প্রায়শ্চিত্ত
নন্দা মুখাৰ্জী রায় চৌধুরী
হঠাৎ করেই সোহিনীর সাথে রজতের মায়ের দেখা হয়ে গেলো প্রায় বছর পাঁচেক বাদে | সোহিনী তার পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে শপিং করতে বেরিয়েছে | শোভনাদেবীই প্রথম সোহিনীকে দেখতে পান | গাড়ির দরজা খুলে যখন উঠতে যাবে ঠিক সেই মুহূর্তে নিজের নাম ধরে কেউ ডাকছে শুনে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে একজন বয়স্কা ভদ্রমহিলা হাত তুলে তাকে ডাকতে ডাকতে তার দিকেই এগিয়ে আসছেন | প্রথম অবস্থায় সোহিনী তাকে চিনতে পারেনি | তিনি কাছে এসেই সোহিনীকে জড়িয়ে ধরে বললেন ,
--- চিনতে পারছোনা আমায় ?
--- না ঠিক ---
--- আমি রজতের মা | আসলে তুমি তো আমায় একদিনই দেখেছো , না চেনারই কথা |
--- আপনিও তো আমায় একদিন দেখেছেন |
নিচু হয়ে প্রণাম করতে করতে বলে ,
--- কেমন আছেন মাসিমা ? একা একা বেড়িয়েছেন ? নাকি সাথে কেউ আছে ?
--- সাথে কে আর থাকবে ? ড্রাইভারের সাথে বেড়িয়েছি মাস -কাবাড়ি সব জিনিস কিনতে |
ওদের কথার মাঝে গাড়িতে বসে থাকা সোহিনীর ছেলে চিৎকার করে বলে উঠলো ,
--- মা বাড়ি চলো আমার খেলনাগুলো পুরনো হয়ে যাচ্ছে তো --- বাড়ি গিয়ে খেলবো তো |
শোভনাদেবী গাড়ির ভিতর উঁকি দিয়ে বাচ্চাটিকে দেখে বেশ ঘাবড়ে গেলেন | হঠাৎ করেই তিনি ঘামতে শুরু করলেন |
--- মাসিমা , আপনার কি শরীর খারাপ করছে ?
--- এটা তোমার ছেলে --- ?
আর কোন প্রশ্ন করার সুযোগ না দিয়ে সোহিনী বলে উঠলো
--- ছেলেটা খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বাড়ি ফেরার জন্য ---
--- কিন্তু আমার যে অনেককিছু বলার আছে তোমাকে --- অনেককিছু শোনারও আছে |
--- আজ না মাসিমা | পরে একদিন ---
শোভনাদেবী হঠাৎ সোহিনীর হাতদুটো ধরে প্রায় কাঁদোকাঁদো স্বরে বললেন ,
-- একদিন আমার বাড়িতে আয় মা কথাদিচ্ছি আমি আর তোর অসম্মান করবোনা |
--- এভাবে কেন বলছেন ? আমি সময় পেলেই যাবো | ব্যাগের থেকে একটা কার্ড বের করে এগিয়ে দিয়ে বললো এখানে আমার ফোন নম্বর আছে | দরকার মনে করলে ফোন করবেন |
বলেই গাড়িতে উঠে স্টার্ট দিলো | শোভনাদেবী গাড়িটা যতক্ষণ দেখা যায় সেদিকে তাকিয়ে থাকলেন |
বাড়িতে ফিরেই তিনি আলমারি খুলে পুরনো একটা পুরনো এলবাম নিয়ে বসেন | ভিতর থেকে তার একমাত্র ছেলে রাজুর পাঁচ বছরের জম্মদিনের ছবিটা নিয়ে একদৃষ্টে ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকেন | ভাবতে থাকেন আজ সোহিনীর সাথে যে বাচ্চাটিকে দেখলাম সে তো পুরো রাজুর ছেলেবেলার মত দেখতে | তাহলে কি ----?
--- রাজু , তোর জন্য একটা মেয়ে দেখেছি | খুব সুন্দর দেখতে রে | বাংলায় এমএ করেছে | আমার ইচ্ছা এবার তোর বিয়ে দেবো |
--- মা , অফিস বেরোনোর সময় এ কি শুরু করলে ?
--- আরে তোকে তো আমি পাই ই না | এখন বেরোবি আর ফিরবি সেই রাতে | ক্লান্ত হয়ে ফিরিস | মুখটা তোর শুকিয়ে যায় | এসব নিয়ে কি তখন কথা বলা যায় এখনই তো একটু কথা বলতে পারি তোর সাথে |
--- এসব নিয়ে ছুটির দিনে আলোচনা করবো এখন আমি বেরোচ্ছি মা |
অফিসের গাড়ি এসে রোজ রজতকে নিয়ে যায় | সে একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে উচ্চপদে কর্মরত | কিছুদিন ধরেই বলবে বলবে করেও সোহিনীর কথা মাকে বলা হয়ে ওঠেনি | এদিকে সোহিনীও খুব চাপ দিচ্ছে | সেদিন ফোন করে যে কথা সে জানালো এক্ষুণি এক্ষুণি মাকে সব খুলে বলা দরকার | যে আসছে সেতো সোহিনী আর তার ভালোবাসার ফসল | তাকে কিছুতেই সে অস্বীকার করতে পারবেনা |
সোহিনী খুব সাদামাটা মেয়ে | বাবা , মাকে ছোটবেলাতেই হারিয়েছে | নিঃসন্তান মামা, মামী তাকে বুকে আগলে মানুষ করেছেন | কলেজ স্যোসালে দুবছরের জুনিয়ার সোহিনীকে দেখে প্রথম দিনই খুব ভালো লেগে গেছিলো রাজু ওরফে রজত চক্রবর্তীর | তারপর একটু একটু করে কাছে আসা | মামা ,মামী দুজনেই ব্যাপারটা জানতেন | তারা কোন আপত্তি করেননি | মাঝে মধ্যেই অফিস ছুটির পর বা ছুটিরদিনে রজত সোহিনীর কাছে গেছে | কিন্তু সেদিন রজত সোহিনীদের বাড়িতে গিয়ে দেখে তার মামা , মামী বাড়িতে নেই | টিপটিপ বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সে ওদের বাড়ি ঢুকেছিলো | একটু পরে শুরু হল মুষলধারে বৃষ্টি | বাইরে মেঘের গর্জন আর বৃষ্টিধারার আওয়াজ অন্যদিকে ঘরের ভিতরের নির্জনতা ভালোবাসার মানুষদুটিকে কাছে আনতে বিন্দুমাত্র সময় নেয়নি | কিছুক্ষণের জন্য দুজনেই ভেসে গেছিলো প্রেমের জোয়ারে যার ফলস্বরূপ সোহিনী এখন দুমাসের সন্তানসম্ভবা | এই ঘটনার কিছুদিন পর সোহিনী কাঁপা কাঁপা স্বরে রজতকে ফোন করে জানিয়েছিল যে সে মা হতে চলেছে | রজত সেদিনই অফিস ছুটির পর ছুটে গেছিলো সোহিনীর কাছে | সোহিনীকে কথা দিয়ে এসেছিলো একমাসের মধ্যে তাকে বিয়ে করে সে ঘরে তুলবে | এ সন্তান তাদের ভালোবাসার প্রথম চিহ্ন | তাকে তো পৃথিবীর আলো দেখাতেই হবে |
কিন্তু ছেলে কিছুতেই তার পছন্দ করা মেয়ে বিয়ে করতে রাজি হয়না দেখে তিনি রাজুকে চাপ দিয়ে জানতে পারেন সে একজনকে ভালোবাসে | প্রথমে রেগে গেলেও পরে শান্ত হয়ে তিনি ব্যাপারটা মেনে নেওয়ার ভান করে সোহিনীর বাড়ির ঠিকানা জেনে নেন | পরদিন ছেলে অফিসে বেরোলে তিনিও বেরিয়ে পড়েন সোহিনীদের বাড়ির উদ্দেশ্যে | সেখানে পৌঁছে তিনি নিজের পরিচয় দেন এবং একাকী সোহিনীর সাথে কথা বলতে চান | সোহিনীর মামা , মামী এতে অমত করেননা কারণ কোন খারাপ চিন্তা তাদের মাথায় আসেনি | সোহিনীর সাথে কথা বলতে তার আধাঘন্টার মত সময় লেগেছিলো | তারপর তিনি বিজয়িনীর হাসি হেসে সে বাড়ি ত্যাগ করেছিলেন |
সোহিনী ঘরে ঢুকেই সোফায় নিজেকে এলিয়ে দিলো | মিথিলা এসে জানতে চাইলো ,
--- দিদিমনি চা বা কফি কিছু দেবো ?
--- একটু পরে | তুই যা রাজাকে জামাকাপড় ছাড়িয়ে দে |
--- ওতো এসেই খেলনা নিয়ে বসে পড়েছে |
--- আচ্ছা ঠিক আছে | এখন আমাকে একটু একা থাকতে দে |
চোখ বুজে সোফার উপর শুয়ে সেদিনের রজতের মায়ের কথাগুলো মনে পড়লে আজও বুকের ভিতর ঝড় বয়ে যায় | রজতের মা এসেছেন শুনে তার মনে খুশির বন্যা বয়ে গেছিলো | সে ভেবেছিলো রজত তার মাকে সব জানিয়ে তার মামার কাছে পাঠিয়েছে বিয়ের ফাইনাল কথা বলতে | আলাদা একটা ঘরে দুজনে যখন মুখোমুখি সোহিনী তখন নিচু হয়ে শোভনাদেবীকে প্রণাম করে |
--- থাক থাক | আমার হাতে বেশি সময় নেই | গুটিকয়েক কথা তোমায় বলতে এলাম | আমার রাজুকে আমি অনেক কষ্ট করে মানুষ করেছি | ওকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন | হঠাৎ করে তুমি আমাদের মধ্যে ঢুকে সে স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারোনা | আমি দেখেশুনে আমার রাজুর বিয়ে দেবো | রাজুকে যদি সত্যিই তুমি ভালোবেসে থাকো তাহলে তার দিব্যি দিয়ে তোমায় আমি বলছি ওর জীবন থেকে তুমি সরে যাও | তুমি যদি ওর সামনাসামনি আর হও তাহলে রাজুর মরা মুখ দেখবে |
--- মাসিমা , আপনি ওর মা হয়ে একথা মুখে আনলেন কি করে ?
কাঁদতে থাকে সোহিনী |
--- তোমার এই চোখের জলে আমায় ভুলাতে পারবেনা | তোমাদের মত মেয়েদের আমার ভালোভাবেই জানা আছে | টাকাপয়সা যদি কিছু চাও তো বলো --- সবকিছু আমি দিতে রাজি আছি |
সোহিনী পাথর হয়ে ভদ্রমহিলার কথা শুনছিলো | কোন কথা তার মুখে আর আসছিলোনা | উনি বকবক করেই চলেছিলেন কিন্তু সোহিনীর কানে সে কথা ঢুকলেও মস্তিস্ক পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছিলোনা | একসময় তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে যান | কি ঘটে গেলো সোহিনী কিছুই বুঝতে পারলোনা | শোভনাদেবী চলে যাওয়ার পর তার মামা , মামী তার অন্ধকার ঘরে ঢুকে দেখে সে জ্ঞান হারিয়ে খাটে পরে আছে |
কিছুক্ষণ পর তার জ্ঞান ফিরলে সে সবকথা তার মামা , মামীকে জানায় | সে এও বলে রজতের সন্তান তার গর্ভে | প্রথম অবস্থায় স্বামী , স্ত্রী ঘাবড়ে গেলেও পরে মাথায় হাত বুলিয়ে তাদের আদরের সোনার কাছে জানতে চান সে কি চায় | সোহিনী তাদের জানায় সে এই সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাতে চায় | মামা তাকে আস্বস্ত্ব করেন যেভাবেই হোক সাতদিনের মধ্যে তারা এখান থেকে চলে যাবেন আর সেও তার সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাবে |
তারপর জীবনের নানান ওঠাপড়া পেরিয়ে নিজের যোগ্যতায় সে আজ রেলের একজন উচ্চপদস্থ কর্মচারী | তার জীবনে এই ভাঙ্গাগড়ায় মামা আর মামী সবসময় তার পাশে থেকেছেন | সবসময় তারা সোহিনীর ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন | সোহিনী তার জীবনে ঘটে যাওয়া কোন কথাই তাদের কাছে লুকায়নি | অথচ আজকে ঠিক এই মুহূর্তটাই তারা দুজনেই তার কাছে নেই | চিকিৎসার কারণে দুজনেই ভেলোর গেছেন | ফোনে সবকথা বলা ঠিক হবেনা মনে করে সে | আসলেই সবকিছু জানাবে আর এও জানতে চাইবে রজতের মায়ের কথানুযায়ী তাদের বাড়িতে যাওয়া ঠিক হবে কিনা |
ছবছর আগে রজত অফিস থেকে ফিরে তার মায়ের কাছে জানতে চেয়েছিলো তিনি সোহিনীদের বাড়িতে গিয়েছিলেন কিনা | কিন্তু শোভনাদেবী ঘটনাটা সম্পূর্ণভাবেই তার কাছে চেপে গেছিলেন | অফিসের নানান ঝামেলায় দুদিন তাদের বাড়িতে যাওয়ার সুযোগও হয়নি | যতবারই ফোন করেছে সুইচ অফ পেয়েছে | তৃতীয়দিন অফিস থেকে একটু তাড়াতাড়িই বেরিয়ে সেখানে পৌঁছে দেখে বিশাল বাড়ির গেটে বেশ কয়েকটি তালা দেওয়া | কলকাতা শহরের একবাড়ির খবর অন্য বাড়ির লোকেরা রাখেনা | রজতও সোহিনীদের এই হঠাৎ অন্তর্ধানের কোন খবর পেলোনা যখন তখন মাকেই সে দোষী সাবস্ত করলো | বাদানুবাদ ঝগড়াঝাটির পর তিনি একসময় স্বীকার করতে বাধ্য হলেন ও বাড়িতে তিনি গেছিলেন | শুধু তাই নয় ছেলেকে তিনি একথাও জানালেন যা তিনি করেছেন তা তার ভালোর জন্যই | ফলস্বরূপ রজত তিনমাসের মধ্যে বদলি হয়ে মুম্বাই চলে যায় | কিন্তু এই তিনমাসে সে অনেক চেষ্টা করেও সোহিনীর কোন খবর জোগাড় করতে পারেনি | যাবার আগে সে মাকে বলে যায় ,
--- তুমি শুধু আমার আর সোহিনীর জীবনই নষ্ট করোনি সাথে আর একজনের জীবনও নষ্ট করেছো যে এখনো পৃথিবীর আলোও দেখে পারেনি | আমি জানিনা আদতেও সে পৃথিবীতে আসবে কিনা |
একথা শুনে শোভনাদেবী পুরো চুপসে যান | কিন্তু ক্ষমা চাওয়া বা ভুল শুধরে নেওয়ার কোন পথই আজ আর খোলা নেই | সেই থেকে যখনই তিনি বাইরে বেরোন তার চোখ , কান খোলা রেখেই সোহিনীকে খুঁজে বেড়ান | তার রাজু তার প্রতি দায়িত্ব পালনে কোন কার্পণ্য করেনা | মাস পড়লেই সে টাকা পাঠিয়ে দেয় | একজন সর্বক্ষণের কাজের লোক আর গাড়ির ড্রাইভার এই তার সংসার | ছেলে আর কখনোই মায়ের কাছে আসেনি |
মনে নানানরকম সংশয় নিয়ে ব্যাগ থেকে সোহিনীর দেওয়া কার্ডটা বের করে তার নম্বরে ফোন করেন | সোহিনী ফোনের কাছে না থাকায় তার ছেলেই ফোন ধরে '' হ্যালো " বলে |
--- তুমি কে বলছো দাদুভাই
--- আমি ?আমি তো রাজা | তুমি কে বলছো ?
--- আমি তোমার ঠা --- একটা দিদা বলছি |
--- আচ্ছা দাদুভাই তোমার বাবার নামটা কি ?
--- আমার বাবার নাম ----
কথাটা রাজা শেষ করতে পারেনা সোহিনী ঢুকে তার হাত থেকে ফোনটা নিয়ে বলে ,
--- কতদিন না বলেছি ফোন আসলে আমায় ডেকে দেবে নিজে রিসিভ করবেনা |
শোভনাদেবী জানতে চাইলেন তারা কবে তার বাড়িতে আসবে | উত্তরে সোহিনী তাকে জানালো মামা , মামী বাইরে আছেন তারা ফিরলে যাবে |
শোভনাদেবী ভিতরে ভিতরে অস্থির হয়ে উঠতে লাগলেন | আজ তিনি নিজের কৃতকর্মের জন্য ভীষণভাবে অনুতপ্ত | তাই তিনি এক ফন্দি আঁটলেন |
--- হ্যাঁ রাজু ? আমার আজ কয়েকদিন ধরে বুকের বাদিকটা ব্যথা হচ্ছে | পাশের বাড়ির তোর মাসিমা এই নম্বরটা দিলেন | কয়েকবার ফোন করলাম কেউ ধরলোনা | তুই একটু চেষ্টা করে দেখতো বাবা ডক্টরবাবুকে পাস কিনা | নম্বরটা লিখে নে --
--- আমি এক্ষুণি কল করছি | কিন্তু খুব অসুবিধা হলে ড্রাইভারকে নিয়ে তুমি নিজেই নার্সিংহোম চলে যেও ---
কিন্তু পুরো কথা শোনার আগেই শোভনাদেবী ফোন কেটে দিয়েছেন | যে সমস্যা তিনি নিজেই তৈরী করেছিলেন আজ তার সমাধান করতে তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞবদ্ধ |
তারপর রজত সোহিনীর নম্বরে ফোন করে ডক্টরের খোঁজ |
--- না এটা কোন ডক্টরের নম্বর নয় | আপনার গলাটা খুব চেনা লাগছে |
--- আমারও আপনি কে বলছেন ?
আর ঠিক তখনই সোহিনী বুঝতে পারে এটা রজত | সঙ্গে সঙ্গেই ফোন কেটে দিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরে | তারপর রজতের চার থেকে পাঁচবার ফোন | কিন্তু সোহিনী রিসিভ করেনা | তখন ম্যাসেজ | সোহিনী বাধ্য হয় রজতের ফোন ধরতে |
দিন তিনেকের মধ্যে রজত ফিরে আসে | আর শোভনাদেবী নিজে পছন্দ করে লাল টুকটুকে লালবেনারসি কিনে এনে সোহিনীকে পরিয়ে দুধ আলতায় পা ডুবিয়ে দাদুভাই সমেত তার ঘরের লক্ষ্মীকে বরণ করে ছবছর পরে তার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেন |
No comments:
Post a Comment