আমার পিসিমা দিদি নিয়ম কোরে রোজ দুবার ফোন করে সকাল দশটা থেকে এগারোটা আর সন্ধ্যা ছটা থেকে আটটা কিন্তু হঠ্য়াত কোরে রাত পৌনে বারোটা নাগাদ দিদির ফোনটা আসায় অজানা আসংখায় মনটা ভারী হয়ে গেল l ফোনের অপর প্রান্ত থেকে দিদি যা বলল প্রথমে বিশ্বাস করতেই পারিনি lার একমাত্র পিসিমা আর নেই সকলের মনিপিসী আমার মনিপিসীমl...
আমার জন্মের আগ ই পিসিমার বিয়ে হয়ে গেছিল l দিদিদের মুখে শুনেছি বিশাল বড় বাড়ি জমিজমা এবং রাজপুত্রের মতো দেখতে ছিলেন আমার পিসেমশাই l জমিদার বংশের মেয়ে (র বাপের বাড়ির পদবী রায় চৌধুর ) িয়ে হয়েছিল তার ই সমান একটি পরিবারের সাথে বিয়ের পর এক দু বছর বেশ সুখী ছিলেন পিসিমা l একটি পুত্র সন্তান ও হয়েছিল l কিন্তু ছয় দিনের মাথায় সে মারা যায় l তারপর আর কোনো সন্তান তার হয় নি সমস্যার শুরু এখান থেকেই.. পিসিমার শ্বশুর শাশুড়ি পিসিমাকে যথেষ্ট সেনেহ করতেন ভালোবাসতেন lিন্তু পিসেমশাই হঠ্য়াত করে একদিন রাগের মাথায় সন্তান না হওয়ার খোটা দেন l পিসিমার মাথায় তখন আকাশ ভেঙ্গে পরে l তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি পিসেমশাই এর আবার বিয়ে দেবেন l পিসিমার শ্বসুর শাশুড়ি এতে আপত্তি জানান কিন্তু পিসিমা নাছোরবান্দা অনেক বুঝিয়ে তিনি তার শ্বসুর শাশুড়ি কে রাজি করান এবং পিসেমশাই কে একরূপ বাধ্য করান বিয়ে কোরতে l পিসেমশাই যেদিন নুতন বউ নিয়ে বাড়িতে আসেন সেদিন তার মা বাবা নিজেদের ঘরের দরজা বন্ধ কোরে বসে থাকেন আর পিসিমা তার হাতের নোয়া টি খুলে তার সতিন কে বরণ কোরে তার ই ঘরে নিয়ে যান ঘরের চারিদিকে একবার চোখ বুলিয়ে মনটাকে আরও শক্ত কোরে বলেন "আজ থেকে তুমি আমার ছোট বোন lএই ঘর এই বাড়ি এমনকি এই মানুষ টিও সম্পূর্ণভাবে তোমার"l এই কথা কটি বলে আপ্রাণ চেষ্টা কোরে চোখের জলকে সামলে বাড়ির অন্য একটি ঘরে চলে আসেন lিন তিনি বেচে ছিলেন আর কোনদিন তিনি পিসেমশাই এর চৌকাট তো মারান নি স্বামীর সাথে আর কথা ও বলেননি কিন্তু সংসারের যাবতীয় কাজ কর্ম এমনকি বৃদ্ধ শ্বসুর বৃদ্ধা সাশুরির সেবা যত্ন নিজের হাতে কোরেছেন বলা বাহুল্য এবার ও পিসেমশাই এর কোনো সন্তান হয়না শ্বশুরের মৃত্যুর কিছুদিন আগে তিনি ডেকে পিসিমাকে বলেন যে তার যাবতীয় সম্পরতি তিনি পিসিমা কে লিখে দিয়ে যেতে চান কিন্তু পিসিমা তা নিতে চান না বলেন যে তার কোনো কিছুর দরকার নেই শুধু খেয়ে পোরে আমৃত্য তিনি স্বামীর ঘরেই থাকতে চান তাই দিদির ফোনটা পেয়ে প্রথমেই আমার যেটা মনে হোলো পিসিমার মনের ইচ্ছাটা সত্যি আজ পূরণ হোলো ২৪ ৬ ১৫ গল্প নয় সত্য কাহিনী
No comments:
Post a Comment