ভুলের বোঝা
নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী
(১)
প্রায় দু'যুগ পর প্রাণের বন্ধু অতীনের সাথে দেখা।অতীন দেখেই দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে বললো,"কতদিন পরে দেখলাম তোকে।হঠাৎ কি এমন হয়েছিলো যে কাউকে কিছুই না জানিয়ে বলতে গেলে পালিয়ে গেলি ?"
---তোদের কাছ থেকে পালায়নি রে!পালিয়েছিলাম নিজের কাছ থেকে।ছাড় ওসব কথা, কেমন আছিস বল।
---আর কেমন থাকবো বল ? পরিবারের সবাইকেই তো হারিয়ে ফেলেছি।বোনের ক্যানসার ধরা পড়ার পর ডাক্তার বললেন ছ'মাস;কিন্তু বোন তিন মাসের মধ্যেই চলে গেলো। তারপর মা সেই শোক সামলাতে না পেরে আমায় ছেড়ে গেলেন।
---কি বলছিস কি তুই ? অতসীর ক্যান্সার হয়েছিলো আমায় জানাসনি তো?
---কি করে জানাবো?যেদিন জানতে পারলাম তারপর থেকে তো আর তোকে দেখতেই পাইনি।কোথায় আছিস এখন?
--দিল্লী।
(২)
মনে পড়ছে সুদীপের-অতসী যেদিন ডাক্তার দেখাতে যাবে বলেছিলো ঠিক তার পরেরদিন ওদের দেখা হলে অতসী ওকে প্রত্যাক্ষান করেছিলো।কারনও দেখিয়েছিলো সুদীপ বেকার।বেশ অপমানজনক কথাও বলেছিলো।সুদীপের সেদিন কষ্টের থেকে অভিমানটা বেশি হয়েছিলো।পিতৃমাতৃহীন সুদীপ থাকতো একটা মেসে।খরচ চালাতো টিউশন করে।পরদিনই সে মেস ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়।মনের ভিতর অতসীর প্রতি একটা ঘৃনা থেকে পুরো নারীজাতির প্রতি ঘৃনায় আজীবন একাই থেকে যায়।আজ নিজেকে খুব ছোট মনে হচ্ছে। কতটা ভালবাসলে একজন মৃত্যুপথযাত্রী তার ভালোবাসার মানুষটির সাথে এরূপ ছলনার আশ্রয় নিতে পারে।ছি! ছি! এতটা নির্বোধ আমি? একটু তলিয়ে ভাবতেও পারলামনা?এতদিন ধরে অতসীকে ভুল বুঝে শুধু ঘৃনায় করে গেলাম!আমায় ক্ষমা কর অতসী।তোমার ভালোবাসাকে আমি চিনতেই পারিনি।তুমি যেখানেই থাকো শান্তিতে থেকো।পরজম্ম বলে যদি সত্যিই কিছু থাকে তোমার সাথে দেখা করে আমি ক্ষমা চেয়ে নেবো।একটু অপেক্ষা কর ধর্য্য ধরে -আমাদের মিলন হবেই।
#নন্দা
নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী
(১)
প্রায় দু'যুগ পর প্রাণের বন্ধু অতীনের সাথে দেখা।অতীন দেখেই দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে বললো,"কতদিন পরে দেখলাম তোকে।হঠাৎ কি এমন হয়েছিলো যে কাউকে কিছুই না জানিয়ে বলতে গেলে পালিয়ে গেলি ?"
---তোদের কাছ থেকে পালায়নি রে!পালিয়েছিলাম নিজের কাছ থেকে।ছাড় ওসব কথা, কেমন আছিস বল।
---আর কেমন থাকবো বল ? পরিবারের সবাইকেই তো হারিয়ে ফেলেছি।বোনের ক্যানসার ধরা পড়ার পর ডাক্তার বললেন ছ'মাস;কিন্তু বোন তিন মাসের মধ্যেই চলে গেলো। তারপর মা সেই শোক সামলাতে না পেরে আমায় ছেড়ে গেলেন।
---কি বলছিস কি তুই ? অতসীর ক্যান্সার হয়েছিলো আমায় জানাসনি তো?
---কি করে জানাবো?যেদিন জানতে পারলাম তারপর থেকে তো আর তোকে দেখতেই পাইনি।কোথায় আছিস এখন?
--দিল্লী।
(২)
মনে পড়ছে সুদীপের-অতসী যেদিন ডাক্তার দেখাতে যাবে বলেছিলো ঠিক তার পরেরদিন ওদের দেখা হলে অতসী ওকে প্রত্যাক্ষান করেছিলো।কারনও দেখিয়েছিলো সুদীপ বেকার।বেশ অপমানজনক কথাও বলেছিলো।সুদীপের সেদিন কষ্টের থেকে অভিমানটা বেশি হয়েছিলো।পিতৃমাতৃহীন সুদীপ থাকতো একটা মেসে।খরচ চালাতো টিউশন করে।পরদিনই সে মেস ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়।মনের ভিতর অতসীর প্রতি একটা ঘৃনা থেকে পুরো নারীজাতির প্রতি ঘৃনায় আজীবন একাই থেকে যায়।আজ নিজেকে খুব ছোট মনে হচ্ছে। কতটা ভালবাসলে একজন মৃত্যুপথযাত্রী তার ভালোবাসার মানুষটির সাথে এরূপ ছলনার আশ্রয় নিতে পারে।ছি! ছি! এতটা নির্বোধ আমি? একটু তলিয়ে ভাবতেও পারলামনা?এতদিন ধরে অতসীকে ভুল বুঝে শুধু ঘৃনায় করে গেলাম!আমায় ক্ষমা কর অতসী।তোমার ভালোবাসাকে আমি চিনতেই পারিনি।তুমি যেখানেই থাকো শান্তিতে থেকো।পরজম্ম বলে যদি সত্যিই কিছু থাকে তোমার সাথে দেখা করে আমি ক্ষমা চেয়ে নেবো।একটু অপেক্ষা কর ধর্য্য ধরে -আমাদের মিলন হবেই।
#নন্দা
No comments:
Post a Comment