তিনি সংসারের সর্বময় কর্ত্রী। তার কথায় এই সংসারে সকলে উঠে আর বসে। হেমাঙ্গিনীদেবীর রয়েছে দুটি কন্যা সন্তান। তার বক্তব্য অচলার পেছনে টাকা খরচ করে তার কন্যাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ফেলতে পারবেন না।সুতরাং অচলার স্কুলে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
সারাটা দিন সে মুখ বন্ধ করে সংসারের যাবতীয় কাজ করে যায়।মামি এবং তার দুই বোনের ফাইফরমাশ খাটতে খাটতে হয়তো কোন দিন দুপুরের খাওয়াটাও তার হতনা।একবারে রাতের খাবার খেয়ে এসে সে শুয়ে পড়তো। এগুলো যে তার মামি ইচ্ছাকৃত করতেন অচলা সেটা বুঝতে পেরেও চুপ করেই থাকতো কারণ মাথার উপরের ছাদটা সে হারাতে চাইতো না। মামি যদি তাকে তাড়িয়ে দেয় তাহলে সে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? একমাত্র মামা তার সাথে একটু ভালভাবে কথা বলতেন।গায়ে,মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেন,সে খেয়েছে কিনা জিজ্ঞাসা করতেন।কিন্তু হেমাঙ্গিনীদেবীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে গিয়েও কোন সুরাহা কোনদিনও করতে পারেননি। অচলার দিনগুলি এভাবেই কেটে যাচ্ছিল।মেনে নিয়েছিল সে তার জীবনের এই পরিণতিটাকে! কিন্তু হঠাৎই অচলা লক্ষ্য করে মামী তার সাথে যেন একটু ভালো ব্যবহার করছেন।আর মামার কাছে সুযোগ পেলেই তার বিয়ের জন্য ঘ্যানঘ্যান করতে শুরু করেছেন। ছোট থেকেই অভাব দারিদ্র্যর মধ্য থেকে মানুষ হলেও বুদ্ধিটা তার ছোট থেকেই একটু বেশি। মামীর এই হঠাৎ পরিবর্তনে তার বুঝতে একটুও অসুবিধা হয় না যে মামির অন্য কোন মতলব মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।তাই সে চোখ কান খোলা রেখে থাকতে শুরু করে।
একদিন রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে, রান্নাঘরের যাবতীয় কাজকর্ম সেরে যখন সে তার ঘরে ঘুমাতে যাবে ঠিক তখনই মামা-মামীর ঘরে তর্কাতর্কি শুনে সেখানে দাঁড়িয়ে পড়ে।সে জানতে পারে পরের দিন তাকে ছেলের বাড়ি থেকে দেখতে আসবে।তাদের কোনো দাবিদাওয়া নেই।এক কাপড়েই তারা মেয়েকে নিয়ে যাব। কিন্তু মামা কিছুতেই রাজি হতে চাইছেন না।তার একটাই কথা আগে তিনি খবর নেবেন ছেলের বাড়ির তারপর ছেলের বাড়ি থেকে অচলাকে দেখতে আসবে এই নিয়েই দুজনের মধ্যে বচসা। অচলা সেখানে আর দাঁড়ায় না। সে বুঝতে পারে তার জীবনে আবার কোন অঘটন ঘটতে চলেছে।কিন্তু বুঝতে পেরেও সেই মুহূর্তে তার কিছু করারও নেই।পরদিন মামা অফিসে যান না।একটা পাইকারি মুদিখানার দোকানে তিনি কাজ করেন।সামান্য কিছু মাইনে পান।নুন আনতে পান্তা ফুরায় সংসারে কোনো রকমে নিজের হাতে সংসারটাকে ধরে রেখে চালিয়ে যাচ্ছেন আজও। মায়ের কিছু জমানো অর্থ ছিল।সেই টাকাটা তিনি ফিক্সট করে রেখে তার সুদটাও প্রতিমাসে তুলে সংসারের পিছনে খরচ করেন।কিন্তু হেমাঙ্গিনীদেবী এই টাকাটা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। মামা অফিস না যাওয়াতে অচলার মনে হয় মামার মনেও কিছু একটা দ্বন্দ্ব কাজ করছে।
পরদিন দুপুর নাগাদ ছেলের বাড়ি থেকে অচলাকে দেখতে আসলো তিনজন পুরুষ আর একজন মহিলা।তারা পরিচয় দিল সবথেকে সুন্দর দেখতে যে ছেলেটি সে হচ্ছে পাত্র বাকি দুজন বন্ধু আর ছেলের মা। অচলাকে দেখে তাদের পছন্দ হলো। তারা পাকা কথা দিতে গেলে অচলার মামা তাদের জানালেন আগে তিনি ছেলের বাড়ি দেখবেন, ছেলের চাকরির স্থান দেখবেন তারপর তিনি তার ভাগ্নির বিয়ে দেবেন। পাত্রপক্ষ একথা শুনে সম্মতি জানিয়ে ফিরে গেল। কিন্তু সমস্যা দেখা দিল হেমাঙ্গিনীদেবীকে নিয়ে।তিনি সংসারের তুমুল অশান্তি শুরু করলেন তার স্বামীর সাথে।অচলার সাথে তার মামীর ব্যবহার সেই পূর্ব স্থানেই ফিরে এলো।পরিস্থিতি এমন দাঁড়ালো সারাদিন কাজকর্ম করার পরও অচলা পেট ভরে দুবেলা খেতে পারে না।তখন অচলার মামা বুঝতে পারেন কিছু টাকার বিনিময়ে হেমাঙ্গিনীদেবী তার ভাগ্নিকে বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলেন।দিনরাত এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকে।এইভাবে কয়েকটা দিন চলার পর একদিন অচলার মামি অচলাকে রেশন আনতে দোকানে পাঠাযন। কিন্তু অচলা রেশন নিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসে না সেরাতে।অচলার মামা অচলাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সে রাতে তাকে আর খুঁজে পাননা। শেষমেশ তিনি পুলিশের একটা নিখোঁজ ডায়েরি করেন। দুদিন পরে একদিন রাতে অচলা বাড়িতে ফিরে আসলে তাকে কুলোটা বলে মামি আশ্রয় দিতে রাজি হননা। তার মামা তার কাছে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন সে যখন রেশন নিয়ে বাড়ি ফিরছিল তখন রাস্তার উপরেই তাকে অজ্ঞান করে একটি গাড়িতে করে কোনো একটি অন্ধকার ঘরের ভেতর নিয়ে গিয়ে রেখেছিল। তার যখন জ্ঞান ফেরে তখন ঘরটি ছিল ঘুটঘুটে অন্ধকারাচ্ছন্ন।ওই অন্ধকার ঘরের ভিতরে বসে চিন্তা করতে থাকে কিভাবে এখান থেকে সে পালিয়ে যাবে।কিছুক্ষণ পরে দুটো লোক ওই ঘরের ভেতর ঢোকে হাতে একটা মোমবাতি নিয়ে।লোক দুটিকে ঢুকতে দেখে অচলা অজ্ঞান হয়ে থাকার ভান করে মাটিতে পড়ে থাকে।লোক দুটি অচলার জ্ঞান আসেনি এটা ভেবে দরজা খুলে রেখেই অন্য কাউকে হয়তো ডাকতে যায়।অচলা এই সুযোগে সেখান থেকে উঠে উদভ্রান্তের মত ছুটতে ছুটতে বেরিয়ে আসে।সে যে রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে আসে সেই রাস্তার সম্পূর্ণ জায়গাটায় কোন আলো ছিল না। আর এই আলো না থাকার কারণে অচলা বেরিয়ে আসার সময় তারা তাকে দেখতেও পায় না।কিন্তু তারা এ ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল যে ওখান থেকে বেরিয়ে অচলা তার বাড়ীর দিকেই যাবে।
অচলা বাড়িতে আসার পর যখন তার মামী তাকে আশ্রয় দিতে অস্বীকার করলেন তখন তার মামা তার স্ত্রীর সাথে প্রচন্ড ঝামেলা করে তাকে সাথে নিয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন কোন আত্মীয়ের বাড়িতে সেই রাতটা আশ্রয়ের জন্য। কিন্তু ভাগ্নিকে সাথে নিয়ে বেশি দূর তিনি এগোতে পারেন না।তারা অন্ধকারের ভিতর অচলার মামাকে একটা লাঠির আঘাতে অজ্ঞান করে পুনরায় অচলাকে তুলে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এই দলটির যিনি হেড ছিলেন তার অবশ্য একটা নীতি ছিল।তার আন্ডারে যারা কাজ করতো তাদের উপর একটা নির্দেশ জারি ছিল কোন মহিলার সাথে অশালীন আচরণ করা যাবে না। যুবতী মেয়েদের তুলে নিয়ে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকায় অন্যের কাছে বিক্রি করে দেওয়াটাই তাদের ছিল ব্যবসা।তারা কিন্তু কোন নারীকে কখনোই কোন অসম্মান করত না। যেহেতু অচলা একবার পালিয়ে গেছিল তাই এবার তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে কড়া পাহারায় বেশ কিছুদিন ঘরে বন্দী করে রাখা হল।দিন কয়েক সেখানে থাকার পর একজন বয়স্ক মানুষের সাথে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হল ট্রেনে করে অন্যত্র।বয়স্ক মানুষটি তার সাথে থাকলেও আশেপাশের ট্রেনের বগিতে আরো অনেকেই এই দলের মানুষজন ছিল।তাকে স্টেশনে নিয়ে আসার সময় বলা হয়েছিল যদি সে কোন চালাকি করে তাহলে সাথে থাকা মানুষগুলি সঙ্গে সঙ্গে তাকে গুলি করে মেরে ফেলবে।তাই প্রথম অবস্থায় সে চিৎকার করা বা কাউকে জানাতে কোন সাহস পায়নি।কিন্তু পরবর্তীতে সে ভেবে দেখে আজ যদি সে সুযোগ না পায় পালানোর জন্য তাহলে সারা জীবনই সে আর কোনো সুযোগ পাবে না।তাই শেষ পর্যন্ত মরিয়া হয়ে প্লাটফর্মে ট্রেন ঢুকলে চলন্ত ট্রেনের কামরা দিয়ে সে লাফিয়ে পড়েছিল।
সোফার উপরে শুয়ে এপাশ-ওপাশ করেও ভয়ে আতঙ্কে সারারাত অচলা দুচোখের পাতা এক করতে পারেনি।সকাল হলে সে কোথায় যাবে?এখান থেকে আদতেও বেরোতে পারবে কিনা?যদি এখানে থাকার একটু সুযোগ পায় তাহলে কি পরিচয়েই বা এখানে থাকবে?এইসব নানান চিন্তা তার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। নিলয় ঘুম থেকে উঠে দেখে সেই একইভাবে অচলা সোফার উপর বসে আছে। তাকে দেখে নিলয়ের খুব মায়া হতে থাকে।কিন্তু তারও তো এই মুহূর্তে কিছু করার নেই।সে ব্যাগ থেকে টুথ ব্রাশ,পেস্ট বের করে নিজের ব্রাশে পেস্টটা লাগিয়ে বাথরুমে ঢোকার আগে পেস্টটা অচলার সামনে রেখে দিয়ে তারপর সে বাথরুমে ঢুকে যায়।বাথরুম থেকে বেরিয়ে সে বাইরে যাওয়ার সময় অচলাকে বলে যায় বাইরে যাচ্ছে সে যেন উঠে ফ্রেশ হয়ে নেয়।দোকানে গিয়ে নিজে একটু চা বিস্কুট খায় তারপর আসে পাশের দোকান থেকে টুকটাক কিছু জিনিসপত্র কিনে একটা গ্লাসে করে চা নিয়ে যখন আসতে যাবে তখনই ওই দোকানে বসে থাকা একটা অল্প বয়সের ছেলে তার কাছে জানতে চাইলো
--- কি দাদা, নিজেতো চা খেলেন,আবার চা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন?আপনি কাল বললেন যে এই প্রথম এখানে এসেছেন?একাই তো আছেন শুনলাম; তাহলে চা টা কার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন?
মুহূর্তের মাঝে নিলয়ের মাথাটা গরম হয়ে গেল।এমনিতেই একটা উটকো ঝামেলা এসে কাঁধে পড়েছে তারপর এই মেয়েটাকে নিয়ে তাঁর চিন্তার শেষ নেই তার পিছনের লোক লেগেই আছে।লোকগুলি আবার তার কাজের কৈফিয়ত চাইছে,সে পিছন ঘুরে বলে উঠলো,
--- দাদা,এখানে কি কোন নিয়ম আছে কে ক'কাপ চা খাবে? কখন কোথায় যাবে?সব কৈফিয়ৎ চায়ের দোকানে বসে থাকা মানুষগুলোকে দিতে হবে?
--- আহা দাদা চটছেন কেন?একটু আলাপ করছিলাম আপনার সাথে। তা কিসে চাকরি করেন দাদা?বাড়িতে কে কে আছেন?
--- সব জানতে পারবেন।কটা দিন সময় দিন।আজ তো এখানে আমার দ্বিতীয় দিন,অফিসটা করে আসি, কিছু জিনিসপত্র কেনার আছে,সেগুলো কিনতে হবে ,তারপরে না হয় একদিন জমিয়ে আমার বাড়িতে বসে আড্ডা মারা যাবে। আজ আসি।
নিলয় বুঝতে পারে মেয়েটাকে নিয়ে তারা তাকেই সন্দেহ করছে। সে কিছুতেই বুঝতে পারে না এই রকম একটা অসহায় মেয়েকে কিভাবে একা একা রাস্তায় ছেড়ে দেবে? আবার এই দিনের পর দিন এইরকম একটা ইয়ং মেয়ে তার কোয়ার্টারে থাকলে কেউ যদি জানতে পারে তাহলে বদনাম ছড়াতে এক সেকেন্ডও সময় লাগবে না। তালা খুলে ভিতরে ঢুকে দেখে অচলা সেই একইভাবে সোফার উপর বসে আছে। তাকে দেখে সে তার কাপড়ের আঁচল দিয়ে ভেজা চোখ দুটো মুছে নেয়।নিলয় ঘরে ঢুকেই এদিক ওদিক তাকিয়ে দরজাটা বন্ধ করে দেয়। টুকটাক জিনিসপত্রগুলি রান্নাঘরে নিয়ে রাখে।আর একটা প্যাকেট অচলার সামনে রেখে বলে,
-- আমিতো একটু পরেই অফিস যাব,ফিরতে একটু রাত হবে। এই মুহূর্তে কোন কিছু ব্যবস্থা করতে তো পারিনি।এই পাউরুটি আর ডিম সিদ্ধ রেখে গেলাম।আজকের দিনটা চালিয়ে নেবেন।আর এই এর ভিতরে সামান্য কিছু জামাকাপড় আছে ।এত সকালে জামা কাপড়ের দোকান খোলে না।আমি রাতে ফেরার সময় বাজার ঘাট করে নিয়ে আসব। হ্যাঁ, আর একটা কথা আপনি বলেছিলেন সকালে চলে যাবেন।কিন্তু কোনো অবস্থাতে এই মুহূর্তে আপনি বাইরে বেরোবেন না।কারণ দরজার বাইরে তারা ওৎ পেতে আছে। আপনাকে দেখতে পেলেই তারা কিন্তু তুলে নিয়ে যাবে। এখনও তারা চায়ের দোকানে বসে রয়েছে।
কথাগুলো বলে তার সাথে অল্প বয়সী ছেলেটির কথোপকথনটা সে অচলাকে জানায়। অচলার চোখ থেকে জল পড়তে থাকে।নিলয় তাকে বলে,
--- কান্নাকাটি করবেন না।দেখছি আমি কি করতে পারি।তবে একটা কথা আমি বেরিয়ে যাওয়ার পর কেউ এসে যদি ডাকাডাকি করে আপনি কোন জানলা বা ঘরের ভিতর থেকে কোনও আওয়াজ দেবেন না।আমি এসে নিজে তালা খুলে ঘরে ঢুকবো।
ক্রমশঃ
No comments:
Post a Comment