Wednesday, December 26, 2018

দেখতে যদি পাই
     নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

সেই বিকেলটা হারিয়ে গেছে জীবন থেকে,
সেই সন্ধ্যাটা আসবেনা আর কখনো ফিরে।
জীবন নামক নৌকাটাতে ছিলাম যখন দু'জন,
সকাল, বিকাল, সাঁঝবেলা হিসাব ছিলোনা তখন-
ময়ুরপঙ্গী ভাসিয়ে ছিলাম শুক্লাতিথির পঞ্চমীতে,
হঠাৎ করেই ডুবিয়ে দিলো কোন ডাইনী এক ছদ্মবেশে।
ভাসিয়ে দিলো স্বপ্ন আমার কেড়ে নিলো তোমায়,
পারে বসেই ঢেউ গুনি তোমায় দেখতে যদি পাই।

Thursday, December 20, 2018

সাদা পাতা
                নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী
তোমার সাথে শেষ দেখা,
ইতিহাস হয়ে রয়েছে বুকে,
হৃদয়ে জমা রয়েছে ব্যথা,
যা একান্ত নিজেরই থাকে।

হয়তো হয়েছে চাক্ষুস শেষ দেখা,
মনেমনে দেখি তোমায় রোজ,
যে ইতিহাস বুকেতে জমা,
খুলি তাকে হররোজ।

জীবনখাতার শেষ পাতাগুলি,
রয়েছে আজও সাদা পরে,
জানিনা কবে লেখা হবে সেসব, 
অন্যের কাছে যা ইতিহাস হবে।

Monday, December 17, 2018

সুখি কে
নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

'কেমন আছো' জানতে চাইলে-
হেসে বলি ভালো আছি।
দুখের মাঝেও ভালো থাকার,
অভিনয়েই সব বাঁচি।
মুখে হাসি চাপা কষ্ট,
জীবনের মূল উপাদান,
দুঃখটা বুকে রেখে
সুখটা আদানপ্রদান।
পরিপূর্ণ মানুষ খুঁজে,
যায়না পাওয়া ধরাতে,
প্রতিবেশী পরস্পর ভাবে,
সুখটা বুঝি পাশের বাড়িতে।

#নন্দা

Sunday, December 9, 2018

পাবোনা ফিরে
      নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

স্বপ্ন দেখা সেই শৈশব,
ফেলে এসেছি কবে,
আজও তারা প্রতিনিয়ত,
আমায় ঘিরে থাকে।

স্বর্ণালী দিনের স্বপ্ন আবেশে,
আজও বেঁচে আছি,
পাওয়া না পাওয়ার হিসাব করিনা,
অতীত বড্ড ভালোবাসি।

দুষ্টুমীভরা সে সব দিন,
আজও যখন মনেপড়ে,
হারিয়ে যাই সে সব দিনে,
যা ফিরে পাবোনা কোনকালে।

9-12-18

Saturday, December 8, 2018

শীতের গীত
  নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

কুয়াশায় ঢাকা চারিদিক,
আহা!উহু!কি শীত!
পিঠে আর পায়েসের গন্ধ,
জয়নগরের মোয়া,খেঁজুরগুড়,
খেয়েদেয়ে কি আনন্দ!
একবার ঢুকলে লেপের তলায়,
বেরোবার আর নাম নাই।
যত গন্ডগোল স্নানের সময়,
জল দেখলেই পিলে চমকায়।
খাওয়াতে সুখ,ঘুমোনোতেও তাই,
বেড়ানোর কথা নাই বললাম ভাই। 😂😂

Friday, December 7, 2018

    বিধাতার বিচার
           নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী
নীচু জাতের মেয়েকে ভালোবেসে বিয়ে করার ফলে ছেলে আর বৌকে ঘরে ঠাঁই দেননি অপর্ণাদেবী।বলেছিলেন, "ওর হাতে আমি জলস্পর্শ করবোনা।"ছোট ছেলেকে বিয়ে দিয়েছিলেন নিজে পছন্দ করে।শেষ বয়সে এসে তাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর উদ্দোগ নেওয়ায় তিনি বড় ছেলের শরণাপন্ন হন।বড় বৌ তাকে মাতৃসম্মানে সাদরে গ্রহণ করে। 
হায়রে বিবেক
     নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

রাত্রির নিস্তব্ধতায়-
ঘড়ির টিকটিক আওয়াজ,
কানে ভেসে আসে
কারও করুন আর্তনাদ!

অসহায় সে-
বাঁচার শেষ চেষ্টা,
অসহায় আমি
দরজা জানলা বন্ধ রাখি।

ভোরের আলোতে ভুলে যাই সব-
বাঁচতে হবে বাঁচাতে হবে সবাইকে,
পুলিশের সামনে খুলিনা মুখ
বলিনা শুনেছি কোন চিৎকার।

মোমবাতি হাতে নিয়ে-
মিছিলে সামিল হই,
কলম তুলে নিই হাতে
প্রতিবাদের ঝড় তুলি কবিতায়!

মনুষ্যত্বের গান গাই-
বিবেককে নিজ হাতে খুন করি,
তবুও খুলিনা মুখ
বাঁচতে হবে বাঁচাতে হবে সবাইকে।

   ৬-১২-১৮

Thursday, December 6, 2018

তোমার আলো
    নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

অনেকটা পথ হেঁটে এসে,
তোমার মাঝে পেলাম আলো,
কষ্ট হলেও একটু নাহয়,
আমায় বেসো ভালো।

তোমার সাথে হাঁটলে পরে,
মিলবে  পথের দিশা,
যত্ন করে জ্বালিয়ে রেখো,
তোমার আলোর শিখা।

চলতে পথে আসলে বাঁধা,
ভাঙ্গবো দু'জন মিলে,
হেসে খেলে বন্ধুর পথে,
জীবন যাবে চলে।

  #নন্দা   5-12-18 
পাল্টে যায়
         নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী

   পথের মাঝখানে বাপ ছেলের চিৎকারে গাড়ি থেকে দ্রুত নেমে ছন্দা হাফাতে হাফাতে তাদের কাছে পৌঁছালো।সদ্য উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা ছেলে রিন্টু বাবার হাত ধরে বলছে,
---এতো বড় রাস্তা আমি কিছুতেই তোমায় একা পার হতে দেবোনা।
আমাকে দেখতে পেয়ে আবারও চিৎকার, 
--তুমি বলে দাও বাবাকে এতো ভিড়ে বাবা আমার হাত ধরেই ঠাকুর দেখবে।
       চোখের সামনে ভেষে উঠলো ফেলে আসা পনের বছর আগের দিনগুলি।সেদিন ঠিক যেমন করে ওর বাবা আমায় বলেছিলো,
---তোমার ছেলেকে বলে দাও ও যেন এতো ভিড়ে আমার হাত না ছাড়ে।
    সময় কত দ্রুত পাল্টে যায়!

Saturday, December 1, 2018

স্মৃতি রোমন্থন
     
স্মৃতি রোমন্থনে হাতড়াই আলমারি
ক্লান্ত শরীর অবসন্ন মন,
যা কিছু পাই খুলে খুলে দেখি,
নিজের অজান্তেই পৌঁছে যাই
কয়েক যুগ পিছনে।
কখনো সুখস্মৃতি কখনো বা দুখস্মৃতি
সবকিছুই আজ আমার একার!
কি চেয়েছি আর কি পাইনি
তার হিসাব আজ আর করিনা।
জীবনে পেয়ে যা হারিয়েছি-
সেই বেদনায় প্রতিমুহূর্তে আমায় দগ্ধ করে।