Wednesday, August 4, 2021

পক্ষপাতিত্ব ২

পর্ব ২

    যতদিন  নন্দিনী সংসারে  একা বৌ  ছিল  ঠিক  ততদিনই  সংসার  ছিল  সুখের  এবং  নির্ঝঞ্ঝাট | কিন্তু  মেজছেলের  বিয়ে  ঠিক  হওয়ার  পর  থেকেই  শ্বাশুড়ির  সাথে  তার  মতের  অমিল  হতে  শুরু  করে | তবে  একথা  অস্বীকার  করবার  কারো  ক্ষমতা  হবেনা  এ  সংসারে  নন্দিনী  প্রকৃতভাবেই   লক্ষ্মী  রূপেই  এসেছে | শুধু তার অতীতটা  অর্ণব ছাড়া বাড়ির অন্য কেউ জানেনা |  অর্ণব  আরও কয়েকটি নুতন   শোরুম  খুলেছে  , মেজোছেলে  তিনবছরের  মধ্যে  অফিসার  পদে  উন্নীত  হয়েছে  অদিতির  ভারত  পেট্রোলিয়াম  উচ্চপদে  চাকুরীরত  ছেলের  সাথে  বিয়ে  হয়েছে  এবং  সে  খুব  সুখেই  আছে | অদিতি  গ্রাজুয়েশন  শেষ  করে  বড়দার কথামত  বিএড  ট্রেনিংটা  নিয়েছিল  | ট্রেনিং  শেষের  মাস  ছয়েকের  মধ্যেই  সে  সরকারি  স্কুলে  একটি  চাকরিও  পেয়ে  যায় | যেহেতু  সবকিছুই  নন্দিনী  এই  বাড়িতে  ঢোকার  মুহূর্ত  থেকে  হয়েছে  তাই  সকলের  কাছে  'লক্ষ্মী  বৌ  লক্ষ্মী  বৌ '- শুনতে  শুনতে  তার  নিজের  মধ্যেও  কেমন  একটা  অহংকারবোধ  কাজ  করতে  থাকে | ভাবখানা  মাঝে  মাঝে  তার  এমন  প্রকাশ  পায় ' যেন  তোমরা  ভালোভাবে  খেয়েপরে  বেঁচে  আছো  সে  যেন  আমারই দান | 
  নন্দিনী  ও  অর্নবের  বিয়ের  পর  তারা  একদিন  রাতে  সিনেমা  দেখে  যখন  নিজেদেরই  গাড়িতে  উঠতে  যাবে  ঠিক  তখনই দুটি  ছেলে  তাদের  দিকে  এগিয়ে  আসে | তাদের  মধ্যে  একটি  ছেলে  নন্দিনীর  খুব  কাছে  এসে  দাঁড়িয়ে  সরাসরি  মুখের  দিকে  তাকিয়ে  বলে ,
--- এখন  বুঝতে  পারছি  বড়লোকের ছেলেকে  পেয়ে  আমার  সাথে  প্রেম  প্রেম  খেলাটা  কেন  বন্ধ  করে  দিলে | সুন্দরী  তকমা  তো  তোমায়  দেওয়া  যায়না  ; তাই  ভেবেছিলে  হয়তো  আমার  গলায়  ঝুলে  পড়বে | কিন্তু  হঠাৎ  করে  বড়  গাছে  নাও  বেঁধে  ফেললে | কপাল  মাইরি  তোমার ! এই  চেহারা  নিয়ে  বড়লোকের  বাড়ির  বৌ  হয়ে  গেলে |' অর্ণব প্রথমে    কিছুটা  হকচকিয়ে  গেলেও  পরে  বেশ  জোর  দিয়েই  বলে ,
--- বিয়ের  আগে  অনেকের  সাথেই  অনেকের  সম্পর্ক  গড়ে  ওঠে | সব  সম্পর্ক  ছাদনাতলা  পর্যন্ত  পৌছায়না | তাই  বলে  জীবনটা  তো  থেমে  থাকেনা |
--- আরে ব্যস এতো  দেবতার  মত  স্বামী  পেয়েছো | যাও সুখে  ঘরকন্যা  করো | আমি  আর  বিরক্ত  করবোনা | তবে আমার সাথে ঘটে যাওয়া কিছুটা সময় এই ভদ্রলোকটিকে তো বলতেই হবে | দেখো উনি ফিরিয়ে দিলে কিন্তু আমি ঠাই দেবোনা এটা মনে রেখো | 
এতক্ষণ নন্দিনী  স্বামীর  পিছনে ভয়ে  জড়সড়  হয়ে    দাঁড়িয়ে  ছিল | এবার  অর্নবের  ইশারা  পেয়ে  গাড়িতে  উঠে  চুপ  করে  বসে  থাকলো | রাস্তায়  তাদের  কোন  কথায়  আর  হলনা | নন্দিনী  এক  অজানা  আশঙ্কায় দুরুদুরু  বুকে  রাতে  বিছানায়  শুতে  গেলো | 
অর্ণব  তাকে  বললো ,
--- কিছু  কথা  ছিল  তোমার  সাথে |
নন্দিনীর  বুকটা  ধড়াস  করে  উঠলো | কোনরকমে  উচ্চারণ  করলো ,
--- হ্যাঁ বলো  ---
--- আজকে  যে  ঘটনা  ঘটেছে  বাড়ির  কেউ  যেন  না  জানে | তোমার  অতীতে  কি  ঘটেছিলো  তা  জানার  কোন  আগ্রহ  আমার  নেই | অতীত  একদিন  না  একদিন  ঠিক  মুছে  যায় | বর্তমান  আর  ভবিৎষত  নিয়েই  মানুষের  জীবন | এ  কটাদিনে এটুকু  অন্তত  বুঝতে  পেরেছি  আমার  প্রতি  তোমার  ভালোবাসার  কোন  খামতি  নেই | 
  নন্দিনী  হাউহাউ  করে  কাঁদতে  থাকে  | কাঁদতে  কাঁদতেই  বলে ,
--- খুব  বড়  একটা  অপরাধ  করেছি  | আমায়  তুমি  তাড়িয়ে  দিওনা  |
--- কি  এমন  অপরাধ  করেছো  --
নন্দিনী  পায়ের  উপর  আছড়ে  পরে  কাঁদতে  থাকে  | কাঁদতে  কাঁদতেই  বলে  ,
--- সেদিন  রাস্তায়  যে  ছেলেটি  আমাদের  পথ  আগলে  দাঁড়িয়েছিল  ওকে  আমি  ভালবাসতাম  | কিন্তু ও আমায় ভীষণভাবে ঠকিয়েছে | আমার ভালোবাসার সুযোগ নিয়ে ----   ওর  সন্তানই  আমার  গ ---কথা শেষ করতে পারেনা , নন্দিনী ডুকরে কেঁদে ওঠে 
অর্ণব  আঁতকে ওঠে | বহুক্ষণ সে  চুপচাপ  বসে  থাকলো  | নন্দিনী  তার  পায়ের  উপরেই  পরে  আছে  | তারপর  আস্তে  আস্তে  নিজেকে  কিছুটা  সামলে  নিয়ে  বলে  ,
--- পরিবারের  মানসম্মান  ধূলিসাৎ  হয়ে  যাবে  একথা  বাইরে  জানাজানি  হলে  | তুমি  যেমন  আছো  তেমনিই  থাকো  | শুধু  আমাকে  একটু  সময়  দাও  এসবকিছু  মানিয়ে  নিতে  | তারপর  আস্তে  আস্তে  নন্দিনীকে  পায়ের  উপর  থেকে  তুলে  ধীরপায়ে  ঘর  থেকে  বেরিয়ে  যায়  | আর  নন্দিনী  সেখানে  বসেই  সারাটা  রাত কেঁদেই  চলে  | কিন্তু এই বিশাল লজ্জার কথাটা আজীবন ধরে ভারী পাথরের মত অর্ণবের বুকের উপর চেপে বসে থাকলেও কোনদিন সে এ সম্পর্কে নন্দিনীকে কিছুই বলেনি |

  রান্নাঘরের  দায়িত্ব  শ্বাশুড়ি  বৌ  দুজন  মিলেই  পালন  করে | কিন্তু  যেদিন  থেকে  অভিকের  বিয়ের  জন্য  মেয়ে  দেখা  শুরু  হয়েছে  সেদিন  থেকেই  নন্দিনী  কারণে অকারণে শ্বাশুড়ির  সঙ্গে  একটু  মেজাজি  সুরেই  কথা  বলতে  শুরু  করে | প্রথম  প্রথম  অন্নদাদেবী  বুঝতে  না  পারলেও  সময়  যত এগোতে  থাকে  অভিজ্ঞ  অন্নদাদেবী  ব্যাপারটা  ধরে  ফেলেন |নন্দিনীর  প্রথম  সন্তান  অনুপের   বয়স  তখন  মাত্র  ছমাস | 
  অভিক  বিয়ে  করে  বৌ  নিয়ে  বাড়িতে  আসে | প্রথমে  অন্নদাদেবী  ও  পরে  নন্দিনী  বৌ  বরণ করে  ঘরে  তোলে | শ্বাশুড়ির  সাথে  হাতে  হাত  লাগিয়ে  নন্দিনী  সব  কাজ  করে  ঠিকই  কিন্তু  মুখটা  সে  মাঝে  মাঝে  হাড়ি  করেই  রাখে | শ্বাশুড়ি  একটু  ফাঁকা  পেয়ে  নন্দিনীকে  বললেন ,
--- আমি  এখনো  বেঁচে  আছি  বৌমা | তোমার  এতো  চিন্তার  কোন  কারণ  আমি  খুঁজে  পাচ্ছিনা  | হ্যাঁ অর্নবের  রোজগার  বেশি  বলে  তাকে  সংসারে  সিংহভাগটি  দিতে  হবে  তা  কিন্তু  নয় | তোমার  শ্বশুরমশাই  ভালো  টাকাই পেনশন  পান  | অভিকও  যে  মাস  থেকে  রোজগার  করতে  শুরু  করেছে  সেই  মাস  থেকেই  আমার  হাতে  সংসার  খরচের  টাকা  তুলে  দেয় | আগামীমাস  থেকে  সে  আরও বেশি  দেবে  আমার  সাথে  কথা  হয়েছে | আর  সংসার  খরচ  থাকে  আমার  কাছে | তোমার  তো  এসব  নিয়ে  ভাবার  কোন  কারণ নেই  | আর  আমি  কোন  অবস্থাতেই  অর্নবের  কাছে  বাড়তি  কোন  টাকা  চাইবোনা | 
ধরা  পরে  গিয়ে  নন্দিনী  কিন্তু  কিন্তু  করে  জবাব  দিলো ,
--- আমি  এসব  কিছু  ভাবিনি  মা --- |
অভিজ্ঞ  আনন্দাদেবী  এ  নিয়ে  কথা  না  বাড়িয়ে  শুধু  ছেলে বৌয়ের  মুখের  দিকে তাকিয়ে  একটু  হাসলেন | 
  নন্দিনীর  বাপের  বাড়ি  থেকে  তার  বৌভাতের  দিন  সেরকম  কোন  তত্ত্বই  আসেনি  বলতে  গেলে | কিন্তু  তা  নিয়ে  ব্যানার্জী  বাড়ির  আত্মীয়স্বজনেরা  বা  পাড়াপ্রতিবেশী  অন্নদাদেবীর  আড়ালে  আবডালে  সমালোচনা  করলেও  তার  সামনাসামনি  কেউই  মুখ  খুলতে  পারেনি কোনদিন  | কিন্তু  মেঝবৌয়ের  বাপের  বাড়ি  থেকে বিশাল  পরিমানের   তত্ত্ব  আসার  সাথে  সাথেই  বড়  বৌ  আর  মেঝবৌয়ের  বাপেরবাড়ির  মন  মানসিকতা  নিয়ে  পাঁচ  বছর  পরে  আলোচনা  শুরু  হয়ে  যায় | বড়বৌ  সেখানে  কথার  প্রতিবাদ  করতে  গেলে  তার  শ্বাশুড়ি  এসে  তাকে  এসবের  ভিতর  জড়াতে  নিষেধ  করেন  ও  সেখান  থেকে  চলে  যেতে  বলেন | নন্দিনী  সেখান  থেকে চলে  যাওয়ার  পর  অন্নদাদেবী  সকলের  উদ্দেশ্যে  বলেন ,
--- আমার  দুই  বৌমার  বাপেরবাড়ির  কারো  কাছ  থেকেই  আমরা  কোনকিছু  দাবি  করিনি | তারা  তাদের  ক্ষমতা  অনুযায়ী  কিছু  জিনিস  পাঠিয়েছেন | আমার  তো  কোনকিছুর  অভাব  নেই  | আমি  চাইনা  এসব  নিয়ে  আমার  বৌদের  মধ্যে  কোনরকম  তুলনা  করা  হোক  | অদিতি  যেমন  আমার  মেয়ে  আমার  বৌমারাও  আমার  মেয়ে  | আর রুচিরাকেও আমরা নিজ সন্তানের মতই মানুষ করেছি | পরের মেয়ে বলে আমাদের বাড়িতে কোন কথা নেই | তোমরা  এসব  নিয়ে  আলোচনা  করে  এই  আনন্দানুষ্ঠানটাকে  মাটি  করে  দিওনা |
নন্দিনীর  ছেলে  অনুপ  প্রথম  দিন  থেকেই  তার  মেঝমার  ভক্ত  হয়ে  ওঠে | অতটুকু  ছেলে  সে  তার  মায়ের  কাছ থেকে অবজ্ঞা আর অবহেলা পেতে পেতে মেজমায়ের কাছ থেকে মাতৃস্নেহ পেয়ে তাকেই সে আঁকড়ে  ধরেছিল |  শুধুমাত্র  রাতে  কয়েকঘন্টার  জন্য  সে  তার  মায়ের  কাছে  যেত | তাও সে  ঘুমিয়ে  থাকতো  তার  মেজমায়ের  কাছেই | রাতে  শুতে  যাওয়ার  সময়  নন্দিনী  তার  কাছে  কোন কোন দিন চক্ষুলজ্জার খাতিরে হয়তো   নিয়ে  যেত | প্রথম  থেকেই মেজ বউ রমার  প্রতি  এক  তীব্র  হিংসা  থেকে  আর  তার  ছেলে  অনুপের  তারপ্রতি  প্রচন্ড  ভালোবাসা  দেখে  আস্তে  আস্তে  তার  পেটের সন্তানের  প্রতিই ভালোবাসা  কমতে  থাকে | সাথে থাকে ছেলেকে  নিয়ে  জ্যোতিষীর  ভবিৎসৎবাণী  | ইতিমধ্যে  নন্দিনী  আবার  প্রেগন্যান্ট  হয়ে  পরে | ছেলেকে  নিয়ে  শুতে  নন্দিনীর  অনীহা  দেখে  অন্নদাদেবী  অনুপকে  নিজেই  নিয়ে  শুতে  শুরু  করলেন | আর  অনুপের  মেজোমা  তো  আছেই  | তখন  অনুপের  বয়স  তিন  কি  সাড়ে  তিন  হবে | হঠাৎ  একদিন  তার  খুব  ইচ্ছা  হল  মায়ের  কাছে  শোবে | ঠাকুমা  ঘুমিয়ে  গেলে  রাতে  এসে  মায়ের  দরজার  কাছে  ' মা  আমি  আজকে  তোমার  কাছে  শোবো, দরজাটা  একটু  খোলো  না  -- ওমা  শুনছো ?' কিন্তু  নন্দিনী  কিছুতেই  তার  ছেলেকে  দরজা  খুলে  তার  বুকের  কাছে  নিয়ে  শুলোনা | অনুপের  দুচোখ  দিয়ে  তখন  টপটপ  করে  জল  পড়ছে , চিৎকার  করে  সে  মা  মা  করে  কাঁদছে  ---
পাশের  ঘর  থেকে  বেরিয়ে  আসলো  তার  মেজোমা | অনুপকে  বুকে  চেপে  মুখে  চুমু  খেয়ে  তার  চোখের  জল  মুছিয়ে  দিয়ে  বললো ,' আজ  থেকে  তুই  আমার  কাছেই  শুবি | অতটুকু  বুকে  মায়ের  দেওয়া  এ  আঘাত  ভীষণভাবে  চেপে  বসলো | যার  ফলশ্রুতিতে  অনুপ  কোনদিনও  আর  মায়ের  কাছে  আর   ফ্রী হতে  পারলোনা | 

  অনুপের  জন্মের   পর  তার  কুষ্ঠীবিচার করতে  নন্দিনী  এক  জোতিষীর কাছে  গেছিলো | জোতিষী  অনুপের  জম্মছক  অনেকক্ষণ ধরে  দেখেশুনে  বলেছিলেন ,
--- ছেলে  তোমার  খুবই  ভাল  হবে  মা | জীবনে  রোজগারপাতি  তেমন  না  হলেও  জীবন  ঠিকই  কেটে  যাবে | উত্তরাধিকার  সূত্রে  তো  কিছু  সে  পাবেই | তবে  সে  বিদ্যান , বিজ্ঞ তীক্ষ্ণবুদ্ধি  সম্পন্ন , ও  শত্রুপরাভবকারী  হবে | এখানে  একটা  কথা  আছে  মা  | তুমি  তার  মা  কিভাবে  কথাটা  বলবো  সেটাই  ভাবছি  | আমার  গণনা  আজ  পর্যন্ত  ভুল  প্রমাণিত  হয়নি |
--- আমার  ছেলের  কি  কোন  ফাঁড়া আছে  বাবা  ?
--- না  না  কোন  ফাঁড়া নেই  | এই  সমস্যাটা  ঠিক  ছেলেকে  নিয়ে   নয় | সমস্যাটা  তোমাকে  নিয়ে  | আর  এ  সন্তান  তো  ---
--- হ্যাঁ বাবা  আমার  স্বামী  ছাড়া  এ  কথা  আর  কেউ  জানেনা  |
জোতিষী  নিজমনেই  বিড়বিড়  করেন  ,' সন্তানের  জীবনে  মা  তার  শত্রু  ?'
--- আমি  ঠিক  বুঝলামনা  বাবা  --
--- এতো  বয়স  হল  আমার  | জীবনে  অনেকের জন্মছক করেছি | কিন্তু  তোমার  ছেলের  ছকের মত  কোন  ছক আমার  হাতে  পড়েনি | 
--- বাবা  আমাকে  একটু  খুলে  বলুন | আমি  কিছু  বুঝতে  পারছিনা |
--- মনকে  শক্ত  করো  মা | আমি  যেটা  বলবো  তার  অন্যথা  করবেনা | এখন  থেকেই  তোমাকে  এ  যুদ্ধ  চালিয়ে  যেতে  হবে | কারণ সন্তানসুখ  প্রতিটা  বাবা  মায়েরই  কাম্য  | কিন্তু  সেই  সুখ  যদি  বাবা  বা  মায়ের  কারণেই  নষ্ট  হয়ে  যায়  তার  থেকে  কষ্টের  আর  কিছু  থাকতে  পারেনা | এখানে  তোমার  ছেলের  ছকে আমি  যা  দেখছি  তাতে   তোমার  ছেলের  বিবাহিত  জীবনে  তুমিই  হচ্ছ  তার  সুখের  পথের  অন্তরায় | মানুষের  কর্মফল  মানুষকে  কোথায়  নিয়ে  যায়  কেউ  বলতে  পারেনা  |
--- কি  বলছেন  আপনি  বাবা ? তা  কি  করে  সম্ভব ?
--- এটাই  সত্যি | হয়তো  তুমি  মনেপ্রাণে  তা  চাইছোনা  কিন্তু কোন এক  অলৌকিক  জাদুবলে  তুমি  তাইই করবে  আর  এখানেই  মানুষের  অসহায়তা  | ভাগ্যকে  কেউ  খন্ডন  করতে  পারেনা  |

ক্রমশঃ

No comments:

Post a Comment