Friday, June 30, 2017

সমাজের কাজ
      নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

      ঝাঁ চকচকে গাড়ি থেকে নামলো রীতা ।এখন অবশ্য তার নাম রীতা নয় -রিটা ।পাড়ায় জ্ঞানী,গুণীজন বলে পরিচিত কিছু বয়স্ক মানুষ দাঁড়িয়ে ।অল্প বয়স্ক কিছু ছেলেও আছে ।তাদেরই মধ্যে একজন বলে উঠলো ,"ওই যে এসে গেছে ।" তারা সকলে এসে রীতার বাড়ি যাওয়ার পথ আঁটকে দাঁড়ালো ।"এতো রাতে কোথা থেকে রোজ আসো ?কি ভাবো ,আমরা কিছু বুঝিনা ? কিচ্ছুটি জানিনা ? ভদ্রলোকের পাড়ায় থেকে এসব বেহেল্লাপানা আমরা কিছুতেই বরদাস্ত করবোনা । এখানে থাকতে গেলে ভদ্রভাবে থাকতে হবে -----------" নানান প্রশ্ন ,নানান কটূক্তি ! শান্ত ,নরম স্বভাবের রীতা বাবার মৃত্যুর পর এই পাঁচ বছরে অনেক পাল্টে গেছে । বলা ভালো পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে । জীবন যুদ্ধের কাছে পরাজয় স্বীকার না করে ছোটবেলা থেকে শেখা নাচ আর রূপকে সম্বল করে সে শুধু একা নয় পরিবারের অন্য চারটি সদস্যকেও বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছে ।ছোট বোনদুটির বিয়েও দিয়েছে কলকাতা থেকে অনেক দূরে যাতে করে তাদের  শ্বশুড়বাড়ির লোকেরা জানতে না পারে সে হোটেল নর্তকী ! ভাইকে ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি করেছে ,পেটপুরে তিনবেলা খেতে পারছে ।বাবা যেদিন হঠাৎ মারা গেলেন সেদিন এইসব ভদ্রলোকেরা কোথায় ছিলো ?আজ যারা এসে ভদ্রলোকের পাড়া বলে চিৎকার, চেঁচামেচি করছে সেদিন তো কোন ভদ্রলোক এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি ? দিনের পর দিন ছোট ভাইবোনগুলিকে নিয়ে না খেয়ে থেকেছি সেদিন তো কোন ভদ্রলোকের টিকিটিও দেখতে পাইনি ! আজ যখন নিজের জীবনের সুখ,স্বচ্ছন্দ বিসর্জন দিয়ে পরিবারের প্রত্যেকের জীবনে বিন্দুমাত্র সুখ এনে দিতে পেরেছি তখন ভদ্রলোকেরা (?) এসছে পাড়া ছাড়া করতে ! এরা কি মানুষ ? এদের কি মনুষ্যত্ব আছে ? কি চায় এরা ? আছে কি এদের পাড়ার মাথা হয়ে বেঁচে থাকার অধিকার ? এরাই সমাজের ন্যায় অন্যায়ের বিচার করে ? সমাজ বা সমাজের মানুষকে এরা অপমান আর অপবাদ ছাড়া কি দিতে পারে ? পরিবারের কোন একজন নারীর  সামনে অন্য সদস্যরা না খেয়ে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাবে আর মায়ের জাত হয়ে সতীপনার খোলসের মধ্যে নিজেকে লুকিয়ে রেখে পরিবারের একটা একটা করে খুব কাছের মানুষকে হারিয়ে ফেলবে এটাই কি সমাজ চায় ? যদি পরিবারের সকলেই অনাহারে মারা যায় ;তাহলে সেই সতীত্ব নিয়ে কাদের সাথে সে বেঁচে থাকবে ? কি লাভ সেই সতীত্ব নিয়ে বেঁচে থাকা ? একটা জীবনের বিনিময়ে যদি আর চারটে জীবন বাঁচানো যায় কি ক্ষতি আছে তাতে ? সমাজ , ভদ্রলোক এরা তো আছে শুধু কথা শুনাতে ; এই জীবনগুলোর মূল্য তো তাদের কাছে নেই !

       বাবার মৃত্যুর পর মা লোকের বাড়ি বাড়ি কাজ করতে শুরু করেন । কিণ্তু তাতে পাঁচ পাঁচটা পেট চলতো না । মায়ের দেখে দেওয়া বাড়িতে রীতাও ঠিকা ঝিএর কাজ আরম্ভ করে । বাড়ির থেকে পা বাড়িয়েই সমাজের ভদ্রলোকদের লোলুপ দৃষ্টির সম্মুখীন হয়েছে । কুপ্রস্তাবে সারা না দেওয়ায় বাসন মাজা ,ঘর মোছার কাজগুলো পর্যন্ত চলে গেছে । লোকচক্ষুর আড়ালে বা রাতের আঁধারে যাদের এক রূপ তাদেরই লোকালয়ে বা দিনের আলোতে আর এক রূপ ! এটাই কি সমাজ  ? আর এরাই কি সেই সমাজে বসবাসকারী ভদ্রলোক ?

      তারস্বরে চিৎকার,চেঁচামেচির মধ্যে দাঁড়িয়ে রিতা কথাগুলি ভাবতে থাকে । হঠাৎ একজন বলে ওঠেন ,"কি কথা নেই কেন মুখে ?" রীতা তাঁকিয়ে দেখে বয়স্ক সাধন মজুমদার । যার বাড়িতে রীতা পনের দিনের মত ঝিয়ের কাজ করেছে । যিনি স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে সুযোগ বুঝে  রীতার উপর চড়াও হয়েছিলেন !মদ খেয়ে চুড় হয়ে বাথরুমে কাপড় কাঁচার সময়ে রীতাকে ঝাপটে ধরেছিলেন । রীতা এক ধাক্কা দেওয়াতে ওই অবস্থায় টাল সামলাতে না পেরে তিনি বাথরুমের ভিতর পরে যান । রীতা দৌড়ে বাথরুম থেকে বেড়িয়ে সোজা বাড়ি চলে আসে ।পরে জানতে পারে সাধন মজুমদারের বাম গোড়ালির হাড় ভেঙ্গে গেছে । বুড়ো হাড় আর জোড়া লাগেনি ;এখন একটু খুঁড়িয়েই হাঁটেন । এখানে আজ তার হম্বিতম্বিটাই বেশী ! রীতা অত্যন্ত শান্তভাবে সাধন মজুমদারকে জিগ্গাসা করে ,"সাধনকাকু আপনার পায়ে কি হয়েছে ? খুঁড়িয়ে হাঁটছেন যে ? পরে গেছেন ? তা কোথায় পরে গেলেন ?" সাধন মজুমদার আমতা আমতা করে ভিড়ের ভিতর মিলিয়ে যান ।

           এবার নিজেকে শক্ত করে নিয়ে ভিড়ের ভিতর দাঁড়িয়ে চিৎকার করে সকলের কাছে জানতে চায়, " হ্যাঁ ,কি যেন জানতে চাইছিলেন ? আমি এতো রাতে ফিরি কেন ? আপনারা সব্বাই জানেন তো ! যদি কেউ না জেনে থাকেন -তাহলে শুনুন ,আমি একটি হোটেলে গান গেয়ে ,নেচে টাকা রোজগার করি ।আর এই টাকাতেই আমি আমার বোনদের বিয়ে দিয়েছি ,তারা সুখী আছে , ভাইকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াচ্ছি -আমরা খেয়েপড়ে বেঁচে আছি । এই হোটেলগুলোতে যে সব ভদ্রলোকেরা(?) যায় তারা তো দিনের বেলায়  যেতে পারেনা ! তাহলে সমাজ তাদের গায়ে থুথু দেবে যে ! তারা যদি দিনের বেলায় পয়সা খরচ করে আমার নাচ দেখতে ও গান শুনতে যেত তাহলে আমাকে এতো রাত করে ভদ্রলোকের পাড়ায় ফিরতে হতনা ! কি করবো বলুন ! সমাজের অধিকাংশ ভদ্রলোকের কাজ কর্মই তো রাতের বেলায় ! তারা যদি ধোয়া তুলসী পাতা হয় -তাহলে পেটের দায়ে তাদের গান শুনিয়ে টাকা রোজগার করি বলে আমার কাজটাকে আপনারা বেহেল্লাপনা বলবেন ? আমার বাবার মৃত্যুর পর এই পাড়ায় ঝিয়ের কাজ করতে যেয়ে অসম্মানিত হয়নি ? জানেন তো আপনারা সব ! দিনের পর দিন মা ,ভাইবোনদের নিয়ে উপোস করে থাকিনি ? কই তখন তো কেউ খোঁজ নিতে আসেননি ? আজ যখন খেয়েপরে বেঁচে আছি তখন এসছেন আমার কাজের কৈফিয়ত নিতে ? কে আপনারা ? আর কেনইবা আমার কাজের কৈফিয়ত আপনাদের দেবো ? কখনো কোন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আপনারা ? জোগাড় করে দিন ভদ্রলোকদের একটা চাকরী , কথা দিচ্ছি এই কাজ আমি ছেড়ে দেবো । আপনারা কি চান বলুন তো ? একটা পরিবারের সকল সদস্য না খেয়ে মারা যাক ! এটাই আপনাদের সমাজ ? এটাই আপনাদের মত ভদ্রলোকদের মূল বক্তব্য ?দুঃসময়ে পাশে এসে না দাঁড়িয়ে সুসময়ে এসে আমার ঘরে আগুন লাগিয়ে সকলকে মেরে ফেলতে চাইছেন ? এ সমাজ আমি মানিনা । যান আপনারা পুলিশের কাছে যেয়ে আমার বিরুদ্ধে ডায়রী করুন । পাড়ার ভদ্রলোকদের মুখোশ আমি এক এক করে খুলে দেবো ।"

  ভিড়ের ভিতর থেকে সাধন মজুমদার বেড়িয়ে বাকী সকলকে বুঝিয়ে শুনিয়ে বলতে গেলে এক রকম জোর করেই সকলকে বাড়ি যেতে বাধ্য করেন । রীতাও বাড়ির দিকে দ্রুত পা চালায় কারণ অনেকটা সময় দেরী হয়ে গেলো ,মা খুব চিন্তা করছেন ,এখনও না খেয়েই বসে আছেন ।

  @নন্দা
হঠাৎ আসা বৃষ্টি
        নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

গুড়ুগুড়ু মেঘ ,আকাশ কালো ,
হঠাৎ এলো বৃষ্টি -
শন্ শন্ বেগে বইছে বাতাস ,
বিধাতার একি সৃষ্টি !

হঠাৎ আসা বৃষ্টিতে পথচারী ,
হোল সব কাক ভেজা ,
কিশোর কিশোরী ফেঁটে পরে উল্লাসে ,
চপচপে ভিজে কিনে খায় তেলে ভাজা ।

বৃষ্টিরজলে মাথা বাঁচানোর ,
ইচ্ছে নেই যে কারও !
বাদলের ধারা তেজে এলে পরে ,
খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে তারা আরও ।

@ নন্দা    30-6-17 

Wednesday, June 28, 2017

ভাসিয়ে দিলাম তরীখানি
মাঝির নেইকো দেখা ,
ঢুলি পরে আছে সবাই ,
ভাসছি আমি একাই ।

কূলকিনারা নেইকো জানা ,
জানিনা গো সাঁতার -
কেমনে হবো সাগর পার ,
ঠিকানা কে দেবে আমার  !

@ নন্দা   27-6-17

Friday, June 23, 2017

এমন কেন সব
        নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

দরজাগুলো সব বন্ধ করে দাও ,
দখিনের জানালাটা খুলোনা ,
আঁধার আর বদ্ধ ঘরই এখন ভালোলাগে,
বাতাস এখন বড্ড বিষাক্ত !
সহ্য হয়না আর শরীরে !

আলোর ভিতরেই থাকতে চেয়েছিলাম ,
চেয়েছিলাম বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে ,
উপলব্ধি করলাম মানুষের ভিতরের -
কালো আর ভয়ংকর দিকগুলি !
বুকভরে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হত !

একাকী নিজেকে ঘরবন্দী করলাম ,
ওই বিষাক্ত নিশ্বাস আর তাদের মনের কালো দিক
যেন কখনোই -
আমাকে আর দেখতে না হয় !

@নন্দা    23-6-17   9-30PM

Thursday, June 22, 2017

শ্রমিকের জীবন
নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

মাথার ঘাম পায়ে ফেলে -
করছে চাষী চাষ ,
তাদের পেটেই জোটেনা ভাত !
গরীবের জীবন বরবাদ !

খবরের কাগজ বেঁচে যারা ,
তাদের খবর কেউ রাখেনা !
নুন আনতে পান্তা ফুরায় ,
ধনীর আছে টাকার বড়াই  !

অট্টালিকা গড়ে শ্রমিক ,
মাথায় নিয়ে রোদবৃষ্টি ,
ভাঙ্গা ঘরে চাঁদের আলো ,
চালে যখন ফেলে দৃষ্টি ।

@নন্দা 

Wednesday, June 21, 2017

কপাল যাদের মন্দ

    নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

আষাঢ়ের গগনে জমেছে মেঘ ,
কালো শাড়িতে ঢেকেছে নগর ,
বাদলের ধারা আনবে স্বস্তি,
ফুটপাতবাসীর হবে কঠোর শাস্তি !

ছোট্ট ত্রীপলের ভিতরে যাদের ,
সাজানো গুছানো সংসার !
বৃষ্টির ধারা আর হাওয়ার তাণ্ডবে ,
হবে বুঝি সব ছাড়খাড় !

আদিকাল থেকে প্রকৃতিও যেন -
গরীবের প্রতি কড়া !
সৃষ্টিটাই যেন হয়েছে এমন ,
ধনীর সুখ-গরীবের দুখের থেকেও বারা !

@ নন্দা    20-6-17  9-45PM

Tuesday, June 20, 2017

সে এসেছে
    নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

খুশীর হাওয়ায় আজকে আমার -
খুললো বুঝি দুয়ার ,
অসময়ে এলো ফাগুন !
বুক কাঁপছে যেন দ্বিগুণ !
কৃষ্ণচূড়া ফোঁটেনি গাছে ,
মন হয়েছে রঙ্গীন !
আবীর ছাড়ায় লাল যে মুখ ,
বুকে জ্বলছে যেন আগুন !
ঊষার কিরণে বহুদিন পরে ,
দেখেছি  সে মুখ আমি  -
আমার বিরহ ,দুখের দিন ,
আসবে না আর ফিরে ।

@ নন্দা   15-5-17   1AM

Tuesday, June 13, 2017

দেখা হবে কি
নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

 অনেক কথা বলবো বলে -
কাগজ ,কলম ছাড়াই কিছু গদ্য কবিতা ,
মনের খাতায় লিখে রেখেছিলাম ;
 সময় ছিলো খুবই অল্প ,
ব্যস্ততা ছিলো আরও বেশী ,
কথাগুলি আর বলা হয়ে ওঠেনি ;
হয়তো কোনদিনও আর বলা হবেনা !
অব্যক্ত এক যন্ত্রণা কুড়ে খাবে আজীবন ;
এ জীবনে দু'টি আত্মার মিলনের ফল -
 যদি ফিরে পাই পরজনমে -
না বলা কথাগুলি তখনই বলবো তোমাকে
অপেক্ষা কোরো,ধর্য্য ধোরো,
হয়তো আবার আমাদের দেখা হবে !

@নন্দা    12-6-17   2PM
দেখা হবে কি
নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

 অনেক কথা বলবো বলে -
কাগজ ,কলম ছাড়াই কিছু গদ্য কবিতা ,
মনের খাতায় লিখে রেখেছিলাম ;
 সময় ছিলো খুবই অল্প ,
ব্যস্ততা ছিলো আরও বেশী ,
কথাগুলি আর বলা হয়ে ওঠেনি ;
হয়তো কোনদিনও আর বলা হবেনা !
অব্যক্ত এক যন্ত্রণা কুড়ে খাবে আজীবন ;
এ জীবনে দু'টি আত্মার মিলনের ফল -
 যদি ফিরে পাই পরজনমে -
না বলা কথাগুলি তখনই বলবো তোমাকে
অপেক্ষা কোরো,ধর্য্য ধোরো,
হয়তো আবার আমাদের দেখা হবে !

@নন্দা    12-6-17   2PM

Saturday, June 10, 2017

চাইনা পরাজয়
নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

   আকাশের মত উদার হবো ,
 পাখিদের মত মুক্ত ;
  সমুদ্রের মত গভীর হবো ,
বাতাসে উড়বো যেন মুক্তবিহঙ্গ ।
 
  মনের কোণে দেবোনা ঠাঁই ,
কোন হিংসা ,বিদ্বেষ, অপমান -
  মনের স্রোতে ভাসাবো সব ,
সুখ তাতে একটুও হবেনা কম ।

  আঘাতের বিনিময়ে দেবোনা আঘাত ,
ভালবেসে টেনে নেবো বুকে ,
  হাসি মুখটি সর্বদা রেখে -
আনন্দে ভাসবো শতশোকে !

  বিপদ আসলে হটবো না পিছু ,
করবো তাকেই জয় ;
  ছোট্ট জীবনে এটুকুই দাও শক্তি প্রভু -
জীবনে আমি চাইনা পরাজয় ।

@ নন্দা   10-6-17    8-40PM 
চুপিসারে
         নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

আমার কথা পড়লে মনে ,
সন্ধ্যাবেলায় তাঁরা দেখো আকাশপানে ,
নিশুতরাতে ঘুমের মাঝে -
আসবো তোমার অতি কাছে !
আলতো ভাবে ছুঁয়ে তোমায় -
তুলবো বুকে ঢেউ ;
মাথায় দেবো হাত বুলিয়ে ,
জানবে নাতো কেউ ।
আঁখি দু'টি খোল যদি ,
পালিয়ে যাবো এক নিমেষে -
আবার আমায় দেখতে পাবে ,
সন্ধ্যাবেলায় আকাশেতে ।

#নন্দা    7-6-17  1-45AM.

Tuesday, June 6, 2017

উত্তর পাইনা
           নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

যুদ্ধ কি কেবলমাত্র ময়দানেই হয় ?
মনের মধ্যে একাকী যুদ্ধ হয়না ?
আঘাত কি কেবলমাত্র কোন বস্তু্ু দিয়েই হয় ?
কোনকিছু ছাড়া মনে আঘাত লাগেনা ?
অপমান কি শুধুমাত্র বাকশক্তির সাহায্যেই করতে হয় ?
নীরবে কাউকে অপমান করা যায়না ?
মুখে বড় বড় কথা বললেই কি -
বড় মানুষ হওয়া যায় ?
ব্যবহার কি তার প্রমাণ দেয়না ?
ভালবাসা,সম্মান,স্নেহ পেতে গেলে -
পরস্পরের বোঝাপড়াটা কি দরকার হয়না ?

   #নন্দা   11PM :
হৃদয় যখন কঠিন
   নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

হৃদয় নাকি খুবই নরম !
অল্পতেই যায় ভেঙ্গে ;
আঘাত সে যে পেতে পেতে -
ইস্পাত হয়েই চলে সঙ্গে ।

নয়নের দৃষ্টি যখন যায় গো চলে ,
চারিদিকে শুধুই আঁধার ,
প্রথম হৃদয় ভাঙ্গলে পরে -
সময় যায় গো থমকে চলার ।

পাথর যেমন হয়গো ক্ষয় ,
হৃদয়ও যে কঠিন হয় ,
বাঁচতে গেলে সময়ের সাথে -
তাল মিলিয়ে চলতেই হয় ।

#নন্দা   30-5-17