ক্লাসে সেদিন দু'জন ঢুকেছিল ঠিকই কিন্তু স্যারের পড়ানো কারো কানে ঢোকেনি। দু'জনেই ছিল ভাবের জগতে। এভাবেই কেটে গেছে দু'বছর। তখন দু'জনেরই সেকেন্ড ইয়ার। বিদিশার বাবা মেয়ের জন্য ছেলে দেখতে শুরু করেন। বিদিশা বেঁকে বসে। বলে,
-- পড়াশুনা শেষ করে নিজের পায়ে দাঁড়াবো। তারপর বিয়ে বসবো।
কিন্তু কে শোনে কার কথা। তিনবোনের মধ্যে বিদিশাই বড়। সুতরাং বিয়েতে মত দিতেই হবে। একদিকে সুনীলের ভালোবাসা,নিজের জীবনের স্বপ্ন অন্যদিকে বাবার জেদ। সুনীলকে সব জানায়। সুনীলও তখন পাগলের মত ভালবাসে তাকে।
-- তুমি বাড়ি থেকে চলে এসো। আমরা মন্দিরে বিয়ে করে নেবো। তারপর দু'জনে পড়াশুনা শেষ করে চাকরি খুঁজে নেবো। কোন অসুবিধা হবে না। আর কোন অসুবিধা হলেও দু'জনে ঠিক একটা উপায় বের করে নেবো।
পালিয়ে যায় বিদিশা তার ভালোবাসার টানে। অল্প বয়সের কারণে তখন সে বুঝতে পারেনি টাকা না থাকলে গভীর ভালোবাসাও এক সময়ে অসহ্য হয়ে ওঠে। অভাব এমনই সে ভালোবাসা,খিদে,শারীরিক সম্পর্কের উপর এমনভাবে অক্টোপাসের মত জাকিয়ে বসে তাকে উপেক্ষা করা কিছুতেই যায় না।
মন্দিরে বিয়ে করে সুনীল সোজা তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ওঠে। একমাত্র ছেলে। বিধবা বয়স্কা মা। স্বামীর সামান্য পেনশনে সংসার চলে। ছেলের এই অবিবেচকের মত কাজকে সমর্থন করতে না পারলেও মন থেকে মানতে না পারলেও অন্ধের যষ্টিকে হারানোর ভয়ে বিদিশাকে কাছে টেনে নিয়েছিলেন।
চলবে -
No comments:
Post a Comment