Saturday, December 17, 2022

সময়ই উত্তর দেয় (অর্বাচীন ওয়েব ম্যাগাজিন)

সময়ই উত্তর দেয়

    আমি তখন স্কুলের গণ্ডি পেরোইনি। মাধ্যমিক দেবো সে বছর। দ্বাদশ শ্রেণীর দেবমাল্য আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের হাত দিয়ে একটি চিঠি পাঠালো আমায়।চিঠি পড়ে আমি তো থ! সে আমাকে প্রেম নিবেদন করেছে।জয়িতার মাধ্যমেই জানিয়ে দিলাম প্রেম এভাবে হয় না।ভালোবাসা হল দু'টি হৃদয়ের মিলন।তার আমাকে ভালো লাগলে আমার তাকে যে ভালোবাসতে হবে এমন কোন কথা তো নেই। আর এভাবে ভালোবাসা হয় না।তাছাড়া পড়াশুনা শেষ করার আগে এসব নিয়ে ভাবতে গেলে জীবনে পায়ের তলার মাটিটা শক্ত করতে পারবো না। আমি এসব নিয়ে এখন চিন্তা করতেই চাই না।
 এরপর যতদিন দেবমাল্য স্কুলে ছিল বলতে গেলে আমার সামনে আর কোনদিন আসেনি।আমিও তাকে দেখতে পাইনি।
 আমি যখন উচ্চমাধ্যমিক দেবো তখন হঠাৎ একদিন আবার তার সাথে আমার রাস্তায় দেখা।আমি কোচিং থেকে আসছিলাম।সেদিন রাস্তায় আলো ছিলো না। লোকজনও খুব একটা রাস্তায় ছিল না।তার সেই একই প্রস্তাব।তাকে সরাসরিই বললাম,"প্রেম এভাবে হয় না"
আমার কথাটা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই দেবমাল্য আমায় ওর বুকের সাথে চেপে ধরে জোর করে ওর মুখটা এগিয়ে এনে আমার ঠোঁটে আলতো এক কামড় দিয়ে বললো,"তাহলে কী প্রেম এভাবে হয়!" জোর করে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ওর মুখে জোরে একটা থাপ্পড় মেরে বলি,"তোমার মত ছেলের এটাই প্রাপ্তি"।মুহূর্তে ও আমার গায়ের থেকে ওড়নাটা ছিনিয়ে নিয়ে কাছে আরো কাছে এগিয়ে আসতে গেলে আমি বলি,
"আমার দিকে আর এক পা এগোলে আমি কিন্তু চিৎকার করে লোক ডাকবো। তোমার কলেজকে সব জানিয়ে দেবো।" আমার কথা শুনে দেবমাল্য কিছুটা থমকে যায়।আমিও আর সেখানে এক মুহুর্ত না দাঁড়িয়ে জোর পায়ে সেখান থেকে চলে আসি।মুখে তাকে যাই বলি না কেন কয়েকদিন বেশ ভয়ে ভয়েই কেটেছে আমার। বাড়িতে ইচ্ছা করেই কিছু বললাম না তাদের টেনশন আমায় নিয়ে বেড়ে যাবে মনে করে।
  অনেক বছর কেটে গেছে এরপর।দেবমাল্যর সাথে আমার আর কোনদিন দেখা হয়নি।বাড়ির প্রচণ্ড চাপ স্বর্তেও বিয়ের পিঁড়িতে বসিনি। কারণ আমি যে প্রফেশনে আছি তার ডিউটির কোন ঠিক ঠিকানা নেই।রাত-বিরেতে যখন তখন ছুটতে হয়। প্রাণহানিরও ভয় রয়েছে। পরের বাড়িতে কিছুতেই এসব মেনে নেবে না।
   থানায় বসে কাগজপত্র দেখছিলাম।হঠাৎ একটি কাগজে চোখ আটকে গেলো। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।মেয়েটির বাড়ির লোক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া দুটি ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন।ফিরে গেলাম কয়েক যুগ আগে।মাথাটা এক নিমেষে গরম হয়ে গেলো। ইনভেস্টিগেশন শুরু হলেও ঢিমেতালে কেসটা এগোচ্ছে। যে ইন্সপেক্টর কেসটা দেখছেন তাকে ডেকে কতদূর কেসটা এগিয়েছে জানতে চাওয়ায় তিনি আমতা আমতা করে উত্তর দিলেন। নিজেই কেসটার দায়িত্ব নিয়ে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে লাগলাম। প্রমাণ যা কিছু পেলাম ছেলেদু'টিকে  অ্যারেস্ট করে আগে থানায় এনে তুললাম। রাতেই হুমকি দিয়ে এক ফোন। প্রথমে টাকার লোভ পড়ে রীতিমত হুমকি গলাটা খুব চেনা চেনা মনেহল।
 পরদিন আই পি এস অফিসার নন্দিতা রায় চৌধুরীর সাথে ধর্ষক পুত্রের পিতা কোর্ট খোলার আগেই দেখা করতে এলেন। এসেই তিনি টেবিলের উপর একটি ব্যাগ রাখলেন।তাকে দেখে চমকে উঠলাম।সে অবশ্য আমাকে প্রথম অবস্থায় চিনতেই পারেনি। জীবনে প্রতিটা ঘটনার পিছনে সুফল এবং কুফল দু'টোই থাকে। দেবমাল্যর ওই অপমানের জবাব শুধু থাপ্পড়ে দিয়ে আমার পোশায়নি সেদিন। তখনই ভেবে নিয়েছিলাম জীবনে যত প্রতিকূল পরিস্থিতিই আসুক না কেন আমি যেভাবেই হোক প্রশাসন বিভাগে চাকরি করবো। তার ফল হাতে হাতে পেয়েছি।প্রথমেই ধর্ষক পুত্রের পিতার কাছে জানতে চাইলাম ,
--- দেবমাল্য মজুমদার, আপনি কি আমায় চিনতে পারছেন?
লক্ষ্য করলাম যে তেজ নিয়ে তিনি আই পি এস অফিসারের সাথে দেখা করতে এসেছিলেন তা এক নিমেষে উধাও! তাকে একথাও বললাম সেদিন তার ওই অপমান আজ আমাকে এখানে এনে দাঁড় করিয়েছে। 
 দেবমাল্য হাত জোড় করে কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল। মাঝপথে তাকে থামিয়ে দিয়ে টেবিলের উপর রাখা হয়ত টাকা ভর্তি ব্যাগটি নিয়ে সেই মুহূর্তে তাকে বেরিয়ে যেতে বললাম। দেবমাল্য চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে আমার পায়ে হাত দিতে গেলো।আমি হেসে পড়ে রুম ত্যাগ করলাম।
 ছেলে দু'টির যাবতজীবন জেল হল।এতদিন পর মনেহল আমি আমার অপমানের জবাব নিতে পারলাম।

                শেষ
 
 

Friday, December 16, 2022

একদিন ভালোবাসবে (দ্বিতীয় পর্ব)


একদিন ভালোবাসবে (দ্বিতীয় পর্ব)
  
     
- আমার একটা কথা আছে তোর সাথে --- তুই বাসের ভিতর আমার পাশে বসিস তখন বলবো --
 নিলয়ের বুকের ভিতর তখন কে যেন হাতুড়ি পেটাচ্ছে -- কী বলতে চাইছে শ্রাবণী তাকে। এতক্ষণ শ্রাবনীকে মন খারাপ করতে সে নিষেধ করেছে আর এখন সে নিজেই উদাস হয়ে যাচ্ছে।তাহলে কী শ্রাবণী তার মনের কথা টের পেয়েছে? কিন্তু সেতো কোন কথা তাকে কখনোই বলেনি। নাকি শ্রাবণীর তার প্রতি কোন দুর্বলতা গ্রো করেছে? কি বলতে চায় সে নিলয়কে?

     তিয়াসা তার শ্বশুরের জন্য বেশ গামাখা মাংসের মত করে বোয়াল মাছ রান্না করে দুপুরে বাটিতে করে এনে সামনে রাখলো।সঙ্গে সঙ্গে তিনি বাটিটা হাতে নিয়ে নাকের কাছে ঘ্রাণ শুকে বললেন,
--- গিন্নি, মায়ের আমার রান্নার হাতটি বেশ চমৎকার মনেহচ্ছে।বেশ সুন্দর একটা গন্ধ বেরোচ্ছে। তা তোমরাও বসে পরো একসাথেই চারজনে খেয়ে নিই।ক'দিন যা ধকল গেলো সকলের উপর থেকে আজ আত্মীয়রা সবাই চলেই যখন গেলেন সবাই দুপুরে একটু বিশ্রাম নিই।
 নিলয়ের দিকে মুখ করে বললেন,
--- কী রে নীলু? তুই তো খেয়েই চলেছিস গবগব করে। রান্নাটা কেমন হয়েছে বল?
নিলয় সংক্ষিপ্ত উত্তর দিলো
--- ভালো।
--- রান্নার প্রশংসা করতে শেখ বাবা। মেয়েরা অনেক কষ্ট করে যত্ন নিয়ে রান্না করে। প্রশংসা করলে কষ্টটা তাদের কাছে আর কষ্ট থাকে না।
--- তুমি তো প্রশংসা করছো আবার আমি কেন?
 তিয়াসা খেতে খেতে বারবার নিলয়কে লক্ষ্য করে। কিন্তু নিলয় নিজের মনে খেয়ে চলেছে। কারও আলোচনায় সে কোনোই উত্তর করে না।
  এইভাবেই সকলের আগে খাওয়া শেষ করে ড্রয়িংয়ে টিভি চালিয়ে সোফায় বসে দেখতে দেখতে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়ে।নিলয়ের এই সোফায় ঘুমিয়ে পড়া দেখে শ্বাশুড়ী বকবক করতে থাকেন। তিয়াসাকে বলেন,
-- যা মা তুই তোর ঘরে গিয়ে একটু বিশ্রাম নে।
 তিয়াসা বিনা বাক্যব্যয়ে নিজের ঘরে চলে যায়।দুপুরে ঘুমানো তার কোন কালেই অভ্যাস নেই। কাল সারাটা রাত জেগে।তারউপর ফুলশয্যার রাতে স্বামীর ব্যবহারে সে সত্যিই অবাক! তারমানে এ বিয়েতে নিলয়ের মত ছিল না। যদি তাইই হয় সে কেন বিয়েটা করলো? তাহলে কী নিলয় অন্য কাউকে ভালোবাসে? মনেমনে ভাবে 'আমি তো মানুষটাকে চিনতামই না, আমার জীবনটা এভাবে নষ্ট করলো কেন?আমার তো কোন অপরাধ ছিল না --।'
 দুই বোনের মধ্যে তিয়াসাই বড়।ইংলিশে অনার্স করা তিয়াসা চেয়েছিল শিক্ষকতা করবে। কিন্তু হঠাৎ করেই বাবা বিয়ে ঠিক করে ফেললেন। তিয়াসার সহপাঠী সৌম্য যে তাকে পছন্দ করতো তিয়াসা তা ভালোভাবেই জানতো।কিন্তু মুখ ফুটে কেউ কোনদিন কাউকে মনের কথা বলেনি। অত বড়লোকের সুদর্শন ছেলে তিয়াসার সাহসে কুলিয়ে ওঠেনি তাকে মনের কথাটা খুলে বলার।সৌম্য ছিল ধীর,শান্ত স্বভাবের ছেলে। সকলের সাথেই কথা বলতো, মিশতো কিন্তু চুপচাপ হয়েই থাকতো। সব সময়ই সে শুনতো বেশি কিন্তু বলতো কম।
  রেজাল্ট বেরোনোর সাথে সাথেই বাবার সিদ্ধান্ত মেয়ের বিয়ে দিতে হবে। মা তন্দ্রার অবশ্য মত ছিল না এখনই বিয়ে দেওয়ার।কিন্তু বাবা অনিল দাস অনেক আগে থাকতেই ছেলে খুঁজতে শুরু করে দিয়েছিলেন। বাবা জানিয়েছিলেন,
-- চাকরি যদি করতেই হয় শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে কোরো আমি যে বাড়িতে তোমার বিয়ে দেবো সেখানে কথা বলেই নেবো।তারা রাজি হলেই আমি সেখানে বিয়ের ব্যবস্থা করবো। কিন্তু একটা কথা বোঝো আমার বয়স হয়েছে ,তোমার ছোটবোন পিয়াসার পড়াশুনা এখনো শেষ হয়নি। হঠাৎ করে আমার যদি কিছু একটা হয়ে যায় তোমার মা পড়বেন অথৈ সমুদ্রে।আর পুরো সংসারের জোয়াল এসে পড়বে তোমার ঘাড়ে। তোমার জীবনটা তখন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।এই সংসারের দায়িত্ব আমার। আমার অবর্তমানে এই সংসারের জন্য তোমার জীবনটা শেষ হয়ে যাক এটা আমি কিছুতেই হতে দিতে পারি না। চাকরির চেষ্টা তুমি করে যাও যদি বিয়ের আগে তুমি চাকরি পেয়ে যাও তো ভালোই আর বিয়ে দেবো বললেই তো আর বিয়ে হয়ে যায় না।তার জন্যও তো সময় লাগবে।
 বাবার এই কথার পরে তিয়াসা কিংবা তার মা কোন কথাই আর বলতে পারেননি। বিয়ে হয়ে যায় তিয়াসার। বিয়ের আগে সে নিলয়কে দেখেনি। বাবার পছন্দ করা ছেলেকে চোখ বন্ধ করে মেনে নিয়েছে।কিন্তু তিয়াসা স্বপ্নেও ভাবেনি ফুলশয্য্যার রাতে তার স্বামীর কাছ থেকে সে এরূপ ব্যবহার পাবে।এসব কথা ভাবতে ভাবতে সারারাতের না ঘুমানোর ফলে তিয়াসা একসময় ঘুমিয়ে পড়ে। হঠাৎ ঘরের লাইট জ্বলে উঠায় তার ঘুম ভেঙে যায়। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে পাঁচটা বেজে গেছে।শীতের দিনে বিকেল পাঁচটা মানেই চারিদিকে অন্ধকার হয়ে যাওয়া।তাড়াতাড়ি উঠে পরে দেখে নিলয় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়াচ্ছে।চুপচাপ উঠে যখন বেরিয়ে যাচ্ছে তখন নিলয় তাকে বলে,
-- আমি একটু বেরোচ্ছি।
 তিয়াসা অবাক হয়।যে মানুষটা তাকে স্ত্রীর মর্যাদায় দিলো না সে আবার বেরোনোর সময় বলে বেরোচ্ছে।নিলয় হয়ত তার মুখের দিকে তাকিয়ে ব্যপারটা বুঝতে পেরেছে তাই আবারও বললো,
--- আসলে মা এখন ঠাকুরঘরে।এই সময় সেখানে ঢোকা নিষেধ কারো।বাবা ঘুমাচ্ছেন। মা তো তোমার কাছেই জানতে চাইবেন তাই আর কি!
তিয়াসা সে কথারও কোন উত্তর দেয় না।সে ধীরপায়ে ঘর থেকে বেরিয়ে নিচুতে নেমে সোজা রান্নাঘরে গিয়ে ঢোকে। নিলয় বেরিয়ে যায়।
 নীলিমা তার পুজো সেরে এসে রান্নাঘরে ঢুকে দেখে তিয়াসা কাজের মহিলার সাথে গল্প করছে। তিনি ঢোকার সাথে সাথেই তিয়াসা বলে,
--- মা চা করি?
--- হ্যাঁ চা তো খাবো।কিন্তু তুই বোস আমি করছি।
--- তুমি বরং বসো।আমি করছি।এগুলো এখন আমার দায়িত্ব।
 নীলিমা ভীষণ খুশি হলেন তিয়াসার কথা শুনে।তিনি হাসতে হাসতে বললেন,
--- তুই তো দেখছি আমাকে একেবারে কুড়ে বানিয়ে দিবি।
--- নীলু কি ঘরে আছে নাকি ঘুম থেকে উঠেই বেরিয়ে গেছে?
--- বেড়িয়েছেন
--- ছেলেটা আমার এমনিতে খুবই ভালো রে কিন্তু কী জানিস অল্প বয়সে মানুষের অনেক ভুলভ্রান্তি থাকে। সেগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে ----
 কথাটা নীলিমা শেষ করার আগেই বসবার ঘর থেকে অজয়ের গলা শোনা গেলো 
--- কই গো তোমরা চা টা নিয়ে এখানে আসো গল্প করতে করতে সবাই মিলে চা খাই।
--- ওই এলেন উনি।তুই এক কাজ কর মা সকলের চা নিয়ে ড্রয়িংরুমে আয়।
নীলিমা সেই প্রসঙ্গে আর গেলেন না দেখে তিয়াসা তাকে মনে করিয়ে দিলো
--- কী যেন বলছিলেন মা?
--- হ্যাঁ তোর বাবা এসব জানেন না। পরে একসময় তোকে সব বলবো।তোকে তো সব জানতেই হবে রে -- কাল নীলু তোকে কিছু বলেনি?
বুকের ভিতরের কষ্টটাকে চেপে রেখে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে তিয়াসা কথাটা এড়িয়ে গিয়ে বলে,
--- মা, চা হয়ে গেছে তুমি যাও ওঘরে আমি চা নিয়ে আসছি।
নীলিমা আর কিছু না বলে উঠে এলেন আর তিয়াসা চা নিয়ে বসবার ঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখে বেশ হন্তদন্ত হয়ে নিলয় ঘরে ঢুকেই সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে যাচ্ছে।অজয় দেখতে পেয়েই চিৎকার করে বললেন,
--- কী হয়েছে নীলু এভাবে ছুটছিস কেন? আয় একসাথে বসে চা খাই।
 কথাটা যার উদ্দেশ্যে বলা তার কানে গেলো কিনা কেউই বুঝতে পারলো না কিন্তু সে দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে গিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই নেমে এসে বললো,
--- মা আমি একটা বিশেষ কাজে বেরোচ্ছি কখন ফিরবো বলতে পারছি না।
--- কী হয়েছে টা কী সেটা তো বলবি?
 নীলিমা ছেলের উদ্দেশ্যে কথাটা বললেন।নিলয় দ্রুত বেরোতে বেরোতেই বললো,
--- কী হয়েছে আগে নিজে সব ভালোভাবে জানি তারপর নাহয় তোমাদের এসে সব বলবো।

ক্রমশ