গতকাল রাতে দক্ষিণী একটা মুভি দেখতে গিয়ে নিকিতার ঘুমাতে অনেকটা দেরি হয়ে গেছিলো।তাই আজ অ্যালার্ম বাজলেও তার ঘুম ভাঙ্গেনি।
একটা নামী কোম্পানির কর্পোরেট অফিসে বেশ উচ্চ পদে আছে নিকিতা।একাই থাকে ফ্ল্যাটে।দুবছর হল এই এক কামরার ফ্ল্যাটটা কিনেছে সে ব্যাঙ্গালোর।অবশ্য তার বাবা দিয়েছেন অর্ধেক টাকা।মা,বাবা আর ভাই কলকাতা থাকে।বছর চারেক সে কলকাতায় কোন একটা নামী কোম্পানির হয়ে কাজ করেছে।উচ্চাকাঙ্খী নিকিতা চেষ্টা চালিয়ে গেছে বেটার কিছু পাওয়ার আশায়।এই চাকরিটা যখন ব্যাঙ্গালোর হয় তখন বাড়ির সকলের অমত ছিলো একা একা এত দুর কি করে থাকবে।তারপর অবশ্য সে সকলকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে।
রোজ ন'টায় অফিস বেরোয় নিকিতা।কিন্তু আজ এত দেরিতে ঘুম ভাঙ্গলো সঠিক সময়ে অফিস পৌঁছাতে পারবে বলে তার মনেই হয় না।উঠেই তাড়াহুড়ো লাগিয়ে দিলো।তারমধ্যে দু, দু'বার আবার বাড়ির ফোন।রোজ অফিস যাওয়ার আগে ডিম,আলু সেদ্ধ দিয়ে ভাত খেয়ে যেতেই হয় মায়ের হুকুম।একবেলা অন্তত ভাত না খেলে নাকি মায়ের কথা অনুযায়ী শরীর দূর্বল হয়ে যাবে।কিন্তু আজ আর মাতৃ আদেশ পালন করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।তাড়াহুড়ো করে একটু জল গরম করে গুঁড়ো দুধ গুলে কনফ্লেক্স খেয়েই ছুটলো অফিসে।অনেকবার চেষ্টা করেছে একটা উবের বুক করতে।তিন তিনবার ক্যানসেল হল।শেষে অধৈর্য হয়ে বাসেই উঠে পড়লো।কিন্তু বাসটায় ভিড়ের চোটে পা দানিতেই পা দেওয়ার উপায় নেই।ভিতরে ঢোকা তো দুরস্ত!নিকিতার মনেহচ্ছে আজ অফিসে না গেলেই বোধহয় ভালো হত কারণ যে কোন মুহুর্তে পাদানি থেকে ও পড়ে যেতে পারে।হঠাৎ মনেহল কেউ যেন তার পিছন দিক থেকে একটা হাত দিয়ে তাকে ব্যারিকেড করে রেখেছে যাতে সে পড়ে না যায়।কিন্তু মাথা ঘুরিয়ে দেখার কোন সুযোগ নেই।কিছুদূর এইভাবে যাওয়ার পর বাসটা একটু যেন ফাঁকা হল মনেহল।নিকিতা বাসের ভিতরে ঢুকেই তার রক্ষাকারীকে খোঁজার চেষ্টা করতে লাগলো।বাসের এদিকওদিক খুঁজে হঠাৎ তার নজরে আসলো একটু দূরে ভীড়ে ঠাসা বাসে পরিচিত একটি মানুষের পিছনের দিকটি।কিন্তু ও কেন আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করবে? ওকে তো আমি কালকেও ----।
ক্রমশঃ
No comments:
Post a Comment