সন্দেহ বড় রোগ (১ম পর্ব)
পাঁচ বছর পর অফিসের ভিতর একটা পরিচিত গলার আওয়াজ শুনে কিছুটা চমকে যায় বিদিশা। ব্যাংকের রিজিওনাল ম্যানেজার পোষ্টে লোন ডিপার্টমেন্টের চাকুরীরতা বিদিশা পাবলিক লোনের ফাইলটা চেক করছিল। ঠিক তখনই বাইরের চিৎকার, চেঁচামেচি শুনে নিজেই বেরিয়ে আসে। সিকিউরিটি তখন চিৎকার রত ভদ্রলোকের বাহু ধরে বাইরে বের করে দেওয়ার জন্য টানাটানি করছেন। বিদিশা সেখানে পৌঁছেই জানতে চায়,
-- কী হয়েছে রমেশদা? এত চিৎকার কিসের জন্য?
রমেশ উত্তর দেওয়ার আগেই রমেশের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে বিদিশার মুখের দিকে তাকিয়ে হাত জোর করে ভদ্রলোকটি বলতে শুরু করে,
-- দেখুন না ম্যাম -- আ--মি ব -ল-ছি
ভদ্রলোক চুপ করে যান। জোর হাত দু'টো নিচুতে নেমে আছে। এক দৃষ্টে বিদিশার দিকে তাকিয়ে থাকেন।
বিদিশা নিজেও থতমত খেয়ে যায়। কোনদিন স্বপ্নেও ভাবেনি এভাবে আবার তার সাথে সুনীলের দেখা হবে। তাও এমন পরিস্থিতিতে। মুহূর্তেই নিজেকে সামলে নিয়ে বলে,
-- হ্যাঁ বলুন আপনি কী বলতে চাইছেন?
সুনীল কোন কথা না বলে চুপ করে থাকে। মাথাটা তার নিচুর দিকে। বিদিশা আগেই নিজেকে সামলে নিয়েছে। এবার সে সুনীলের দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে,
-- দেখুন এটা একটা অফিস। আপনিও নিশ্চয়ই কোথাও চাকরি করেন। সেই হিসাবে আপনি অবশ্যই জানেন অফিসের চার দেওয়ালের মধ্যে আপনি এসে চিৎকার,চেঁচামেচি করলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারি। কোন বিষয়ে সমস্যা আপনার হতেই পারে। আমার সহকর্মীরা আপনার সেই সমস্যা সমাধানের নিশ্চয় উপায় বলেছেন। তার পরেও আপনার এই আচরণ তারা মানতে পারেননি বলেই আপনাকে বের করে দিতে উদ্যোগী হয়েছেন। আমি আশা করবো আপনি আপনার ব্যবহারে ভদ্রতা বজায় রাখবেন।
সুনীল সে কথার উত্তর না দিয়ে বলে,
-- যদি ফোন নম্বরটা?
বিদিশা রমেশের দিকে তাকিয়ে বলে,
-- রমেশদা তুমি আমার সাথে এসো। একটা কার্ড এনে উনাকে দিয়ে দাও।
বিদিশা নিজের রুমের দিকে একটু দ্রুতপায়েই এগিয়ে যায়।
চলবে -
--
No comments:
Post a Comment