অতনু ওরফে বিটু বেশ কয়েক বছরের মধ্যেই অফিসের বেশ উচ্চ পদে চলে যায়।নূতন নূতন ছেলেমেয়ে অফিসের নানান ব্রাঞ্চে নিয়োগ হতে থাকে, তাদের কোন ব্রাঞ্চে কখন ট্রান্সফার করতে হবে তা দেখা অতনুর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
একদিন কাজ করতে করতে নিকিতা সাহার পরিচয় সে জানতে পারে যে কিনা তাদেরই অফিসের অন্য ব্রাঞ্চে আছে এবং বেশ ভালো পোষ্টেই আছে।বাবার নাম আর পুরনো ঠিকানা দেখেই সে বুঝতে পারে এ হচ্ছে তার কলেজ অধ্যাপক এস.এস. অর্থাৎ তার বাবা সুভাষ সাহার একমাত্র মেয়ে।
কি জানি কেন তার মাথায় এ খেয়াল চাপলো।সে কিছু নতুন ছেলেমেয়ের সাথে মাত্র কয়েকটা দিন নিকিতার অফিসে এসে তার আন্ডারে চাকরি করতে চাইলো।
নিকিতা রোজই খবর নেয় অতনু সাহা অফিসে এসেছে কিনা।কিন্তু হঠাৎ করেই যেন লোকটা অফিস থেকে সকলের অলক্ষ্যে উবে গেছে।এবার সে ঠিক করে ল্যাপটপ ঘেঁটে নতুন যোগদান করা ছেলেমেয়েদের নামের লিস্টটা তাকে বের করতেই হবে।
লোকটা বয়সে বড়,দেখতেও খুব একটা ভালো নয় কিন্তু তবুও প্রথম দিন থেকেই লোকটার প্রতি অদ্ভুত একটা মায়া কাজ করছে কেন এটাই নিকিতা বুঝতে পারছে না।
ক্রমশ -
No comments:
Post a Comment