নিকিতা কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে অতনুর এই অদ্ভুত কাজকর্ম দেখে অকারনেই কেন যেন ক্ষেপে যায়!কিছুতেই সে মাথায় আনতে পারে না কেন এই মানুষটার এইসব কাজকর্ম বা তাকে সাহায্য করার পরেও সে মেনে নিতে পারছে না।বিনা কারণেই লোকটার প্রতি দিনকে দিন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সে। অকূল সমুদ্রে সাঁতার কেটেও এই প্রশ্নের কোন মীমাংসা সে করতে পারে না।প্রথম থেকেই নিকিতার এই অতনুকে দেখলেই শরীরে অদ্ভুত এক ইরিটেশন হয়।
পুরনো কিছু ঘটনা -
সুভাষ রায় বাবা,মায়ের কথামত ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পড়তেই কামিনীকে নিজের অমতে বিয়ে করতে বাধ্য হয়।গ্রামের ছেলে কলকাতা শহরে থেকে পড়াশুনা করছিলো।হঠাৎ বাবার ফোন পেয়ে গ্রামে গিয়ে শোনে বাবা তার বিয়ে ঠিক করেছেন।একমাত্র সন্তান।একটু বেশি বয়সে সুভাষ রায় তার মায়ের কোলে আসেন।কলকাতা সম্পর্কে নানান কথা শুনতে শুনতে স্বল্প শিক্ষিত সুভাষের বাবা ভয় পান তার ছেলে কোন মেয়ের পাল্লায় পড়লে তার লেখাপড়ায় ব্যাঘাত হবে।তাই স্বামী,স্ত্রী দু'জনে পরামর্শ করে গ্রামের মাধ্যমিক পাশ করা দেখতে শুনতে মন্দ নয় এমন একটি মেয়ের সাথে বিয়ে ঠিক করে ছেলেকে ডেকে এনে বিয়ে দেন।
ঘটনার আকস্মিকতায় সুভাষ প্রথমে কিছুটা ঘাবড়ে গেলেও বাবার সাথে তর্কে পেরে না উঠে শেষ পর্যন্ত বিয়ে করতে কামিনীকে বাধ্য হয় কারণ বাবার কথা অগ্রাহ্য করলে উচ্চাকাঙ্খী সুভাষের পড়াশুনাটাই হয়ত বন্ধ হয়ে যাবে।কারণ সে ভালো করেই জানে তার বাবা প্রচণ্ড জেদী।
তখন সুভাষের ইঞ্জিনিয়ািংয়ে তৃতীয় বর্ষ।
প্রথম থেকেই সুভাষ কামিনীকে মন থেকে মেনে নিতে না পারলেও যুবক ছেলের শারীরিক সম্পর্কে কোন অনীহা দেখা যায় না।বিয়ের পর সুভাষ যে কটাদিন বাড়িতে ছিলেন প্রতিদিনই প্রায় দু থেকে তিনবার সে কামিনীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক লিপ্ত হয়।অথচ সে কামিনীকে একটুও ভালো বাসতে পারেনি এই কটাদিনে।বিয়ের সাতদিন পর সুভাষ যথারীতি কলকাতা চলে আসেন।
ক্রমশ -
No comments:
Post a Comment