Monday, December 2, 2019

ব্লাকবেল্ট

অণুগল্প
 
 ব্লাকবেল্ট  

      নন্দা  মুখার্জী  রায়  চৌধুরী  

     নিজে  একজন  নামকরা  নৃত্যশিল্পী  হওয়া স্বর্তেও  সকলের  অমতে  মেয়েকে  নিজের  নাচের  স্কুলে  ভর্তি  না  করে  যখন  ক্যারাটে  স্কুলে  ভর্তি  করলো  মহুয়া  তখন  শাশুড়ি  ও  স্বামী  তার  সাথে  প্রচন্ড  অশান্তি  করেছিলেন| কিন্তু  একরোখা  মহুয়া  কারও কথায়  সেদিন  কর্ণপাত  করেনি| মেয়ে  আজ  ব্লাকবেল্ট  পাওয়ায়  সে  ভীষণ  আনন্দিত| 
   শহর  থেকে  একটু  দূরে  নিজের  নাচের  স্কুলের  মেয়েদের  নিয়ে  অনুষ্ঠান  করে  ফেরার  পথে  রাস্তার  মাঝখানে  গাড়ি  খারাপ  হয়ে  যায়| শুনশান  রাস্তা  তার উপর  অধিক  রাত অল্পবয়সী  মেয়েগুলোকে  নিয়ে  সে  তখন  অথই সমুদ্রে| ড্রাইভার  আপ্রাণ  চেষ্টা  চালিয়ে  যাচ্ছে  গাড়িটিকে  তাড়াতাড়ি  সারাবার  জন্য| ঠিক  সেই  মুহূর্তে  একটি  বাইকে  করে  তিনটি  ছেলে  এসে  অযাচিতভাবে  সাহায্য  করার  জন্য  গল্প  জুড়ে  দিলো| মহুয়া  তখন  ভয়ে  ঠকঠক  করে  কাঁপছে| মহুয়ার  মেয়ে  তখন  গাড়ি  থেকে  নেমে  মহুয়ার সামনে গিয়ে  ছেলেগুলিকে বলে তাদের  কোন  সাহায্যের  দরকার  নেই| অট্টহাসিতে  তারা  ফেটে  পরে| আর  ঠিক  তখনই একটি  ছেলে  মহুয়ার  মেয়ে  মনামীর  হাত  ধরে  টান দেয়| মহুয়া  চিৎকার  করে  ওঠে| বাকি  মেয়েগুলোও  ভয়ে  তখন  জড়সড়| 
   বাড়িতে  ফিরে মেয়ের  গর্বে  গরবিনী  মা স্বামী এবং তার মাকে ডেকে  হাসতে হাসতে গল্প  করতে  লাগলো  কিভাবে  তার  ব্লাকবেল্ট  পাওয়া  মেয়ে  তিন  তিনটি  ছেলেকে  ধরাশায়ী  করেছে| "ভ্যাগিস  আজ  মনা আমাদের  সাথে  ছিলো| ও  একাই আজ  আমাদের  এতগুলো  মেয়ের  সম্মান  বাঁচিয়েছে| আজ  তোমরা  নিশ্চয়ই  বুঝতে  পারছো  প্রত্যেকটা  মেয়ের  ক্যারাটে  শেখা কতটা  দরকার| শুধু  নিজেকে  বাঁচাতেই  নয়  অন্য মেয়েদের  সম্মান  রক্ষার্থেও প্রত্যেকটা   মেয়ের  ক্যারাটে  শিক্ষাটা  জরুরি|"

No comments:

Post a Comment